মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের রিভিউ শুনানি কাল
জামায়াতে
ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের
শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। আজ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র
কুমার সিনহার নেত্বত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য
করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত ২ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ থাকলেও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীদের সময় চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
ওই দিন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে হয়রানি না করতে এবং ডিফেন্স আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা না দেয়া হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়ে দায়ের করা আবেদনও খারিজ করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, কাউকে হয়রানি করা হলে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করা যেতে পারে। এছাড়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজের পক্ষে আটজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দেন আদালত।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন তাদের প্রধান আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করবেন।
শুনানিতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পক্ষে আটজন সাক্ষীর সমন চেয়ে দায়ের করা আবেদন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাগজ (সার্টিফিকেট) আনেননি। আপনাদের বক্তব্য সঠিক এটা কিভাবে বুঝব? আপনি ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই সময়ের সংবাদপত্রে তা প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রয়েছে। এরপর আমরা কিভাবে গ্রহণ করব যে আপনি পাকিস্তানে ছিলেন।
এসময় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি (সালাহউদ্দিন কাদের) ঘটনাস্থলে ছিলাম না, এটা বিবেচনা করেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, লন্ডনে গেছেন, লিঙ্কন ইনে (ব্যারিস্টার) ভর্তির কথা বলেছেন। কিন্তু সার্টিফিকেট কই। এত কাগজ দিলেন পাকিস্তান থেকে সার্টিফিকেট আনতে পারলেন না।
এসময় খন্দকার মাহবুব বলেন, এটাই শেষ সুযোগ। এফিডেভিট পরীক্ষা করে দেখুন। যারা এ ফিডেভিট দিয়েছে তারা সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি তাদের আসতে দিন।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধন্ত দিয়ে দিয়েছি।
এরপর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তাহলে তাদের (আট সাক্ষী) অডিও রেকর্ড নেন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, সরি। এরপর আদালত রিভিউ শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদেশের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতকে বলেছি এই মামলার আইনজীবী অ্যাভোকেট শিশির মনিরের বাসায় গত ২৬ অক্টোবর মোহাম্মদপুরের বাসায় সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশী করে কম্পিউটার, মনিটর, মডেম ও পেনড্রাইভ নিয়ে গেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এছাড়া গত ২২ অক্টোবর তার বাসায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া ডিফেন্স কাউন্সেলদের যাতে হয়রানি না করা হয় সে বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করি। আদালত বলেছেন, হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন কি না। আমাদের পক্ষে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া সম্ভব নয়।
অপরদিকে সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না। এ বিষয়ে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন যে তারা যে এফিডেভিট দিয়েছিলেন তা সঠিক। আমরা আসা নিয়ে এসেছি, তাদের আসতে দিন। আদালত বলেছেন তারা এফিডেভিটের উপর নির্ভর করেননি, সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনায় নিয়েছেন। আদালত বলেছেন রিভিউতে সাক্ষী আনার নজির নেই। এরপর আমাদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘটনার সময় দেশে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ অকাট্য ডকুমেন্ট দিয়ে তা প্রমাণ করেছে। আদালত তার পক্ষে নতুন সাক্ষী আনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা বললেও সার্টিফিকেট দেননি।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালতের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন ২ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের দ্রুত শুনানির তারিখ নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে সম্প্রতি ডিফেন্স সাক্ষী হিসেবে পাকিস্তানের পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুনীর পক্ষে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এতে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অন্তবর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মিঞা সুমরো এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন এর নাম রয়েছে।
এর আগের গত ১৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রথমে মুজাহিদের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির। ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি গ্রাউন্ডে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা করে মুজাহিদকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়।
অপরদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পক্ষে একই দিন মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করা হয়েছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন। ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে মোট ১০টি যুক্তি তুলে ধরে মোট ৩৫৭টি নথিপত্র যুক্ত করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর ১ অক্টোবর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গত ১৬ জুন আলী আহসান মুজাহিদ এবং ২৯ জুলাই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের এ রায় প্রদান করেন।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুাল-১ ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গত ২ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ থাকলেও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীদের সময় চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
