ডা. মিথিলার সুইসাইডাল নোট: তোমাকে অসুখী হওয়ার দরকার নেই
‘মিজানূর রহমান ও তানজিলা জাহান মিথিলা। চিকিৎসক দম্পতি। তাদের দুই জনেরই কর্মস্থল ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকতো। সদ্য অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নির্বাচন নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলেন মিজানূর রহমান। মিথিলা তার স্বামীকে বিভিন্ন কারণে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিকবার ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একাধিকবার মোবাইল ক্ষুদে বার্তা পাঠান। তবুও তিনি কলব্যাক করেননি। পরে অভিমানে ‘তোমাকে অসুখী হওয়ার দরকার নেই’ বলে একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এমনটাই দাবি করেছেন মিথিলার পরিবারের সদস্যরা। চিরকুটটি বিছানার ওপরে পড়ে ছিল। স্ত্রীর মৃত্যুতে মিজানূর রহমান অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। রোববার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পেছনে আবাসিক কোয়ার্টারে ছয়তলা ভবনের নিচতলার এ/৪ নম্বর কক্ষে আত্মহত্যা করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক মিথিলা (২৭)। পরে পুলিশ ওই বাসার দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সূত্র জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ গ্রহণ করেন নিহতের মামা খন্দকার আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় নিহতের আরেক মামা খন্দকার শরীফ উদ্দীন শাহবাগ থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
গতকাল দুপুরে ওই ছয়তলা ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা থাকেন। কেউ পরিবার নিয়ে থাকেন। আবার কেউ ব্যাচেলর থাকেন। নিচতলার দুই রুমের বাসায় ওই চিকিৎসক দম্পতি থাকতেন। নিচতলার বাসিন্দা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে টানাপড়েন চলে আসছিল। মিথিলা মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। নিহতের মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, মিথিলা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেছিলেন। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করছিলেন। আর মিথিলার স্বামী মিজানূর রহমান ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ছিলেন। বিয়ের পর থেকে তারা ওই আবাসিক ভবনে থাকতেন। বিয়ের পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। মিথিলার বাবার নাম মো. ফিরোজ মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর থানার মনোহর এলাকায়। নিহতের মামা খন্দকার আমিনুল হক জানান, ছোট থেকে মিথিলা মেধাবী ছিল। স্বপ্ন দেখতো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে। তা-ই হয়েছিল মিথিলা। স্বামীর মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অকালে মারা গেলো সে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী মো. আবু শ্যামা জানান, নিহতের শরীরের কোনস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। গলায় দাগ ছিল। প্রাথমিকভাকে ধারণা করা হচ্ছে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু, পরিবারের অভিযোগ ছিল ভিন্ন। তাই তার ভিসেরা পরীক্ষা করার জন্য মহাখালীর পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। শাহবাগ থানার এসআই জামশেদ আহমেদ জানান, নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের মামা খন্দকার শরীফ উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে ওই নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর তার স্বামী মিজানূর রহমান গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ওয়াদুদ চৌধুরী জানান, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মিজানূর রহমানের হার্টে (পেইন) বেদনা হচ্ছে। তাকে পর্যপেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ওই ছয়তলা ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা থাকেন। কেউ পরিবার নিয়ে থাকেন। আবার কেউ ব্যাচেলর থাকেন। নিচতলার দুই রুমের বাসায় ওই চিকিৎসক দম্পতি থাকতেন। নিচতলার বাসিন্দা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে টানাপড়েন চলে আসছিল। মিথিলা মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। নিহতের মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, মিথিলা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেছিলেন। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করছিলেন। আর মিথিলার স্বামী মিজানূর রহমান ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ছিলেন। বিয়ের পর থেকে তারা ওই আবাসিক ভবনে থাকতেন। বিয়ের পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। মিথিলার বাবার নাম মো. ফিরোজ মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর থানার মনোহর এলাকায়। নিহতের মামা খন্দকার আমিনুল হক জানান, ছোট থেকে মিথিলা মেধাবী ছিল। স্বপ্ন দেখতো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে। তা-ই হয়েছিল মিথিলা। স্বামীর মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অকালে মারা গেলো সে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী মো. আবু শ্যামা জানান, নিহতের শরীরের কোনস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। গলায় দাগ ছিল। প্রাথমিকভাকে ধারণা করা হচ্ছে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু, পরিবারের অভিযোগ ছিল ভিন্ন। তাই তার ভিসেরা পরীক্ষা করার জন্য মহাখালীর পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। শাহবাগ থানার এসআই জামশেদ আহমেদ জানান, নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের মামা খন্দকার শরীফ উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে ওই নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর তার স্বামী মিজানূর রহমান গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ওয়াদুদ চৌধুরী জানান, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মিজানূর রহমানের হার্টে (পেইন) বেদনা হচ্ছে। তাকে পর্যপেক্ষণে রাখা হয়েছে।
No comments