সিরিয়ায় ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন : কেরি
সিরিয়ায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে সরকার ও বিরোধীপক্ষ। চলতি বছরের শেষদিকে এ বিষয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে। এছাড়া আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক আলোচনা শেষে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। শনিবার সিরিয়া সংকট নিয়ে ভিয়েনায় আলোচনায় মিলিত হন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। আলোচনার মূল এজেন্ডা সিরিয়া হলেও বারবার ঘুরেফিরে এসেছে প্যারিসে শুক্রবারের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি। খবর ওয়ার্ল্ড বুলেটিনের। ভিয়েনায় সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, ‘আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিরিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ছয় মাস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকবে।’ এ সময় কেরির পাশে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আজ জুবায়ের বলেছেন,
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় থাকলে বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে রিয়াদ। তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় যেসব বিদ্রোহীগোষ্ঠী আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা যতক্ষণ সফল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সমর্থন দেয়া হবে। বৈঠকের আগে কেরি বলেন, সিরিয়া সংকটের ত্বরিত সমাধান কেন গুরুত্বপূর্ণ, প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা তা দেখিয়ে দিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, প্যারিসে হামলার ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, ইসলামিক স্টেট, আল নুসরাসহ সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে হাত গুটিয়ে বসে থাকার সময় নেই। ভিয়েনায় বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রতিনিধি ফ্রেদেরিকা মগেরিনি লিখেছেন, সিরিয়াবিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগ দেশই সন্ত্রাসী হামলায় ভুগেছে। এখন ঐক্যই একমাত্র সমাধান। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফাবিয়াস গতকালের প্রথম পর্বের আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা সত্ত্বেও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের অবস্থানে হামলার আন্তর্জাতিক দায়িত্ব থেকে ফ্রান্স পিছপা হবে না।
No comments