এমপির বাসা থেকে গ্রেপ্তার নাদিয়ার খুনি হাবিব
ছাত্রী
নাদিরা হত্যার মূল হোতা ড্রাইভার হাবিবকে এমপির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় সংসদ সদস্য আনোয়ার আবেদীন তুহিনের বাসা
থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘাতক হাবিব জানায়, নাদিরা হত্যাকাণ্ডে
এমপির প্রাইভেট কারটি ব্যবহার করেছে। ওদিকে, শোকে বাবা-মা পাগলপ্রায়। গরিব
ভ্যান চালক নাদিরার পিতা ইউনুস আলী মেয়ে হারানোর শোকে নিথর হয়ে গেছেন। তিনি
মেয়ে হত্যাকারী হাবিবের ফাঁসি দাবি করেন। মেয়ের চাচা উজ্জ্বল জানান, গত
১২ই নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে মাসকান্দা গণসার মোড় হাজী রাড়ি এলাকার বাসা
থেকে নাদিরা সুলতানা আইরিন (১১) বই খাতা নিয়ে স্কুলে যায়। সে জেলা পরিষদ
স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে স্কুল ছুটি হয়।
বাসায় যাওয়ার পথে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ০১৪-৮০৯৯) নিয়ে ওতপেতে
থাকা তারই ফুফাত ভাই ড্রাইভার হাবিবুর রহমান হাবিব নাদিরাকে গাড়িতে তুলে
নিয়ে যায়। বেলা ৩টা পর্যন্ত নাদিরা বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন
খোঁজাখুঁজি শুরু করে। নাদিরার বাবা মেয়েকে খুঁজতে স্কুলের সামনে এলে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্কুলের ড্রেস পরা একটি মেয়েকে একজন যুবক প্রাইভেট
কারে তুলে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৩টা বা ৪টার দিকে চাচা উজ্জ্বলের
মোবাইলে ফোন আসে বাদে কল্পা বাইপাস সড়কের পাশে ধান ক্ষেতে স্কুল ড্রেস
পরিহিত এক মেয়ের লাশ আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পেঁছে। পরিবারের লোকজন
সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে। নাদিরার মা জানান, পাশের বাসায় থাকে নাদিরার
ফুফু হাফিজার ছেলে ড্রাইভার হাবিব। হাবিবের বাবার নাম সাইফুল ইসলাম।
গ্রামের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়। হাবিব মোবাইল চার্জ দিতে প্রায়ই তাদের বাসায়
যেত। অহরহ যাওয়া-আসার জন্য নাদিরার বাবা ইউনুস তার ভাগ্নে হাবিবকে অহরহ
যেতে মানাও করেছিল। হাবিব এমপি অনোয়ারুল আবেদিন তুহিনের গাড়ির ড্রাইভার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সহকারী শফিকুল ইসলাম তপন জানান, অনুমান আড়াইটার দিকে আকুয়া খালেরপাড় নামক স্থানে হাবিব যখন নাদিরাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে যাচ্ছিল তখন রাস্তার পাশে থাকা লোকজন মেয়ের কান্না শুনতে পায়। তাদের সন্দেহ হলে গাড়িটি আটক করে চালকের আসনে বসা হলুদ গেঞ্জি পরা ড্রাইভার হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়েটি কাঁদছে কেন। হাবিব জানায়, তার ছোট বোন বাসায় যেতে দেরি হচ্ছে বলে কাঁদছে। গাড়ির পিছনের সিটে বসা মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তার ভাই হয়। বাসায় যেতে দেরি হচ্ছে বলে সে কাঁদছে। গাড়িটি ছেড়ে দিলে বাইপাস সড়কে মুক্তাগাছার দিকে চলে যায়। এ সময় তপন প্রাইভেটকারের নম্বরটি লিখে রাখেন। ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টা পরে টেলিভিশনে খবর দেখতে পান ধান ক্ষেতে স্কুলছাত্রী লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দেখে নিশ্চিত হন ঘণ্টা দেড়েক আগে আটক সেই মেয়েটি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে জানান। ডিবি পুলিশ তপনকে সঙ্গে নিয়ে হাবিবকে শনাক্ত করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সানকিপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ অনোয়ারুল আবেদিন তুহিনের নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে গাড়ির ড্রাইভার হাবিবুর রহমান হাবিবকে (২২) আটক করে। এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের হোতা ড্রাইভার হাবিব জাতীয় সংসদের স্টিকারযুক্ত এমপির