এক হামলাকারী গ্রেপ্তার পরিকল্পনাকারীর ছবি প্রকাশ
প্যারিস
হামলার মূল হোতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার নাম আবদেল হামিদ আবুদ। পলাতক এক
সন্ত্রাসী সালাহ আবদেসলামকে বেলজিয়ামে আটক করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে
অনলাইন ডেইলি মেইল, দ্য সান। তবে সরকারের তরফ থেকে এ খবরের সত্যতা সম্পর্কে
জানানো হয় নি। ফলে এ আটকের খবর নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পলাতকদের
ধরতে ফরাসি পুলিশ সারা দেশে রোববার ও গতকাল কমপক্ষে দেড়শ’ স্থানে অভিযান
চালায়। এ সময় আটক করা হয়েছে ২৩ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ
অস্ত্র। ওদিকে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সিরিয়ার আবদেল হামিদ আবুদ বলে
মনে করা হচ্ছে। তার বয়স ২৭ বছর। জন্ম বেলজিয়ামে। সে এখন সিরিয়ায় বলে ধারণা
করা হচ্ছে। শুক্রবার প্যারিসে ভয়াবহ হামলার পর এর প্রতিশোধ নিতে আইএসের
শক্তিশালী ঘাঁটি সিরিয়ার রাকায় আকাশ থেকে বিমান হামলা করেছে ফ্রান্স।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান থেকে পরিচালিত ওই শক্তিশালী অভিযানে অংশ নেয়
ফ্রান্সের ১০টি যুদ্ধবিমান। একের পর এক হামলা পরিচালনা করেছে তারা। কমপক্ষে
২০টি বোমা ফেলা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা হামলা
চালিয়েছে আইএসের অস্ত্রের মজুদাগার ও প্রশিক্ষণ শিবিরে। জবাবে আইএস-এর
মিডিয়া উইং বলেছে, ফ্রান্স যেখানে হামলা চালিয়েছে আইএস অনেক আগেই তা ত্যাগ
করে এসেছে। ফলে তাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে,
রোববার সিরিয়ায় দায়েশ (আইএসের আরেক নাম) অবস্থানে ফরাসি যুদ্ধবিমান ব্যাপক
হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে প্যারিস হামলায় জড়িতদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালায়
পুলিশ। ফরাসি পুলিশ বেলজিয়ান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে ধরার জন্য
আন্তর্জাতিক অভিযান শুরু করে। ওই ব্যক্তিই সালাহ আবদেসলাম। পুলিশ মনে করছে
সে তার দুই ভাইকে নিয়ে প্যারিস মিশনে অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে এক ভাই
ইব্রাহিম প্যারিস হামলার সময় নিহত হয়েছে। তার অন্য ভাই মুহাম্মদ আবদেসলাম
রয়েছে নিরাপত্তা হেফাজতে। ওদিকে প্যারিস হামলায় সন্দেহভাজনদের নামের একটি
তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যাদের নাম রয়েছে তারা হলো- সালাহ আবদেসলাম।
তাকে ধরতে মরিয়া হয়ে পড়ে পুলিশ। কারণ, হামলার দিনই পালিয়ে সে বেলজিয়ামে
যাওয়ার সময় সীমান্তে পুলিশ তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করে। কিন্তু পুলিশের চোখ
ফাঁকি দিয়ে সে বেলজিয়ামে পালাতে সক্ষম হয়। গতকাল তাকে আটকের খবর পাওয়া
গেছে। তালিকায় রয়েছে তার ভাই মুহাম্মদ আবদেসলামের নাম। তাকেও বেলজিয়ামে আটক
করা হয়েছে। তার অন্য ভাই ইব্রাহিম আবদেসলাম। বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে হামলার
সময় এর পাশেই নিহত হয় সে। আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলো- ওমর ইসমাইল
মোস্তেফাই। সে একজন ফরাসি। বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে হামলার সময় নিহত হয় সে।
এছাড়া রয়েছে বিলাল হাদফি। সে স্টেডি ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে হামলায় অংশ নিয়ে
নিহত হয়। আহমেদ আল মোহাম্মদ (২৫)। সিরিয়ার ইদলিবে তার বাড়ি। সেও ওই
স্টেডিয়ামে নিহত হয়। সামি আমিমর (২৮)। সে ফরাসি। বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে
আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয় সে। শহরে হামলার সময় আরও দু’জন হামলাকারী
নিহত হয়। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভালস বলেছেন, গতকাল সকালের দিকে
ফ্রান্সের বিভিন্ন এলাকায়ও কমপক্ষে ১৫০টি জঙ্গি অবস্থানে ঘেরাও অভিযান
চালিয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা জরুরি অবস্থার অধীনে বৈধভাবে জনগণকে
জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এর মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, ওই জিহাদি
আন্দোলনে আসলে কারা জড়িত।
মূল হোতা সিরিয়ায়
