গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক : বিএনপি
গ্যাস-বিদ্যুতের
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বলেছে, এ দাম বাড়ানো
অযৌক্তিক। এর ফলে নিম্নআয় ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা আরেক দফা দুর্ভোগে নিপতিত
হবেন। যা মানুষের প্রতি নিদারুণ অবিচার। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের
দামের সাথে সমন্বয় করে দেশে তেলের দাম পুননির্ধারণ ও বিইআরসি ঘোষিত
তেল-গ্যাসের বর্ধিত মূল্য বাতিল করে মানুষের দুর্ভোগ-কষ্টের প্রতি মানবিক
হতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার দুপুরে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা না হলে এ বিষয়ে আমাদের দলের নীতি-নির্ধারকরা আলোচনা করে কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
গ্যস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এএসএম আবদুল হালিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এ বছরের শুরুতে অস্থির রাজনৈতিক সময়ে ‘বিনা ভোটের নির্বাচিত সরকারের’ মত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তথাকথিত লোক দেখানো শুনানির নামে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির যে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ করছে।
তিনি বলেন, যখন সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় তাপে অস্থির এবং আয়ের সাথে ব্যয়ের অসামঞ্জস্য থাকায় মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস-তখন গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে সংসার চালাতে তাদের আরো হিমসিম খেতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও কমে যাওয়ারই কথা। কিন্তু তা না করে সরকার উল্টো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে আর গ্যাসখাত লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এটা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত এক বছরের তুলনায় এক তৃতীয়াংশে নেমেছে এবং অব্যাহতভাবে তেলের দাম কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেশের জনগণ কোনো সুফল পাচ্ছেনা। আমরা সরকারের এই গণবিরোধী নীতির তীব্র সমালোচনা করছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, সরকারের আজ্ঞাবাহী বিইআরসি দাম বাড়ানোর জন্য দেশের অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে তিন দিনব্যাপী গণশুনানি করেছে সেই গণশুনানির রায় ছিল দাম না বাড়ানোর। কিন্তু লোক দেখানো শুনানির নামে নিজেদের ইচ্ছামতো তারা গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমাদের দল বিইআরসির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণাকে বাতিলের দাবি জানাচ্ছে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন করে গণশুনানির আয়োজন করে বিএনপি সহ দেশের সকল স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেয়ারও আহবান জানাচ্ছে।
গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য পর্যালোচনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিতের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন প্রমাণিত যে, বিএনপি সরকারের শুধু বিরোধীতার নীতি থেকে এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিকে প্রতিবাদ করছেনা বরং জণগনের স্বার্থে কথা বলছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিইআরসি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির স্বপক্ষে যে যুক্তি তুলে ধরেছেন আমাদের দলের সারবত্তা না থাকায় তা প্রত্যাখান করছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, গ্যাস খাতে যেখানে সরকারের ভর্তুকি দিতে হয়না এবং লোকসানও নেই। বরং পাঁচ বছরে যেখানে পেট্রোবাংলা ২০ হাজার ৮০ কোটি টাকা লাভ করেছে সেখানে গৃহস্থালি কাজে এক বার্নার ও দুই বার্নার চুলায় এক লাফে ২ শত টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের প্রতি নিদারুণ অবিচার।
তিনি বলেন, জনগণের প্রকৃত ভোটে নির্বাচিত হলে সরকার নিজেদের জবাবদিহী করার কথা ভাবতেন। কিন্তু ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় আসা যায় বা ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখা যায় বলে তারা দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা যেমন ভাবেননি, তেমনি কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-রফতানিতে এই দাম বৃদ্ধি কিভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে-সে বিষয়টিও আমলে নেননি।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি চা রফতানি খাতকে আরো হুমকির মধ্যে ফেলবে।
বেসরকারি খাতে কল-কারখানায় বিদ্যুতের লোডশেডিং মোকাবিলায় যে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো তার মূল্য দ্বিগুণ করা শিল্পোৎপাদনে বড় ধরনের আঘাতের সৃষ্টি হবে। এটা কি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি? নাকি শিল্প ধ্বংস করা?
তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের কথায় কথায় কৃষক ও কৃষিবান্ধব বলে প্রচার করে। কিন্তু এরআগে প্রমাণ করেছি কি করে সরকার ধান-গম-ক্রয়ের সময় নিজ দলীয় দালালদের মাধ্যমে কৃষকদের নির্মমভাবে ঠকিয়েছেন, যার ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য তথা সরকার ঘোষিত মূল্যে তার উৎপাদিত ধান-গম বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবার বিদ্যুৎ মূল্য বৃদ্ধিতেও সরকারের কৃষক ও কৃষিবান্ধব নীতির পরিহাসের চিত্র ফুটে উঠেছে। এবার সেচ খরচ বেড়ে গেলে কৃষি উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে এবং এর চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের উপসানালয় ও সামাজিক সংঘেও বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে। সরকার ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার’ সবক দেয় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের ধর্মীয়-সামাজিক দায়বদ্ধতা কোথায়? এ প্রশ্ন ওঠা কি স্বাভাবিক নয়?
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও সিষ্টেম লস কমাতে পারলে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনগণের ওপর চাপাতে হতোনা। বিইআরসি চেয়ারম্যান ‘পে-স্কেল আসিতেছে’ শুনিয়ে আগাম মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সরকারী পে-স্কেলের আওতায় কতজন? জনগণের প্রতি মায়া-শ্রদ্ধা না থাকার কারণেই এসব উদ্ভট যুক্তি তারা তুলে ধরেছেন! তার অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ আরো বেশি হাস্যকর। বাংলাদেশের মানুষের আয় কি অস্ট্রেলিয়ার মতো?
তাই আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাবো- আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দামের সাথে সমন্বয় করে দেশে তেলের দাম পুননির্ধারণ, বিইআরসি ঘোষিত তেল-গ্যাসের বর্ধিত মূল্য বাতিল করে মানুষের দুর্ভোগ-কষ্টের প্রতি মানবিক হতে হবে। কারণ, এই দুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক চাপ ঘরে ঘরে চুলা থেকে শুরু করে পরিবহনে যাত্রীভাড়া, ঘর-বাড়িতে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল-মানুষের সহ্য সীমাকে ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি-শিল্প-ব্যবসা-রফতানিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বরং জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম কম থাকলে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়তো, কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হতো।
আজ শনিবার দুপুরে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা না হলে এ বিষয়ে আমাদের দলের নীতি-নির্ধারকরা আলোচনা করে কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
গ্যস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এএসএম আবদুল হালিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এ বছরের শুরুতে অস্থির রাজনৈতিক সময়ে ‘বিনা ভোটের নির্বাচিত সরকারের’ মত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তথাকথিত লোক দেখানো শুনানির নামে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির যে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ করছে।
তিনি বলেন, যখন সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় তাপে অস্থির এবং আয়ের সাথে ব্যয়ের অসামঞ্জস্য থাকায় মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস-তখন গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে সংসার চালাতে তাদের আরো হিমসিম খেতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও কমে যাওয়ারই কথা। কিন্তু তা না করে সরকার উল্টো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে আর গ্যাসখাত লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এটা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত এক বছরের তুলনায় এক তৃতীয়াংশে নেমেছে এবং অব্যাহতভাবে তেলের দাম কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেশের জনগণ কোনো সুফল পাচ্ছেনা। আমরা সরকারের এই গণবিরোধী নীতির তীব্র সমালোচনা করছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, সরকারের আজ্ঞাবাহী বিইআরসি দাম বাড়ানোর জন্য দেশের অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে তিন দিনব্যাপী গণশুনানি করেছে সেই গণশুনানির রায় ছিল দাম না বাড়ানোর। কিন্তু লোক দেখানো শুনানির নামে নিজেদের ইচ্ছামতো তারা গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমাদের দল বিইআরসির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণাকে বাতিলের দাবি জানাচ্ছে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন করে গণশুনানির আয়োজন করে বিএনপি সহ দেশের সকল স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেয়ারও আহবান জানাচ্ছে।
গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য পর্যালোচনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিতের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন প্রমাণিত যে, বিএনপি সরকারের শুধু বিরোধীতার নীতি থেকে এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিকে প্রতিবাদ করছেনা বরং জণগনের স্বার্থে কথা বলছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিইআরসি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির স্বপক্ষে যে যুক্তি তুলে ধরেছেন আমাদের দলের সারবত্তা না থাকায় তা প্রত্যাখান করছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, গ্যাস খাতে যেখানে সরকারের ভর্তুকি দিতে হয়না এবং লোকসানও নেই। বরং পাঁচ বছরে যেখানে পেট্রোবাংলা ২০ হাজার ৮০ কোটি টাকা লাভ করেছে সেখানে গৃহস্থালি কাজে এক বার্নার ও দুই বার্নার চুলায় এক লাফে ২ শত টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের প্রতি নিদারুণ অবিচার।
তিনি বলেন, জনগণের প্রকৃত ভোটে নির্বাচিত হলে সরকার নিজেদের জবাবদিহী করার কথা ভাবতেন। কিন্তু ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় আসা যায় বা ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখা যায় বলে তারা দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা যেমন ভাবেননি, তেমনি কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-রফতানিতে এই দাম বৃদ্ধি কিভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে-সে বিষয়টিও আমলে নেননি।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি চা রফতানি খাতকে আরো হুমকির মধ্যে ফেলবে।
বেসরকারি খাতে কল-কারখানায় বিদ্যুতের লোডশেডিং মোকাবিলায় যে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো তার মূল্য দ্বিগুণ করা শিল্পোৎপাদনে বড় ধরনের আঘাতের সৃষ্টি হবে। এটা কি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি? নাকি শিল্প ধ্বংস করা?
তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের কথায় কথায় কৃষক ও কৃষিবান্ধব বলে প্রচার করে। কিন্তু এরআগে প্রমাণ করেছি কি করে সরকার ধান-গম-ক্রয়ের সময় নিজ দলীয় দালালদের মাধ্যমে কৃষকদের নির্মমভাবে ঠকিয়েছেন, যার ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য তথা সরকার ঘোষিত মূল্যে তার উৎপাদিত ধান-গম বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবার বিদ্যুৎ মূল্য বৃদ্ধিতেও সরকারের কৃষক ও কৃষিবান্ধব নীতির পরিহাসের চিত্র ফুটে উঠেছে। এবার সেচ খরচ বেড়ে গেলে কৃষি উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে এবং এর চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের উপসানালয় ও সামাজিক সংঘেও বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে। সরকার ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার’ সবক দেয় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের ধর্মীয়-সামাজিক দায়বদ্ধতা কোথায়? এ প্রশ্ন ওঠা কি স্বাভাবিক নয়?
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও সিষ্টেম লস কমাতে পারলে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনগণের ওপর চাপাতে হতোনা। বিইআরসি চেয়ারম্যান ‘পে-স্কেল আসিতেছে’ শুনিয়ে আগাম মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সরকারী পে-স্কেলের আওতায় কতজন? জনগণের প্রতি মায়া-শ্রদ্ধা না থাকার কারণেই এসব উদ্ভট যুক্তি তারা তুলে ধরেছেন! তার অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ আরো বেশি হাস্যকর। বাংলাদেশের মানুষের আয় কি অস্ট্রেলিয়ার মতো?
তাই আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাবো- আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দামের সাথে সমন্বয় করে দেশে তেলের দাম পুননির্ধারণ, বিইআরসি ঘোষিত তেল-গ্যাসের বর্ধিত মূল্য বাতিল করে মানুষের দুর্ভোগ-কষ্টের প্রতি মানবিক হতে হবে। কারণ, এই দুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক চাপ ঘরে ঘরে চুলা থেকে শুরু করে পরিবহনে যাত্রীভাড়া, ঘর-বাড়িতে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল-মানুষের সহ্য সীমাকে ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি-শিল্প-ব্যবসা-রফতানিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বরং জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম কম থাকলে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়তো, কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হতো।
No comments