পাঁচ বছরেও সড়কটি পাকা হয়নি, বিছানো হলো ইট
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ছোনকা-বিনোদপুরহাট সড়কের ৭৫০ মিটার পাঁচ বছরেও পাকা হয়নি। গত জুন মাসে সেখানে ইট বিছানো (সলিং) হয়েছে।
স্থানীয় চুনিতাপাড়া গ্রামের পাঁচজন কৃষক অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলায় সড়কটি পাঁচ বছরেও পাকা হয়নি। পাকার পরিবর্তে তাঁরা পেলেন ইট বিছানো সড়ক।
উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ২০১০ সালের জুন মাসে পাকাকরণের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার সড়কের কাজ ফেলে চলে যান। এরপর তিনি ফিরে না আসায় পাকাকরণের কাজ শেষ হয়নি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ওই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি পাকাকরণের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। যেটুকু ইট বিছানো হয়েছে, এতে মানুষজনের চলাচলে উপকার হবে।
উপজেলার সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই সড়কটুকু তাঁর ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। গত তিন বছরে কয়েকবার সড়কটি দ্রুত পাকা করার কথা উপজেলার সমন্বয় কমিটির সভায় তুলে ধরা হয়েছে। এতে কোনো উপকার হয়নি। কিন্তু পাশের ১০টি গ্রামের মানুষ বিনোদপুর ও ছোনকাহাটে কৃষিপণ্য কেনাবেচা করার জন্য এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটির জন্য গ্রামের লোকজনকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ছোনকা থেকে বিনোদপুরহাট পর্যন্ত সড়কটি সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সড়কের চকসাদী চৌরাস্তা থেকে বিনোদপুরহাট পর্যন্ত ৭৫০ মিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা থাকায় জনগণ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। ২০০৯-১০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই অংশটুকু উন্নয়ন ও পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। বগুড়ার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নওগাঁর মো. গোলাম কিবরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায় এবং প্রায় ছয় লাখ টাকার উন্নয়নকাজ করে। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। তবে এ কাজের বিপরীতে ঠিকাদার কত টাকা উত্তোলন করেছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেননি উপজেলা প্রকৌশলী মো. ওবায়দুল ইসলাম।
সর্বশেষ গত জুন মাসে সড়কের এই অংশের মধ্যে ‘চকসাদী চৌরাস্তা থেকে চকরাজীব আয়নাল মাস্টারের বাড়ির চৌরাস্তা পর্যন্ত’ প্রায় ৩৮০ মিটার ‘উপজেলা উন্নয়ন তহবিল ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি)’ আওতায় ইট বিছানো হয়েছে। এ জন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ কাজের ঠিকাদার ছিলেন বগুড়ার মালতিনগর এলাকার মেসার্স এস কে এস কনস্ট্রাকশন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সরোয়ার জাহান বলেন, সড়কটির ইট বিছানো ওই অংশে বিগত বছরে পাকাকরণের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছিল এ কথা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে তাঁকে জানানো হয়নি।
সড়কটির পাশের চুনিতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল মজিদ বলেন, ‘২০১০ সালে রাস্তায় কাজ করার সময় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকজন তাঁদের বলেছিল রাস্তাটা পাকা হবে। শুইনা গেরামের মানুষজন আনন্দে ছিলাম। পাঁচ বছরেও রাস্তাডা পাকা হয়নি। জুন মাসের মাঝামাঝিতে একদিন সকালে কয়েকজন লোক এসে রাস্তাডার ওপর বালি ফেলে ইট বিছায় যাচ্ছে।’ একই গ্রামের কৃষক ফজর আলী বলেন, এই সড়কটার ওপর দিয়ে আশপাশের ১০ গ্রামের কৃষকেরা খেতের ফসল হাটবাজারে নেন। পাঁচ বছর ধরে সড়কটি পাকা না করায় গ্রামের কৃষকের কষ্ট বেড়েছে। ভ্যানচালক নুরনবী ও আলী সড়কটি পাকা করার দাবি করেন।
স্থানীয় চুনিতাপাড়া গ্রামের পাঁচজন কৃষক অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলায় সড়কটি পাঁচ বছরেও পাকা হয়নি। পাকার পরিবর্তে তাঁরা পেলেন ইট বিছানো সড়ক।
উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ২০১০ সালের জুন মাসে পাকাকরণের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার সড়কের কাজ ফেলে চলে যান। এরপর তিনি ফিরে না আসায় পাকাকরণের কাজ শেষ হয়নি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ওই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি পাকাকরণের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। যেটুকু ইট বিছানো হয়েছে, এতে মানুষজনের চলাচলে উপকার হবে।
উপজেলার সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই সড়কটুকু তাঁর ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। গত তিন বছরে কয়েকবার সড়কটি দ্রুত পাকা করার কথা উপজেলার সমন্বয় কমিটির সভায় তুলে ধরা হয়েছে। এতে কোনো উপকার হয়নি। কিন্তু পাশের ১০টি গ্রামের মানুষ বিনোদপুর ও ছোনকাহাটে কৃষিপণ্য কেনাবেচা করার জন্য এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটির জন্য গ্রামের লোকজনকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ছোনকা থেকে বিনোদপুরহাট পর্যন্ত সড়কটি সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সড়কের চকসাদী চৌরাস্তা থেকে বিনোদপুরহাট পর্যন্ত ৭৫০ মিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা থাকায় জনগণ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। ২০০৯-১০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই অংশটুকু উন্নয়ন ও পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। বগুড়ার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নওগাঁর মো. গোলাম কিবরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায় এবং প্রায় ছয় লাখ টাকার উন্নয়নকাজ করে। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। তবে এ কাজের বিপরীতে ঠিকাদার কত টাকা উত্তোলন করেছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেননি উপজেলা প্রকৌশলী মো. ওবায়দুল ইসলাম।
সর্বশেষ গত জুন মাসে সড়কের এই অংশের মধ্যে ‘চকসাদী চৌরাস্তা থেকে চকরাজীব আয়নাল মাস্টারের বাড়ির চৌরাস্তা পর্যন্ত’ প্রায় ৩৮০ মিটার ‘উপজেলা উন্নয়ন তহবিল ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি)’ আওতায় ইট বিছানো হয়েছে। এ জন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ কাজের ঠিকাদার ছিলেন বগুড়ার মালতিনগর এলাকার মেসার্স এস কে এস কনস্ট্রাকশন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সরোয়ার জাহান বলেন, সড়কটির ইট বিছানো ওই অংশে বিগত বছরে পাকাকরণের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছিল এ কথা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে তাঁকে জানানো হয়নি।
সড়কটির পাশের চুনিতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল মজিদ বলেন, ‘২০১০ সালে রাস্তায় কাজ করার সময় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকজন তাঁদের বলেছিল রাস্তাটা পাকা হবে। শুইনা গেরামের মানুষজন আনন্দে ছিলাম। পাঁচ বছরেও রাস্তাডা পাকা হয়নি। জুন মাসের মাঝামাঝিতে একদিন সকালে কয়েকজন লোক এসে রাস্তাডার ওপর বালি ফেলে ইট বিছায় যাচ্ছে।’ একই গ্রামের কৃষক ফজর আলী বলেন, এই সড়কটার ওপর দিয়ে আশপাশের ১০ গ্রামের কৃষকেরা খেতের ফসল হাটবাজারে নেন। পাঁচ বছর ধরে সড়কটি পাকা না করায় গ্রামের কৃষকের কষ্ট বেড়েছে। ভ্যানচালক নুরনবী ও আলী সড়কটি পাকা করার দাবি করেন।
No comments