জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রামে দুর্ভোগ
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে চট্টগ্রামে গতকাল শুক্রবার দিনভর মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে পূর্ণিমার জোয়ারের পানির কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে গতকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। কোমেনের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দুপুরে যোগ হয় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি। নগরের আগ্রাবাদ এলাকার মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিচতলা পানিতে তলিয়ে যায়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক জানান, বেলা দুইটার দিকে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি ঢোকে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা দুর্ভোগে পড়েন। হাসপাতালের প্রবেশপথেও পানি ছিল।
নগরের চাক্তাই এলাকা প্রায় তিন ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে বিভিন্ন দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, রাজাখালী, চকবাজার, বাকলিয়া, ষোলশহর, পাঁচলাইশসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ওঠে।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার মুখের বিভিন্ন সড়কও হাঁটুপানিতে তলিয়ে ছিল। পানি ঠেলে হাসপাতালে গাড়ি প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর স্বজনদের পানি মাড়িয়ে ভেজা কাপড়ে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়।
আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, ব্যাপারী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল পানি ওঠে। সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা খায়রুল আলম জানান, বর্ষায় জোয়ারের সময় আগেও পানি উঠেছে, তবে এবার পানির পরিমাণ ছিল বেশি। আমার ঘরেও পানি ঢুকেছে।
আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম জানান, ঘরে পানি ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
দুপুরে চাক্তাই সোবহান সওদাগর সড়ক, রাজাখালী রোড, ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ সড়ক দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। চাক্তাইয়ের রহমানিয়া রাইস মিলের মালিক মো. সাহাবুদ্দিন জানান, পানিতে গুদামের চাল ও ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, এলাকার বেশির ভাগ দোকানে কমবেশি পানি ঢুকেছে।
গতকাল দুপুরে নগরের নন্দনকানন ২ নম্বর গলিতে একটি সীমানাদেয়াল পাশের তিনটি টিনের ঘরের ওপর ধসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেয়ালটি ঘরে ধসে পড়লে বাসিন্দারা দ্রুত বের হয়ে যায়।
গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে লোকজনের চলাচল কম ছিল। তবে যাঁরা ঘর থেকে কাজে বের হয়েছেন, তাঁদের যানবাহনসংকটে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টি ও বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় রিকশা ও অটোরিকশা ছিল কম।
নগরের জিইসি মোড় থেকে আগ্রাবাদ যেতে সৌমেন সরকার নামে একজনকে অটোরিকশার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১২০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া ৬০-৮০ টাকা। রিকশা ভাড়াও ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে গতকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। কোমেনের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দুপুরে যোগ হয় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি। নগরের আগ্রাবাদ এলাকার মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিচতলা পানিতে তলিয়ে যায়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক জানান, বেলা দুইটার দিকে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি ঢোকে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা দুর্ভোগে পড়েন। হাসপাতালের প্রবেশপথেও পানি ছিল।
নগরের চাক্তাই এলাকা প্রায় তিন ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে বিভিন্ন দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, রাজাখালী, চকবাজার, বাকলিয়া, ষোলশহর, পাঁচলাইশসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ওঠে।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার মুখের বিভিন্ন সড়কও হাঁটুপানিতে তলিয়ে ছিল। পানি ঠেলে হাসপাতালে গাড়ি প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর স্বজনদের পানি মাড়িয়ে ভেজা কাপড়ে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়।
আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, ব্যাপারী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল পানি ওঠে। সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা খায়রুল আলম জানান, বর্ষায় জোয়ারের সময় আগেও পানি উঠেছে, তবে এবার পানির পরিমাণ ছিল বেশি। আমার ঘরেও পানি ঢুকেছে।
আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম জানান, ঘরে পানি ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
দুপুরে চাক্তাই সোবহান সওদাগর সড়ক, রাজাখালী রোড, ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ সড়ক দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। চাক্তাইয়ের রহমানিয়া রাইস মিলের মালিক মো. সাহাবুদ্দিন জানান, পানিতে গুদামের চাল ও ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, এলাকার বেশির ভাগ দোকানে কমবেশি পানি ঢুকেছে।
গতকাল দুপুরে নগরের নন্দনকানন ২ নম্বর গলিতে একটি সীমানাদেয়াল পাশের তিনটি টিনের ঘরের ওপর ধসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেয়ালটি ঘরে ধসে পড়লে বাসিন্দারা দ্রুত বের হয়ে যায়।
গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে লোকজনের চলাচল কম ছিল। তবে যাঁরা ঘর থেকে কাজে বের হয়েছেন, তাঁদের যানবাহনসংকটে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টি ও বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় রিকশা ও অটোরিকশা ছিল কম।
নগরের জিইসি মোড় থেকে আগ্রাবাদ যেতে সৌমেন সরকার নামে একজনকে অটোরিকশার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১২০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া ৬০-৮০ টাকা। রিকশা ভাড়াও ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।
No comments