ব্যর্থতা নিয়েই বেঁচে আছি: সফিউল্লাহ
আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ বলেছেন,
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি রক্ষা করতে যেতে
পারেননি। এটা তাঁর ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা নিয়েই তিনি বেঁচে আছেন। সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ৪০
তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা পরিষদ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে কে এম সফিউল্লাহ এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু
হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন করা যেতে পারে
বলেও মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। সফিউল্লাহর সে সময়ের ভূমিকা নিয়ে গণমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা হয়।
আলোচনা সভায় সফিউল্লাহ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই বঙ্গবন্ধু নিহত হন। বঙ্গবন্ধুকে আমি রক্ষা করতে যেতে পারিনি—এই ব্যর্থতা নিয়েই আমি বেঁচে আছি।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন, বিগ্রেডিয়ার জামিল বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে যেতে পারলে আমি কেন গেলাম না? আমি সেদিন যদি একা ৩২ নম্বরে যেতাম, তাহলে আমার পরিণতিও জামিলের মতো হতো। আমি সেদিন মারা গেলে, যাঁরা আজকে আমার সমালোচনা করছেন তাঁরা খুশি হতেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে যেতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। এই হত্যার পেছনে কারা জড়িত তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন করা যেতে পারে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরের ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পর খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল খুবই রহস্যজনক। মেজর ডালিম অস্ত্রের মুখে আমাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে গিয়ে মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য করেন। ১৫ থেকে ১৮ আগস্ট তিন দিন একই পোশাকে বঙ্গভবনে আমি প্রায় অবরুদ্ধ ছিলাম। এই সময় মোশতাকের কথাবার্তায় মনে হয়েছে সে তিন মাস আগে থেকেই সামরিক আইন জারির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মোশতাককে খুবই বিশ্বাস করতেন। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুত্ফর রহমান মারা যান ১৯৭৫ সালের ১৬ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লঞ্চে টুঙ্গিপাড়া যান পিতার লাশ দাফন করতে। সেই লঞ্চে পরিবারের সদস্যদের বাইরে একমাত্র মোশতাকই ছিলেন। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর পিতার লাশ দাফনের সময় মোশতাকও কবরে নামেন। লাশ দাফনের সময় মোশতাক কবর থেকে না উঠে চিত্কার করে লোকজনকে শুনিয়ে বলতে থাকেন, “আমার বাবা মরে গেছে। আমার বেঁচে থেকে কী হবে? আমাকে আমার বাবার সঙ্গে কবর দিয়ে দাও। ” এভাবে ধূর্ত মোশতাক বঙ্গবন্ধু পরিবারের আস্থা অর্জন করেন।’
কে এম সফিউল্লাহ আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা বিভাগ সেনা প্রধানের নিয়ন্ত্রণে নয়, সরাসরি রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর পর আমি ৪৬ বিগ্রেডকে নির্দেশ দিয়েছিলাম মুভ করার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ১৫ আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর আর্মড এবং আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের নৈশকালীন অনুশীলন ছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা এই নৈশকালীন অনুশীলনের নাম করে ট্যাঙ্ক নিয়ে ধানমন্ডির পথে রওনা হয়। ফলে গোয়েন্দারাও কোনো সন্দেহ করেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে শোক সভায় আরও বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ঢাকা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজেদ আলী খোকন প্রমুখ।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। সফিউল্লাহর সে সময়ের ভূমিকা নিয়ে গণমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা হয়।
আলোচনা সভায় সফিউল্লাহ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই বঙ্গবন্ধু নিহত হন। বঙ্গবন্ধুকে আমি রক্ষা করতে যেতে পারিনি—এই ব্যর্থতা নিয়েই আমি বেঁচে আছি।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন, বিগ্রেডিয়ার জামিল বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে যেতে পারলে আমি কেন গেলাম না? আমি সেদিন যদি একা ৩২ নম্বরে যেতাম, তাহলে আমার পরিণতিও জামিলের মতো হতো। আমি সেদিন মারা গেলে, যাঁরা আজকে আমার সমালোচনা করছেন তাঁরা খুশি হতেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে যেতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। এই হত্যার পেছনে কারা জড়িত তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন করা যেতে পারে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরের ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পর খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল খুবই রহস্যজনক। মেজর ডালিম অস্ত্রের মুখে আমাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে গিয়ে মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য করেন। ১৫ থেকে ১৮ আগস্ট তিন দিন একই পোশাকে বঙ্গভবনে আমি প্রায় অবরুদ্ধ ছিলাম। এই সময় মোশতাকের কথাবার্তায় মনে হয়েছে সে তিন মাস আগে থেকেই সামরিক আইন জারির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মোশতাককে খুবই বিশ্বাস করতেন। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুত্ফর রহমান মারা যান ১৯৭৫ সালের ১৬ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লঞ্চে টুঙ্গিপাড়া যান পিতার লাশ দাফন করতে। সেই লঞ্চে পরিবারের সদস্যদের বাইরে একমাত্র মোশতাকই ছিলেন। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর পিতার লাশ দাফনের সময় মোশতাকও কবরে নামেন। লাশ দাফনের সময় মোশতাক কবর থেকে না উঠে চিত্কার করে লোকজনকে শুনিয়ে বলতে থাকেন, “আমার বাবা মরে গেছে। আমার বেঁচে থেকে কী হবে? আমাকে আমার বাবার সঙ্গে কবর দিয়ে দাও। ” এভাবে ধূর্ত মোশতাক বঙ্গবন্ধু পরিবারের আস্থা অর্জন করেন।’
কে এম সফিউল্লাহ আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা বিভাগ সেনা প্রধানের নিয়ন্ত্রণে নয়, সরাসরি রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর পর আমি ৪৬ বিগ্রেডকে নির্দেশ দিয়েছিলাম মুভ করার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ১৫ আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর আর্মড এবং আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের নৈশকালীন অনুশীলন ছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা এই নৈশকালীন অনুশীলনের নাম করে ট্যাঙ্ক নিয়ে ধানমন্ডির পথে রওনা হয়। ফলে গোয়েন্দারাও কোনো সন্দেহ করেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে শোক সভায় আরও বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ঢাকা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজেদ আলী খোকন প্রমুখ।
No comments