প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টির বিবৃতি
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান
মোহাম্মদ মুজাহিদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি
ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি
ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, দুই বিরোধী নেতা যাদের ত্রুটিযুক্ত বিচার প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে দেয়া মৃত্যুদন্ড আসন্ন- সে বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
সাম্প্রতিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার মন্তব্য- বাংলাদেশের উদ্বেগজনক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের
সমালোচনা এর বিষয়টিকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অন্য খাতে প্রবাহিত করার মরিয়া
প্রচেষ্টার প্রতিফলন মাত্র।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংগঠনের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ যা বাংলাদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, তা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে, যা ডাহা মিথ্যা এবং যা সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডকে কোন রকম খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার প্রতি ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার অংশ হিসাবেই এই বিষয়টিকে দেখতে হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি স্বাধীন সংগঠন যা কোন মানুষের পরিচিতি এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে, ন্যায়বিচারের জন্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষদের জন্য এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযান চালায়।
ধারাবাহিকভাবে আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি সরকারের সময় এবং সমানভাবে জাতীয় পার্টির সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষেদের অধিকার রক্ষা করার যখন প্রয়োজন হয়েছে, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সংগঠনটি তখন তা করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে কোন পরিস্থিতির অধীনে সব ক্ষেত্রেই নিঃশর্তভাবে মৃত্যুদন্ডের বিরোধীতা করে। মৃত্যুদন্ড বিলোপের জন্য ডাক দেয়ার মানে এই নয় যে অপরাধের শাস্তি হবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই ন্যায্য বিচারের মধ্যে দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তা মৃত্যুদন্ডের আশ্রয় ছাড়াই তা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি বিবৃতি সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে, সংস্থাটিকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। গত রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে বিবৃতি দিয়েছে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। টাকার বিনিময়ে অ্যামনেস্টি এমন বিবৃতি দিতে পারে বলেও ইংগিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংগঠনের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ যা বাংলাদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, তা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে, যা ডাহা মিথ্যা এবং যা সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডকে কোন রকম খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার প্রতি ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার অংশ হিসাবেই এই বিষয়টিকে দেখতে হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি স্বাধীন সংগঠন যা কোন মানুষের পরিচিতি এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে, ন্যায়বিচারের জন্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষদের জন্য এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযান চালায়।
ধারাবাহিকভাবে আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি সরকারের সময় এবং সমানভাবে জাতীয় পার্টির সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষেদের অধিকার রক্ষা করার যখন প্রয়োজন হয়েছে, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সংগঠনটি তখন তা করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে কোন পরিস্থিতির অধীনে সব ক্ষেত্রেই নিঃশর্তভাবে মৃত্যুদন্ডের বিরোধীতা করে। মৃত্যুদন্ড বিলোপের জন্য ডাক দেয়ার মানে এই নয় যে অপরাধের শাস্তি হবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই ন্যায্য বিচারের মধ্যে দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তা মৃত্যুদন্ডের আশ্রয় ছাড়াই তা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি বিবৃতি সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে, সংস্থাটিকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। গত রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে বিবৃতি দিয়েছে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। টাকার বিনিময়ে অ্যামনেস্টি এমন বিবৃতি দিতে পারে বলেও ইংগিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
No comments