দাতারা সাবধান করেছে, আশ্বাস দিয়েছে: অর্থমন্ত্রী
সহযোগিতার
আশ্বাস ও কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের
উন্নয়ন সহযোগী দাতাগোষ্ঠী। এমন আশ্বাসের মধ্য দিয়ে গতকাল শেষ হয়েছে
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের
সমাপনীতে গতকাল ব্রিফিং করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ওই ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬ বছর
পর অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। ২ দিনে ৮টি সেশন হয়েছে। এতে দাতা সংস্থারা অনেক
সাবধান করেছেন। তবে সাবধানের ধরন স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। শুধু জানান
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাজেট বরাদ্দের অপর্যাপ্ততার কথা। সে
সঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য, সমালোচনা, সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ভালো, তবে যথেষ্ট নয়। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও
যোগাযোগ ব্যবস্থায় মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় উন্নয়নে কোন
বাধার সৃষ্টি করবে কি-না এমন প্রশ্নে মুহিত বলেন, উন্নয়ন ফোরামে এ ধরনের
কোন আলোচনা হয়নি। বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব
মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন ও ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন প্রধান ও স্থানীয়
পরামর্শক গোষ্ঠীর সহসভাপতি মিজ জেনানা জেরুজেলস্কি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন
এশিয়া অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) সভাপতি মি. জিন লিকুইন, এশীয়
উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহসভাপতি ওয়েংকাই ঝাং, জাপান
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মি. কিংগো টয়োডা। সম্মেলনে সপ্তম
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও টেকসই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর মধ্যে
অংশীদারিত্ব তৈরির অঙ্গীকার করা হয়। এ ছাড়া সম্মেলনে কৃষি, খাদ্য
নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো, সুশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক
সুরক্ষা ও উন্নয়নের মূলধারায় জেন্ডারের অংশগ্রহণসহ বেশ কিছু অগ্রাধিকার
খাতে সুনির্দিষ্ট মতামত ও যৌথ ইস্তেহার ঘোষণা করা হয়। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক
পরিকল্পনার অনেক লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী হলেও তা বাস্তবায়নযোগ্য। এর জন্য দরকার
অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ানো। অগ্রাধিকার
নির্ধারণ করে নতুন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তা করতে পারলে
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) মতো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যেও (এসডিজি)
সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ) বৈঠকের উভয় অধিবেশনে
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং দেশের বেশ কিছু প্রতিনিধি মতামত ব্যক্ত করেন।
দুই দিনের সেশন ও প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী,
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
রাশেদা কে চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন
জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থ
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া
অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রামা, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের
প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট
ওয়াটকিনস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি
বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পর্যায় থেকে অকৃষি কার্যক্রম গ্রাম পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ সরকার আগেই গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। গত ছয় বছরে কৃষিবহির্ভূত কাজে বেশি গুরুত্ব দেয়ার জন্য বিশেষ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য গত কয়েক বছরের মধ্যে রপ্তানি অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, শিল্পায়নের পথে জমির সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে শিল্পায়ন হবে না। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে।
নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজি বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লোক কর দেয়। করদাতার সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীত করতে রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে কর জাল বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মার্টিন রামা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বেশ কিছু লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে। মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতে প্রায় ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২২ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ১ কোটি ২৯ লাখ মানুষের। এসব লক্ষ্য অর্জন করা কিছুটা কঠিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। জ্বালানি ও অবকাঠামোর উন্নতির মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন। এসব দিকে নজর দিলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, এমডিজির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো করেছে। এসডিজি অর্জনেও সাফল্য আসবে। এসডিজির অনেক সূচক রয়েছে। এ কারণে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে সব পক্ষের সমন্বয়ের মাধ্যমে এগোতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, টেকসই উন্নয়নে আর্থিক খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায়। উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নে উন্নয়ন অংশীদারদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকর্তা রডরিগো কিউবেরা বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। করযোগ্য ব্যক্তিদের কাছ কর আদায় করতে হবে। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, প্রতি বছর বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় কয়েকটি খাতে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সে অর্থের যথাযথ ব্যবহারের সক্ষমতা একই গতিতে বাড়ছে না। এ জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারলে সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। এ সময় দারিদ্র্যবিমোচন এবং এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তারা।
মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) বাস্তবায়ন করতে ৩১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে বছরে অবকাঠামো খাতে অতিরিক্ত ৯০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। এডিপির মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমানে যোগাযোগ এবং বিদ্যুতে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয় করতে সক্ষম। ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বৃত্তে আটকে গেছে। এর পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য বাড়ানো এবং আঞ্চলিক সমন্বয়ের জন্য অর্থ প্রয়োজন। অর্থের ঘাটতি মেটাতে না পারলে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এতে বলা হয়েছে, জিডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার অনুপাত কমছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্যের যথার্থ ব্যবহার করতে হবে। সুশাসন বাড়াতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পর্যায় থেকে অকৃষি কার্যক্রম গ্রাম পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ সরকার আগেই গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। গত ছয় বছরে কৃষিবহির্ভূত কাজে বেশি গুরুত্ব দেয়ার জন্য বিশেষ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য গত কয়েক বছরের মধ্যে রপ্তানি অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, শিল্পায়নের পথে জমির সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে শিল্পায়ন হবে না। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে।
নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজি বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লোক কর দেয়। করদাতার সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীত করতে রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে কর জাল বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মার্টিন রামা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বেশ কিছু লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে। মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতে প্রায় ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২২ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ১ কোটি ২৯ লাখ মানুষের। এসব লক্ষ্য অর্জন করা কিছুটা কঠিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। জ্বালানি ও অবকাঠামোর উন্নতির মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন। এসব দিকে নজর দিলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, এমডিজির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো করেছে। এসডিজি অর্জনেও সাফল্য আসবে। এসডিজির অনেক সূচক রয়েছে। এ কারণে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে সব পক্ষের সমন্বয়ের মাধ্যমে এগোতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, টেকসই উন্নয়নে আর্থিক খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায়। উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নে উন্নয়ন অংশীদারদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকর্তা রডরিগো কিউবেরা বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। করযোগ্য ব্যক্তিদের কাছ কর আদায় করতে হবে। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, প্রতি বছর বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় কয়েকটি খাতে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সে অর্থের যথাযথ ব্যবহারের সক্ষমতা একই গতিতে বাড়ছে না। এ জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারলে সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। এ সময় দারিদ্র্যবিমোচন এবং এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তারা।
মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) বাস্তবায়ন করতে ৩১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে বছরে অবকাঠামো খাতে অতিরিক্ত ৯০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। এডিপির মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমানে যোগাযোগ এবং বিদ্যুতে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয় করতে সক্ষম। ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বৃত্তে আটকে গেছে। এর পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য বাড়ানো এবং আঞ্চলিক সমন্বয়ের জন্য অর্থ প্রয়োজন। অর্থের ঘাটতি মেটাতে না পারলে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এতে বলা হয়েছে, জিডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার অনুপাত কমছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্যের যথার্থ ব্যবহার করতে হবে। সুশাসন বাড়াতে হবে।
No comments