টাইমস স্কোয়ারে বিবস্ত্র নারী
নিউ
ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার। সেখানে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের চলাফেরা। সেই
ব্যস্ত এলাকায় অকস্মাৎ বিবস্ত্র দুই নারী। তারা শরীরের উপরিভাগে কিছুই পরেন
নি। কাপড়ের পরিবর্তে সেখানে লাল, সাদা আর নীল রঙ ব্যবহার করে আঁকাআকি করা
হয়েছে। পরণে কাপড় বলতে ইংরেজিতে যাকে থংস বলে তাই। পায়ে হাই হিল। চারপাশের
অসংখ্য মানুষ হা করে সেদিকে তাকিয়ে আছে। তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।
তারা অবলীলায় ২ বছরের কোন শিশুর সঙ্গে সেলফি দিচ্ছে তো আবার ছবি তুলছে।
নারী , পুরুষ, ছেলেবুড়ো এগিয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে ছবি তুলতে। ব্যস অমনি
ক্লিক। তাদের সঙ্গে ছবি উঠে যাচ্ছে উদ্ভট আচরণের ওই নারীর। তারা একজন দু’জন
নয়, কমপক্ষে তিনজন। তবে বার্তা সংস্থার ক্যামেরায় এমন দু’জন নারীকে ধারণ
করা হয়েছে। বিবস্ত্র ওই দু’ নারীর এক জন সাইরা নিকোল (২৯)। তিনি বলেছেন,
তারা সবই করতে পারেন । কারণ, তারা তো আর সংবিধান পাল্টে দিচ্ছেন না! এর
আগেও এমন হয়েছে। এই টাইম স্কোয়ারে উত্তেজিত কোন নারী হয়তো পথচারীকে জাপ্টে
ধরেছেন। তার বাহু জড়িয়ে ধরছেন। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য করছেন চবি তুলতে।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, একজন মানুষ ও একজন পিতা
হিসেবে আমি বলবো নিউ ইয়র্কের ব্যস্ততম স্থানে এভাবে একজন নারী নিজেকে
উন্মুক্ত বক্ষে তুলে ধরবেন। আর তাকে সমর্থন দিতে হবে। এটা যথার্থ নয়। নিউ
ইয়র্ক সিটিতে এভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেন না একজন নারী। ব্যবসায়ী গ্রুপ
টাইমস স্কোয়ার এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট টিম টম্পকিনস বলেছেন, এসব নগ্ন নারী
আক্ষরিক অর্থে নারীদের কান্নার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদি আপনি তাদেরকে শরীর
ঢাকার কথা বলেন তাহলে উল্টো হুমকি দেয়া হবে আপনাকে। সিটি কাউন্সিলম্যান
কোরে জনসন বলেছেন, এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেয়া দরকার। এর অর্থ এই নয় যে, এসব
মানুষ টাইমস স্কোয়ারে যেতে পারবে না। কিন্তু মানুষের গাদাগাদি ও
জননিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরকে থাকতে হবে একটি চিহ্নিত বা বিশেষায়িত
এলাকায়।
No comments