উদ্বোধনের পর থেকেই বিকল
বগুড়ার মহাস্থান এলাকায় সাইনবোর্ডসর্বস্ব ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। কারণ, যানবাহনের ওজন পরিমাপক যন্ত্রটি উদ্বোধনের পর থেকে বিকল। গত বুধবার তোলা ছবি l প্রথম আলো |
মন্ত্রীর
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাত মাসেও ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে
স্থাপিত সড়ক বিভাগের ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি চালু হয়নি। ওজন পরিমাপক
বৈদ্যুতিক যন্ত্র বিকল হওয়ায় এটি চালু করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সওজ। কেন্দ্রের অবকাঠামো ও কেন্দ্রসংলগ্ন সড়ক প্রশস্তকরণে সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অবকাঠামো নির্মাণ শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আছালত জামান ২০১৪ সালের জুন মাসে অবকাঠামো বুঝিয়ে দেয়।
বগুড়া-সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ওজন পরিমাপক যন্ত্র সরবরাহ করা হয়। চীন থেকে আনা বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি স্থাপনের পর ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, উদ্বোধনের পর ওজন কেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় কেন্দ্রের ওজন পরিমাপক বৈদ্যুতিক যন্ত্র বিকল হয়। এরপর হরতাল-অবরোধ শুরু হলে বিকল যন্ত্র মেরামতের উদ্যোগ নিতে কিছুটা দেরি হয়। গত ৬ এপ্রিল মেরামতের জন্য যন্ত্রটি ঢাকায় সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়।
সড়ক বিভাগের কারিগরি শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাকির আহমেদ বলেন, বিকল যন্ত্রটি মেরামতের জন্য চীনে পাঠানো হয়েছে। কবে নাগাদ তা মেরামত হয়ে দেশে আসবে এবং যন্ত্রটির বাজারমূল্য কত তা কারিগরি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন মৃধা বলতে পারবেন।
প্রকৌশলী স্বপন মৃধা বলেন, ‘বগুড়ার ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রটি কোথায় কী অবস্থায় আছে সেটা আমি জানি। তবে গণমাধ্যমকে তা জানানো সম্ভব নয়। কারণ গণমাধ্যমে কোনো তথ্য দিতে গেলে সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি লাগবে।’
বগুড়ার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যন্ত্রটি বিকল থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি চালু করা যাচ্ছে না। এতে মহাসড়কে যানবাহন বেপরোয়াভাবে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করছে। ফলে মহাসড়ক ও সেতুর স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের বেতন-ভাতা দিতে মাসে লক্ষাধিক টাকা গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বগুড়ার সহকারী পরিচালক ও জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, যানবাহনে অতিরিক্ত পণ্য ও যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির পক্ষ থেকে মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধনের পরও কেন তা চালু হচ্ছে না তা সড়ক নিরাপত্তা কমিটিকে কেউ জানায়নি।
জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন না করার জন্য প্রথম থেকেই বগুড়ার ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠন চাপ দিয়ে আসছিল। ওজন স্টেশন চালু হলে মালিক-শ্রমিকেরা পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ অচল করার হুমকি দিয়েছিলেন। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের হুমকির কারণেই কার্যত সড়ক বিভাগ ওজন কেন্দ্রটি এখনো চালু করতে পারেনি।
বগুড়া আন্তজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি স্থাপনে বিরোধিতা করছি। কারণ হলো দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন রোধে এই নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন হলেও একে পুঁজি করে শ্রমিকদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলে তাতে আমাদের আপত্তি থাকবে না।’
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সওজ। কেন্দ্রের অবকাঠামো ও কেন্দ্রসংলগ্ন সড়ক প্রশস্তকরণে সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অবকাঠামো নির্মাণ শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আছালত জামান ২০১৪ সালের জুন মাসে অবকাঠামো বুঝিয়ে দেয়।
বগুড়া-সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ওজন পরিমাপক যন্ত্র সরবরাহ করা হয়। চীন থেকে আনা বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি স্থাপনের পর ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, উদ্বোধনের পর ওজন কেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় কেন্দ্রের ওজন পরিমাপক বৈদ্যুতিক যন্ত্র বিকল হয়। এরপর হরতাল-অবরোধ শুরু হলে বিকল যন্ত্র মেরামতের উদ্যোগ নিতে কিছুটা দেরি হয়। গত ৬ এপ্রিল মেরামতের জন্য যন্ত্রটি ঢাকায় সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়।
সড়ক বিভাগের কারিগরি শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাকির আহমেদ বলেন, বিকল যন্ত্রটি মেরামতের জন্য চীনে পাঠানো হয়েছে। কবে নাগাদ তা মেরামত হয়ে দেশে আসবে এবং যন্ত্রটির বাজারমূল্য কত তা কারিগরি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন মৃধা বলতে পারবেন।
প্রকৌশলী স্বপন মৃধা বলেন, ‘বগুড়ার ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রটি কোথায় কী অবস্থায় আছে সেটা আমি জানি। তবে গণমাধ্যমকে তা জানানো সম্ভব নয়। কারণ গণমাধ্যমে কোনো তথ্য দিতে গেলে সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি লাগবে।’
বগুড়ার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যন্ত্রটি বিকল থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি চালু করা যাচ্ছে না। এতে মহাসড়কে যানবাহন বেপরোয়াভাবে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করছে। ফলে মহাসড়ক ও সেতুর স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের বেতন-ভাতা দিতে মাসে লক্ষাধিক টাকা গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বগুড়ার সহকারী পরিচালক ও জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, যানবাহনে অতিরিক্ত পণ্য ও যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির পক্ষ থেকে মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধনের পরও কেন তা চালু হচ্ছে না তা সড়ক নিরাপত্তা কমিটিকে কেউ জানায়নি।
জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন না করার জন্য প্রথম থেকেই বগুড়ার ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠন চাপ দিয়ে আসছিল। ওজন স্টেশন চালু হলে মালিক-শ্রমিকেরা পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ অচল করার হুমকি দিয়েছিলেন। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের হুমকির কারণেই কার্যত সড়ক বিভাগ ওজন কেন্দ্রটি এখনো চালু করতে পারেনি।
বগুড়া আন্তজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি স্থাপনে বিরোধিতা করছি। কারণ হলো দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন রোধে এই নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন হলেও একে পুঁজি করে শ্রমিকদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলে তাতে আমাদের আপত্তি থাকবে না।’
No comments