পুলিশ যখন দেখতে পায় প্যারিস হামলায় দুটি গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছিল বেলজিয়ামের, তারপর থেকেই শুরু হয় বেলজিয়ামে অভিযান। এরপর থেকে সেখানে কমপক্ষে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। ওই দুটি গাড়ির একটি ভাড়া করেছিলেন এক ব্যক্তি। সে পুলিশকে বোকা বানিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হয়। প্রথমে তাকে ফ্রান্স-বেলজিয়াম সীমান্তে ধরা হয়। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সালাহ আবদেসলাম। তার জন্ম ব্রাসেলসে। তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ বলছে, সে একজন ফরাসি নাগরিক। ফরাসি সরকার এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণকারী আবদেল হামিদ আবুদ। সে এখন সিরিয়ায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে একজন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত। ইব্রাহিম আবদেসলামের সঙ্গে তার নামও রয়েছে পুলিশের বেশকিছু ফাইলে। আগস্টে থালিস ট্রেনে হামলা চালানোর সঙ্গেও সে জড়িত। আমস্টারডাম থেকে প্যারিসে প্রচণ্ড গতিতে একটি ট্রেন যাওয়ার সময় তাতে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। এ সময় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী আয়ুব আল খাজানি গুলি করেছিল। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কেজনেভ বলেন, আমাদের ওপর শুক্রবার যে হামলা হয়েছে তার পরিকল্পনা করা হয়েছে ও পরিচালিত হয়েছে বিদেশে বসে। তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এখন। ফ্রান্স রোববার রাতের হামলায় সিরিয়ার রাকায় জিহাদিদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে। রক্তপাতের প্রতিবাদে, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় হামলার চারটি ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের চোখে অশ্রু। হাতে ফুল। প্রজ্বলিত মোমবাতি। তাদেরই একজন ক্যারোলিন পলাট বলেন, আমরা এক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে বসবাস করছি।
হামলার আগের দিন ফ্রান্সকে সতর্ক করেছিল ইরাক
প্যারিস হামলার একদিন আগে ফ্রান্সকে সতর্ক করেছিল ইরাক। দেশটির গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, আইসিস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি ইরাক ও সিরিয়াতে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত জোট রাষ্ট্রগুলোর ওপর হামলার নির্দেশ দেন। সামনের দিনগুলোতে বোমা হামলা, হত্যা বা মানুষকে জিম্মি করে হামলা চালানোর কথা বলা হয়। সম্ভাব্য হামলাগুলোর নির্দিষ্ট স্থান ও গোয়েন্দা তথ্যে না থাকলেও ইরাক ফ্রান্সকে সতর্ক করেছিল বলে দাবি করছেন দেশটির চারজন কর্মকর্তা। এদিকে, সিনিয়র একজন ফরাসি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছেন, তারা এ ধরনের সতর্কবার্তা প্রতিদিনই পেয়ে থাকেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের মিরর। দুজন ইরাকি কর্মকর্তা বলছেন, হামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ফ্রান্সকে তারা সতর্ক করেছিলেন, যা ফরাসি কর্তৃপক্ষ এখনও প্রকাশ করে নি। এসব তথ্য অনুযায়ী, প্যারিস হামলার পরিকল্পনা করা হয় সিরিয়ার রাকাতে। সেখানে বিশেষ করে ওই অভিযানের জন্য হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে তাদের ফ্রান্সে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। ইরাকি কর্মকর্তারা আরও বলেন, ফ্রান্সের একটি স্লিপার সেল হামলাকারীদের প্রশিক্ষণের পর তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করে। ওই অভিযানে জড়িত ছিল মোট ২৪ জন। এর মধ্যে ১৯ জন হামলাকারী এবং ৫ জনের দায়িত্ব ছিল লজিস্টিকস ও পরিকল্পনার। রোববার ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আল জাফারি ভিয়েনাতে সাংবাদিকদের বলেন, ইরাকি গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন যে, কয়েকটি দেশ টার্গেট হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। আর তারা এ দেশগুলোকে এসব গোয়েন্দা তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন।
‘প্যারিস হামলার নেপথ্য নায়ক ইসরাইল’
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেছেন, প্যারিস হামলার নেপথ্য নায়ক ইসরাইল। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর আগে পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও নয়। মাহাথির বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ পশ্চিমা বিশ্বের একজন কট্টোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। গত শুক্রবার রাতে প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১৩২ জন নিহত হন। ফ্রান্স এ হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করেছে। এক বার্তায় আইএসও এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে বলা হচ্ছে।
মূল হোতা সিরিয়ায়
