স্বামীদের ছেড়ে যাচ্ছেন দুই বোন দয়া ও ছবি by হারুন আল রশীদ ও শহীদুল ইসলাম
বাস্তবতা মাঝে মাঝে বড় নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। যখন আসন্ন মুক্তির আনন্দে ভাসছে পঞ্চগড়ের কোটভাজনী ছিটমহলের বাসিন্দারা, তখন নাটকীয়তায় ভরা বাস্তবতা কাঁদাচ্ছে দুই বোন দয়া রানী ও ছবি রানীকে। দুজনই তাঁদের স্বামীদের বাংলাদেশে রেখে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কোটভাজনী ছিটমহলের নতুন বাজারে যখন বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা ভারতে যেতে আগ্রহীদের শুনানি গ্রহণ করছিলেন, তখনো দয়া ও ছবি ছিলেন সিদ্ধান্তহীন। কর্তৃপক্ষকে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় পার হয়ে গেছে।
এর আগেই দুপুরে দয়া ও ছবির ভাই কমলেশ্বর কুমার প্রথম আলোকে জানান, তাঁর দুই বোন দয়া ও ছবি ভারতে চলে যাবেন। ছবির পাঁচ বছর বয়সী ছেলে দিগন্ত কুমার রায় ও দয়ার চার বছর বয়সী ছেলে বাঁধন চন্দ্র রায় তাঁদের সঙ্গে যাবে। দয়ার স্বামী হৃদয় কুমার রায় ও ছবির স্বামী ভূপেশ কুমার রায় বাংলাদেশে থেকে যাবেন। কমলেশ্বর আরও জানান, তাঁর বাবা-মা, চার ভাই ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তানেরাও ভারতে চলে যাচ্ছেন।
দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী, ছিটমহলে ২০১১ সালের জনগণনায় যাঁদের নাম ছিল কেবল তাঁরা ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। এ ছাড়া ২০১১ সালের পর তাঁদের পরিবারে জন্ম নেওয়া এবং বৈবাহিক সূত্রে পরিবারের সদস্য হওয়া ব্যক্তিরা ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। কিন্তু ২০১১ সালের জনগণনার তালিকায় দয়া ও ছবির নাম থাকলেও তাঁদের স্বামীদের নাম নেই।
হৃদয় ও ভূপেশ শুনানি গ্রহণকারী পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম ও কোচবিহারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৌমেন দত্তকে জানান, তাঁরা ঢাকায় কাজ করেন। যে কারণে ২০১১ সালের গণনার সময় তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। দয়া ও ছবি বলেন, তাঁরা পারিবারিকভাবে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু স্বামীদের রেখে কীভাবে যাবেন?
তাঁদের প্রশ্নের জবাবে সৌমেন দত্ত বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে আপনাদের সমস্যার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তা ছাড়া আপনারা চাইলে বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেলেও দয়া ও ছবি ছিলেন সিদ্ধান্তহীন। তবে গতকাল দুই বোন প্রথম আলোকে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দয়া বলেন, ‘না গিয়ে কোনো উপায় নেই। কারণ আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সবাই চলে যাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ব।’
ছবি বলেন, ‘ভাইদের সঙ্গে আমরা ভারতে থাকব। সেখানে কোনো সমস্যা হবে না। ভারতে গিয়ে সরকারকে আমার স্বামীকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করব।’
বৃহস্পতিবার কোটভাজনী ছিটমহলের নতুন বাজারে যখন বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা ভারতে যেতে আগ্রহীদের শুনানি গ্রহণ করছিলেন, তখনো দয়া ও ছবি ছিলেন সিদ্ধান্তহীন। কর্তৃপক্ষকে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় পার হয়ে গেছে।
এর আগেই দুপুরে দয়া ও ছবির ভাই কমলেশ্বর কুমার প্রথম আলোকে জানান, তাঁর দুই বোন দয়া ও ছবি ভারতে চলে যাবেন। ছবির পাঁচ বছর বয়সী ছেলে দিগন্ত কুমার রায় ও দয়ার চার বছর বয়সী ছেলে বাঁধন চন্দ্র রায় তাঁদের সঙ্গে যাবে। দয়ার স্বামী হৃদয় কুমার রায় ও ছবির স্বামী ভূপেশ কুমার রায় বাংলাদেশে থেকে যাবেন। কমলেশ্বর আরও জানান, তাঁর বাবা-মা, চার ভাই ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তানেরাও ভারতে চলে যাচ্ছেন।
দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী, ছিটমহলে ২০১১ সালের জনগণনায় যাঁদের নাম ছিল কেবল তাঁরা ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। এ ছাড়া ২০১১ সালের পর তাঁদের পরিবারে জন্ম নেওয়া এবং বৈবাহিক সূত্রে পরিবারের সদস্য হওয়া ব্যক্তিরা ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। কিন্তু ২০১১ সালের জনগণনার তালিকায় দয়া ও ছবির নাম থাকলেও তাঁদের স্বামীদের নাম নেই।
হৃদয় ও ভূপেশ শুনানি গ্রহণকারী পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম ও কোচবিহারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৌমেন দত্তকে জানান, তাঁরা ঢাকায় কাজ করেন। যে কারণে ২০১১ সালের গণনার সময় তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। দয়া ও ছবি বলেন, তাঁরা পারিবারিকভাবে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু স্বামীদের রেখে কীভাবে যাবেন?
তাঁদের প্রশ্নের জবাবে সৌমেন দত্ত বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে আপনাদের সমস্যার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তা ছাড়া আপনারা চাইলে বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেলেও দয়া ও ছবি ছিলেন সিদ্ধান্তহীন। তবে গতকাল দুই বোন প্রথম আলোকে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দয়া বলেন, ‘না গিয়ে কোনো উপায় নেই। কারণ আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সবাই চলে যাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ব।’
ছবি বলেন, ‘ভাইদের সঙ্গে আমরা ভারতে থাকব। সেখানে কোনো সমস্যা হবে না। ভারতে গিয়ে সরকারকে আমার স্বামীকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করব।’
No comments