গরমে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে সাবধান হোন, সুস্থ থাকুন
গরমের
দিনে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কাজ করা, লেখাপড়া করা বা আড্ডা দেয়া
নিঃসন্দেহে একটি আরামদায়ক ব্যাপার। তবে এই আরামদায়ক পরিবেশটি কোনো কোনো সময়
বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাবধান না-হলে তার বিরূপ
প্রতিক্রিয়া হতে পারে আপনার শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত
কক্ষে বসে কাজ করার বিরূপ প্রতিক্রিয়া যাদের শরীরে হয়ে থাকে, তাদের
অধিকাংশই আবার তরুণ-তরুণী।
সমস্যা হচ্ছে, গরমকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার না-করেও উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে? হ্যা, গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার নিয়েই আমরা আজকের স্বাস্থ্য ও জীবন অনুষ্ঠানে আলোচনা করবো।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরের গরম থেকে বাসায় বা অফিসকক্ষে ঢুকেই এসি ছাড়া উচিত নয়। প্রথমে ঘরের স্বাভাববিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ অতিবাহিত করুন, ঘেমে গিয়ে থাকলে তা মুছে নিন। প্রয়োজনে পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে নিতে পারেন। তারপর এসি ছাড়ুন।
একইভাবে এসি থেকে বাইরে বের হবার প্রয়োজন হলে, বের হবার কিছুক্ষণ আগে এসি বন্ধ করে দিন। ঘরের তাপমাত্র বাইরের কাছাকাছি চলে আসবে। তখন বের হলে বাইরের গরম খুব একটা অস্বস্তিতে ফেলবে না আপনাকে।
লম্বা সময় ধরে এসির মধ্যে থাকলে ঘন ঘন পানি খাওয়া উচিত। ঘর মোছার সময় বেশি পানি ব্যবহার করুন। এতে ঘরের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশেপাশে রাখার চেষ্টা করুন।
আরেকটি কথা, রাত দু'টোর পর সাধারণত তাপমাত্রা হঠাত কমে যায়। তখন এসি বন্ধ রাখতে পারেন।
অনেকে রাতে এসির ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে কম্বল বা লেপ গায়ে দেন। মনে রাখতে হবে, ঘর বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কম্বল হয়তো আমাদের শরীরকে বাঁচাবে, কিন্তু শ্বাসযন্ত্রকে বাঁচাবে না। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় আপনার শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মাথায়ও ঠাণ্ডা লাগতে পারে।
আরেকটি কথা, শুষ্ক পরিবেশে ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তাই ঘরের আর্দ্রতার মাত্রা ঠিক রাখা জরুরি।
এসি রুমে মাঝেমাঝে বাইরের বাতাস সরাসরি প্রবেশ করতে দেয়াও জরুরি। মাঝেমাঝে জানলা খুলে দিয়ে বাইরের বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন।
অনেকে বাইরের গরম পরিবেশ থেকে ঘরে ঢুকেই এসি ছেড়ে দিয়ে সরাসরি এসির বাতাস গায়ে লাগান। এতে সাময়িক আরামবোধ হতে পারে, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এতে আপনার মাথা ঘোরাতে পারে, মাথা ব্যথাও হতে পারে। গরম থেকে হঠাত এসির ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে এলে আপনার লোমকূপ হঠাৎ সঙ্কুচিত হয়ে আপনার ক্ষতি করতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ এসির অতিরিক্ত ঠাণ্ডার মধ্যে থাকলে আপনি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় থাকলে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখুন। মনে রাখবেন, গরমকালে ঘরের তাপমাত্রার সাথে বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭ ডিগ্রির বেশি থাকা উচিত নয়।
মাঝেমাঝে এসি বন্ধও রাখতে পারেন। এসি বন্ধ করে জানালা খুলে দেয়া যেতে পারে।
এসি রুমে গরম কাপড় রাখা জরুরি। গরমের দিনে সাধারণতভাবে আমরা কম কাপড় পরে থাকি, হালকা-পাতলা কাপড় পড়ে থাকি। কিন্তু এসি রুমে, বিশেষ করে আপনার অফিস রুমে ঢোকার পর কিন্তু ওই কাপড় অপর্যাপ্ত মনে হতে পারে। তাই অফিসকক্ষে গরমকালেও একটি গরমকাপড় রেখে দিন। যাতে প্রয়োজনে গায়ে চড়াতে পারেন। নিম্ন তাপমাত্রায় সাধারণত আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অস্থিসন্ধি ও মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে এবং হাত ও পায়ে ঝি ঝি ধরতে পারে। তাই গায়ে ঠাণ্ডা অনুভূত হলে গরম কাপড়টি গায়ে চাপিয়ে নিন।
তাহলে এসি রুমে আমাদের কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত? এখন আমি আরো একবার এসি ব্যবহারের নিয়মগুলো সংক্ষেপে বলছি
১: এসি রুমের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখাই উত্তম।