পুলিশ যখন দেখতে পায় প্যারিস হামলায় দুটি গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছিল বেলজিয়ামের, তারপর থেকেই শুরু হয় বেলজিয়ামে অভিযান। এরপর থেকে সেখানে কমপক্ষে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। ওই দুটি গাড়ির একটি ভাড়া করেছিলেন এক ব্যক্তি। সে পুলিশকে বোকা বানিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হয়। প্রথমে তাকে ফ্রান্স-বেলজিয়াম সীমান্তে ধরা হয়। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সালাহ আবদেসলাম। তার জন্ম ব্রাসেলসে। তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ বলছে, সে একজন ফরাসি নাগরিক। ফরাসি সরকার এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণকারী আবদেল হামিদ আবুদ। সে এখন সিরিয়ায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে একজন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত। ইব্রাহিম আবদেসলামের সঙ্গে তার নামও রয়েছে পুলিশের বেশকিছু ফাইলে। আগস্টে থালিস ট্রেনে হামলা চালানোর সঙ্গেও সে জড়িত। আমস্টারডাম থেকে প্যারিসে প্রচণ্ড গতিতে একটি ট্রেন যাওয়ার সময় তাতে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। এ সময় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী আয়ুব আল খাজানি গুলি করেছিল। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কেজনেভ বলেন, আমাদের ওপর শুক্রবার যে হামলা হয়েছে তার পরিকল্পনা করা হয়েছে ও পরিচালিত হয়েছে বিদেশে বসে। তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এখন। ফ্রান্স রোববার রাতের হামলায় সিরিয়ার রাকায় জিহাদিদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে। রক্তপাতের প্রতিবাদে, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় হামলার চারটি ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের চোখে অশ্রু। হাতে ফুল। প্রজ্বলিত মোমবাতি। তাদেরই একজন ক্যারোলিন পলাট বলেন, আমরা এক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে বসবাস করছি।
হামলার আগের দিন ফ্রান্সকে সতর্ক করেছিল ইরাক
প্যারিস হামলার একদিন আগে ফ্রান্সকে সতর্ক করেছিল ইরাক। দেশটির গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, আইসিস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি ইরাক ও সিরিয়াতে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত জোট রাষ্ট্রগুলোর ওপর হামলার নির্দেশ দেন। সামনের দিনগুলোতে বোমা হামলা, হত্যা বা মানুষকে জিম্মি করে হামলা চালানোর কথা বলা হয়। সম্ভাব্য হামলাগুলোর নির্দিষ্ট স্থান ও গোয়েন্দা তথ্যে না থাকলেও ইরাক ফ্রান্সকে সতর্ক করেছিল বলে দাবি করছেন দেশটির চারজন কর্মকর্তা। এদিকে, সিনিয়র একজন ফরাসি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছেন, তারা এ ধরনের সতর্কবার্তা প্রতিদিনই পেয়ে থাকেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের মিরর। দুজন ইরাকি কর্মকর্তা বলছেন, হামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ফ্রান্সকে তারা সতর্ক করেছিলেন, যা ফরাসি কর্তৃপক্ষ এখনও প্রকাশ করে নি। এসব তথ্য অনুযায়ী, প্যারিস হামলার পরিকল্পনা করা হয় সিরিয়ার রাকাতে। সেখানে বিশেষ করে ওই অভিযানের জন্য হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে তাদের ফ্রান্সে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। ইরাকি কর্মকর্তারা আরও বলেন, ফ্রান্সের একটি স্লিপার সেল হামলাকারীদের প্রশিক্ষণের পর তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করে। ওই অভিযানে জড়িত ছিল মোট ২৪ জন। এর মধ্যে ১৯ জন হামলাকারী এবং ৫ জনের দায়িত্ব ছিল লজিস্টিকস ও পরিকল্পনার। রোববার ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আল জাফারি ভিয়েনাতে সাংবাদিকদের বলেন, ইরাকি গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন যে, কয়েকটি দেশ টার্গেট হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। আর তারা এ দেশগুলোকে এসব গোয়েন্দা তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন।
‘প্যারিস হামলার নেপথ্য নায়ক ইসরাইল’
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেছেন, প্যারিস হামলার নেপথ্য নায়ক ইসরাইল। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর আগে পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও নয়। মাহাথির বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ পশ্চিমা বিশ্বের একজন কট্টোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। গত শুক্রবার রাতে প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১৩২ জন নিহত হন। ফ্রান্স এ হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করেছে। এক বার্তায় আইএসও এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে বলা হচ্ছে।
No comments