প্রাইভেটকারটি ব্যবহার করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্কুলছাত্রী নাদিরাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে ফুঁসলিয়ে একটি গাড়িতে তুলে। পরে গাড়িতেই নাদিরার শ্বাসনালীতে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ও গলা কাটার চেষ্টা করে হাাবিব। এ সময় তার মৃত্যু নিশ্চিত করে শহরতলির বাদে কল্পা এলাকায় একটি ধানক্ষেতের পাশে মরদেহ ফেলে যায়। পুলিশ জানায় গলায় ৩টি কমরের ডান পাশে ১৩টি ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নাদিরাকে ড্রাইভার হাবিব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু সে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং জানাজানি হবার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত নাদিরা ঘাতক ড্রাইভার হাবিবের ফুফাতো বোন। এ ঘটনায় নাদিরার বাবা ইউনুস আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, আরও কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা এ ব্যাপারে আটককৃত হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সহকারী শফিকুল ইসলাম তপন জানান, অনুমান আড়াইটার দিকে আকুয়া খালেরপাড় নামক স্থানে হাবিব যখন নাদিরাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে যাচ্ছিল তখন রাস্তার পাশে থাকা লোকজন মেয়ের কান্না শুনতে পায়। তাদের সন্দেহ হলে গাড়িটি আটক করে চালকের আসনে বসা হলুদ গেঞ্জি পরা ড্রাইভার হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়েটি কাঁদছে কেন। হাবিব জানায়, তার ছোট বোন বাসায় যেতে দেরি হচ্ছে বলে কাঁদছে। গাড়ির পিছনের সিটে বসা মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তার ভাই হয়। বাসায় যেতে দেরি হচ্ছে বলে সে কাঁদছে। গাড়িটি ছেড়ে দিলে বাইপাস সড়কে মুক্তাগাছার দিকে চলে যায়। এ সময় তপন প্রাইভেটকারের নম্বরটি লিখে রাখেন। ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টা পরে টেলিভিশনে খবর দেখতে পান ধান ক্ষেতে স্কুলছাত্রী লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দেখে নিশ্চিত হন ঘণ্টা দেড়েক আগে আটক সেই মেয়েটি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে জানান। ডিবি পুলিশ তপনকে সঙ্গে নিয়ে হাবিবকে শনাক্ত করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সানকিপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ অনোয়ারুল আবেদিন তুহিনের নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে গাড়ির ড্রাইভার হাবিবুর রহমান হাবিবকে (২২) আটক করে। এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের হোতা ড্রাইভার হাবিব জাতীয় সংসদের স্টিকারযুক্ত এমপির প্রাইভেটকারটি ব্যবহার করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্কুলছাত্রী নাদিরাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে ফুঁসলিয়ে একটি গাড়িতে তুলে। পরে গাড়িতেই নাদিরার শ্বাসনালীতে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ও গলা কাটার চেষ্টা করে হাাবিব। এ সময় তার মৃত্যু নিশ্চিত করে শহরতলির বাদে কল্পা এলাকায় একটি ধানক্ষেতের পাশে মরদেহ ফেলে যায়। পুলিশ জানায় গলায় ৩টি কমরের ডান পাশে ১৩টি ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নাদিরাকে ড্রাইভার হাবিব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু সে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং জানাজানি হবার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত নাদিরা ঘাতক ড্রাইভার হাবিবের ফুফাতো বোন। এ ঘটনায় নাদিরার বাবা ইউনুস আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, আরও কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা এ ব্যাপারে আটককৃত হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
No comments