কাঁচাপাটের সংকট, বিপাকে রপ্তানিকারকরা
বিশ্ববাজারে
মন্দা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এবার কাঁচাপাটের কৃত্রিম সংকট ও
মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা। সর্বশেষ
২০১৩-২০১৫ ও ২০১৪-২০১৫ দুটি অর্থবছরের কাঁচাপাট রপ্তানি কমেছে। আর সুযোগ
নিচ্ছে মওসুমি ব্যবসায়ীরা। ফলে পাট সেক্টর থেকে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত
হচ্ছে, তেমনি প্রকৃত ব্যবসায়ীরা পথে বসতে চলেছেন। মওসুমি ব্যবসায়ীরা
স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচাপাট ক্রয় করে মজুদ করে রাখছে বলে অভিযোগ প্রকৃত
ব্যবসায়ীদের। আর কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে পাটের মূল্য বৃদ্ধিরও অভিযোগ রয়েছে
তাদের বিরুদ্ধে। ফলে প্রকৃত অনেক কাঁচাপাট ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে
নিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে কাঁচাপাট রপ্তানিতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন বিজেএ’র তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের কাঁচাপাট বিশ্বের প্রায় ২৮/৩০টি দেশে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান, চীন, ভারত, ব্রাজিল, আইভরিকোস্ট, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, রাশিয়া, জিবুতী, নেপাল, কিউবা, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এলসালভেদর, ফিলিপাইন, তিউনেশিয়া, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইথিওপিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, স্পেন, ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও ইতালি উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাঁচাপাট রপ্তানি হয় পাকিস্তান, চীন ও ভারতে। এসব দেশে ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মংলা, বেনাপোল, চট্টগ্রাম ও বাংলাবান্ধা বন্দর থেকে এক হাজার ১৩০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯১৫ বেল কাঁচাপাট রপ্তানি হয়, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে এক হাজার ৯০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ২১ লাখ ১২ হাজার ৪শ’ বেল, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এক হাজার ৫৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা মূল্যের ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭০ বেল, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এক হাজার ৪৩৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ২০ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২ বেল, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তা কমে গিয়ে মাত্র ৭০৬ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪ বেল এবং সর্বশেষ গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৭৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ৯ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ বেল কাঁচাপাট রপ্তানি হয়।
সূত্রটি জানায়, ২০০৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা প্রয়োগ করে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১০ সালের ৩রা জানুয়ারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে সরকার অপর এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রাপ্ত সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬টি ব্যাংকে যেসব এলসি খোলা হয়েছিল তার বিপরীতে রপ্তানির জন্য বন্দরে অপেক্ষমাণ কাঁচাপাটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। এরপর ২০১১ সালের ৯ই মার্চ বিদেশে কাঁচাপাটের বিটিআর (বাংলা তোষা রিজেকশন) ক্যাটাগরির চাহিদা থাকায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা পূর্বক বিআরটি ক্যাটাগরির কাঁচাপাট বন্ধ রাখা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। আর এসব জটিলতার কারণে বাংলাদেশের পাটের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের পাটকলগুলো পাটের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে কাঁচাপাট রপ্তানি করা হলেও বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা কমে যায়। এ ছাড়া দেখা দেয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। আকুঞ্জি ব্রাদার্সের মালিক হারুন-অর-রশিদ জানান, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সরকারি সিদ্ধান্তে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় রপ্তানি না হওয়ায় পাকিস্তান ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বেশকিছু পাটকল বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে পাট রপ্তানিতে বিপাকে পড়ে ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনের মাধ্যমে যদিও রপ্তানি আবারও শুরু হয়। তবে সেই রেস রয়ে যায়। মিলগুলো বন্ধ হওয়ায় দেশগুলোতে পাটের চাহিদা কমে যায়। আগে যেখানে পাকিস্তান ৬/৭ লাখ বেল পাট নিতো, গত বছরে তারা মাত্র ৩ লাখ ৮৮ হাজার বেল পাট নিয়েছে। এ ছাড়া চীনসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে পাট নেয়া কমিয়ে দেয়। ২০১২ সালের পর থেকে বিশ্ব বাজারে কাঁচাপাটের চাহিদা হ্রাস এবং রপ্তানি কমে যায়। ফলে ব্যবসায়ীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। আর বর্তমানে যখন বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে, তখন নতুন করে মওসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও বেড়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট কিনে মজুদ করে কৃত্রিম পাট সংকট সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহে পাটের মণ ছিল ১৫/১৬শ’ টাকা, আর বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৭/১৮শ’ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের মূল্য প্রায় ২শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে এক হাজার মণ পাট এক মাসের বেশি মজুদ রাখায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মওসুমি ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার মণ কাঁচাপাট কিনে দীর্ঘদিন মজুদ করে কৃত্রিম এ সংকটের সৃষ্টি করছে। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজেএ’র নেতা ফরহাদ আহম্মেদ আকন্দ জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে বর্তমানে বিশ্ব বাজারে কাঁচাপাটের চাহিদা বেড়েছে। তবে, বর্তমানে মওসুমি ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার মণ কাঁচাপাট ক্রয় করে গুদামজাত ও মজুদ করছেন। এর আগে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা কম থাকায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়েছেন। অনেকে ঋণের বোঝা নিয়ে চলছেন। আর এখন চলছে মওসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। ফলে দেশের মিলগুলোতে পাটের সংকট রয়েছে। অনেক মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত দৌলতপুর জুট মিলের প্রকল্প প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে মিলে এক মাসের পাট মজুদ রয়েছে। আর পাটের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা পাট মজুদ করে রাখার কারণে কাঁচাপাটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেএ’র সহকারী সচিব (খুলনা অফিস) আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববাজারে মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতা কারণে দেশের কাঁচাপাট রপ্তানি কমে যায়। এ ছাড়া ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ডলারের সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ায় তারা পাট আমদানি কমিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন বিজেএ’র তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের কাঁচাপাট বিশ্বের প্রায় ২৮/৩০টি দেশে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান, চীন, ভারত, ব্রাজিল, আইভরিকোস্ট, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, রাশিয়া, জিবুতী, নেপাল, কিউবা, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এলসালভেদর, ফিলিপাইন, তিউনেশিয়া, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইথিওপিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, স্পেন, ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও ইতালি উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাঁচাপাট রপ্তানি হয় পাকিস্তান, চীন ও ভারতে। এসব দেশে ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মংলা, বেনাপোল, চট্টগ্রাম ও বাংলাবান্ধা বন্দর থেকে এক হাজার ১৩০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯১৫ বেল কাঁচাপাট রপ্তানি হয়, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে এক হাজার ৯০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ২১ লাখ ১২ হাজার ৪শ’ বেল, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এক হাজার ৫৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা মূল্যের ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭০ বেল, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এক হাজার ৪৩৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ২০ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২ বেল, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তা কমে গিয়ে মাত্র ৭০৬ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪ বেল এবং সর্বশেষ গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৭৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ৯ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ বেল কাঁচাপাট রপ্তানি হয়।
সূত্রটি জানায়, ২০০৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা প্রয়োগ করে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১০ সালের ৩রা জানুয়ারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে সরকার অপর এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রাপ্ত সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬টি ব্যাংকে যেসব এলসি খোলা হয়েছিল তার বিপরীতে রপ্তানির জন্য বন্দরে অপেক্ষমাণ কাঁচাপাটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। এরপর ২০১১ সালের ৯ই মার্চ বিদেশে কাঁচাপাটের বিটিআর (বাংলা তোষা রিজেকশন) ক্যাটাগরির চাহিদা থাকায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা পূর্বক বিআরটি ক্যাটাগরির কাঁচাপাট বন্ধ রাখা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। আর এসব জটিলতার কারণে বাংলাদেশের পাটের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের পাটকলগুলো পাটের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে কাঁচাপাট রপ্তানি করা হলেও বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা কমে যায়। এ ছাড়া দেখা দেয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। আকুঞ্জি ব্রাদার্সের মালিক হারুন-অর-রশিদ জানান, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সরকারি সিদ্ধান্তে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় রপ্তানি না হওয়ায় পাকিস্তান ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বেশকিছু পাটকল বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে পাট রপ্তানিতে বিপাকে পড়ে ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনের মাধ্যমে যদিও রপ্তানি আবারও শুরু হয়। তবে সেই রেস রয়ে যায়। মিলগুলো বন্ধ হওয়ায় দেশগুলোতে পাটের চাহিদা কমে যায়। আগে যেখানে পাকিস্তান ৬/৭ লাখ বেল পাট নিতো, গত বছরে তারা মাত্র ৩ লাখ ৮৮ হাজার বেল পাট নিয়েছে। এ ছাড়া চীনসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে পাট নেয়া কমিয়ে দেয়। ২০১২ সালের পর থেকে বিশ্ব বাজারে কাঁচাপাটের চাহিদা হ্রাস এবং রপ্তানি কমে যায়। ফলে ব্যবসায়ীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। আর বর্তমানে যখন বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে, তখন নতুন করে মওসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও বেড়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট কিনে মজুদ করে কৃত্রিম পাট সংকট সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহে পাটের মণ ছিল ১৫/১৬শ’ টাকা, আর বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৭/১৮শ’ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের মূল্য প্রায় ২শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে এক হাজার মণ পাট এক মাসের বেশি মজুদ রাখায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মওসুমি ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার মণ কাঁচাপাট কিনে দীর্ঘদিন মজুদ করে কৃত্রিম এ সংকটের সৃষ্টি করছে। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজেএ’র নেতা ফরহাদ আহম্মেদ আকন্দ জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে বর্তমানে বিশ্ব বাজারে কাঁচাপাটের চাহিদা বেড়েছে। তবে, বর্তমানে মওসুমি ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার মণ কাঁচাপাট ক্রয় করে গুদামজাত ও মজুদ করছেন। এর আগে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা কম থাকায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়েছেন। অনেকে ঋণের বোঝা নিয়ে চলছেন। আর এখন চলছে মওসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। ফলে দেশের মিলগুলোতে পাটের সংকট রয়েছে। অনেক মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত দৌলতপুর জুট মিলের প্রকল্প প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে মিলে এক মাসের পাট মজুদ রয়েছে। আর পাটের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা পাট মজুদ করে রাখার কারণে কাঁচাপাটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেএ’র সহকারী সচিব (খুলনা অফিস) আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববাজারে মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতা কারণে দেশের কাঁচাপাট রপ্তানি কমে যায়। এ ছাড়া ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ডলারের সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ায় তারা পাট আমদানি কমিয়ে দেয়।
No comments