ওই দিন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে হয়রানি না করতে এবং ডিফেন্স আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা না দেয়া হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়ে দায়ের করা আবেদনও খারিজ করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, কাউকে হয়রানি করা হলে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করা যেতে পারে। এছাড়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজের পক্ষে আটজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দেন আদালত।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন তাদের প্রধান আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করবেন।
শুনানিতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পক্ষে আটজন সাক্ষীর সমন চেয়ে দায়ের করা আবেদন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাগজ (সার্টিফিকেট) আনেননি। আপনাদের বক্তব্য সঠিক এটা কিভাবে বুঝব? আপনি ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই সময়ের সংবাদপত্রে তা প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রয়েছে। এরপর আমরা কিভাবে গ্রহণ করব যে আপনি পাকিস্তানে ছিলেন।
এসময় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি (সালাহউদ্দিন কাদের) ঘটনাস্থলে ছিলাম না, এটা বিবেচনা করেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, লন্ডনে গেছেন, লিঙ্কন ইনে (ব্যারিস্টার) ভর্তির কথা বলেছেন। কিন্তু সার্টিফিকেট কই। এত কাগজ দিলেন পাকিস্তান থেকে সার্টিফিকেট আনতে পারলেন না।
এসময় খন্দকার মাহবুব বলেন, এটাই শেষ সুযোগ। এফিডেভিট পরীক্ষা করে দেখুন। যারা এ ফিডেভিট দিয়েছে তারা সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি তাদের আসতে দিন।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধন্ত দিয়ে দিয়েছি।
এরপর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তাহলে তাদের (আট সাক্ষী) অডিও রেকর্ড নেন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, সরি। এরপর আদালত রিভিউ শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদেশের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতকে বলেছি এই মামলার আইনজীবী অ্যাভোকেট শিশির মনিরের বাসায় গত ২৬ অক্টোবর মোহাম্মদপুরের বাসায় সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশী করে কম্পিউটার, মনিটর, মডেম ও পেনড্রাইভ নিয়ে গেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এছাড়া গত ২২ অক্টোবর তার বাসায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া ডিফেন্স কাউন্সেলদের যাতে হয়রানি না করা হয় সে বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করি। আদালত বলেছেন, হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন কি না। আমাদের পক্ষে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া সম্ভব নয়।
অপরদিকে সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না। এ বিষয়ে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন যে তারা যে এফিডেভিট দিয়েছিলেন তা সঠিক। আমরা আসা নিয়ে এসেছি, তাদের আসতে দিন। আদালত বলেছেন তারা এফিডেভিটের উপর নির্ভর করেননি, সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনায় নিয়েছেন। আদালত বলেছেন রিভিউতে সাক্ষী আনার নজির নেই। এরপর আমাদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘটনার সময় দেশে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ অকাট্য ডকুমেন্ট দিয়ে তা প্রমাণ করেছে। আদালত তার পক্ষে নতুন সাক্ষী আনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা বললেও সার্টিফিকেট দেননি।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালতের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন ২ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের দ্রুত শুনানির তারিখ নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে সম্প্রতি ডিফেন্স সাক্ষী হিসেবে পাকিস্তানের পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুনীর পক্ষে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এতে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অন্তবর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মিঞা সুমরো এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন এর নাম রয়েছে।
এর আগের গত ১৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রথমে মুজাহিদের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির। ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি গ্রাউন্ডে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা করে মুজাহিদকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়।
অপরদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পক্ষে একই দিন মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করা হয়েছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন। ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে মোট ১০টি যুক্তি তুলে ধরে মোট ৩৫৭টি নথিপত্র যুক্ত করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর ১ অক্টোবর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গত ১৬ জুন আলী আহসান মুজাহিদ এবং ২৯ জুলাই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদেরের এ রায় প্রদান করেন।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুাল-১ ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
No comments