২: এসি রুমে অবস্থানকালে বেশি পানি পান করা উচিত। প্রয়োজনে চা পান করা যেতে পারে। বিশেষ করে সবুজ চা এক্ষেত্রে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
৩: খুব গরমেও একটানা এসির মধ্যে থাকা উচিত নয়। মাঝেমাঝে এসি বন্ধ রাখুন। আর কখনও সরাসরি এসির বাতাস গায়ে লাগাবেন না।
৪: এসি রুমে বাইরের বাতাস ঢুকতে দিন। সকাল ও সন্ধ্যায় একবার করে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য জানালা খুলে রাখুন। আরেকটি বিষয়, এসি রুমে ধূমপান করা উচিত নয়।
৫: এসি রুমে একটি গরম কাপড় রাখা উচিত। প্রয়োজনে যাতে তা গায়ে চাপানো যায়। রাতে ঘুমের সময় এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
চায়না রেডিও বাংলা
সমস্যা হচ্ছে, গরমকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার না-করেও উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে? হ্যা, গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার নিয়েই আমরা আজকের স্বাস্থ্য ও জীবন অনুষ্ঠানে আলোচনা করবো।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরের গরম থেকে বাসায় বা অফিসকক্ষে ঢুকেই এসি ছাড়া উচিত নয়। প্রথমে ঘরের স্বাভাববিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ অতিবাহিত করুন, ঘেমে গিয়ে থাকলে তা মুছে নিন। প্রয়োজনে পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে নিতে পারেন। তারপর এসি ছাড়ুন।
একইভাবে এসি থেকে বাইরে বের হবার প্রয়োজন হলে, বের হবার কিছুক্ষণ আগে এসি বন্ধ করে দিন। ঘরের তাপমাত্র বাইরের কাছাকাছি চলে আসবে। তখন বের হলে বাইরের গরম খুব একটা অস্বস্তিতে ফেলবে না আপনাকে।
লম্বা সময় ধরে এসির মধ্যে থাকলে ঘন ঘন পানি খাওয়া উচিত। ঘর মোছার সময় বেশি পানি ব্যবহার করুন। এতে ঘরের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশেপাশে রাখার চেষ্টা করুন।
আরেকটি কথা, রাত দু'টোর পর সাধারণত তাপমাত্রা হঠাত কমে যায়। তখন এসি বন্ধ রাখতে পারেন।
অনেকে রাতে এসির ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে কম্বল বা লেপ গায়ে দেন। মনে রাখতে হবে, ঘর বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কম্বল হয়তো আমাদের শরীরকে বাঁচাবে, কিন্তু শ্বাসযন্ত্রকে বাঁচাবে না। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় আপনার শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মাথায়ও ঠাণ্ডা লাগতে পারে।
আরেকটি কথা, শুষ্ক পরিবেশে ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তাই ঘরের আর্দ্রতার মাত্রা ঠিক রাখা জরুরি।
এসি রুমে মাঝেমাঝে বাইরের বাতাস সরাসরি প্রবেশ করতে দেয়াও জরুরি। মাঝেমাঝে জানলা খুলে দিয়ে বাইরের বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন।
অনেকে বাইরের গরম পরিবেশ থেকে ঘরে ঢুকেই এসি ছেড়ে দিয়ে সরাসরি এসির বাতাস গায়ে লাগান। এতে সাময়িক আরামবোধ হতে পারে, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এতে আপনার মাথা ঘোরাতে পারে, মাথা ব্যথাও হতে পারে। গরম থেকে হঠাত এসির ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে এলে আপনার লোমকূপ হঠাৎ সঙ্কুচিত হয়ে আপনার ক্ষতি করতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ এসির অতিরিক্ত ঠাণ্ডার মধ্যে থাকলে আপনি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় থাকলে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখুন। মনে রাখবেন, গরমকালে ঘরের তাপমাত্রার সাথে বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭ ডিগ্রির বেশি থাকা উচিত নয়।
মাঝেমাঝে এসি বন্ধও রাখতে পারেন। এসি বন্ধ করে জানালা খুলে দেয়া যেতে পারে।
এসি রুমে গরম কাপড় রাখা জরুরি। গরমের দিনে সাধারণতভাবে আমরা কম কাপড় পরে থাকি, হালকা-পাতলা কাপড় পড়ে থাকি। কিন্তু এসি রুমে, বিশেষ করে আপনার অফিস রুমে ঢোকার পর কিন্তু ওই কাপড় অপর্যাপ্ত মনে হতে পারে। তাই অফিসকক্ষে গরমকালেও একটি গরমকাপড় রেখে দিন। যাতে প্রয়োজনে গায়ে চড়াতে পারেন। নিম্ন তাপমাত্রায় সাধারণত আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অস্থিসন্ধি ও মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে এবং হাত ও পায়ে ঝি ঝি ধরতে পারে। তাই গায়ে ঠাণ্ডা অনুভূত হলে গরম কাপড়টি গায়ে চাপিয়ে নিন।
তাহলে এসি রুমে আমাদের কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত? এখন আমি আরো একবার এসি ব্যবহারের নিয়মগুলো সংক্ষেপে বলছি
১: এসি রুমের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখাই উত্তম।
২: এসি রুমে অবস্থানকালে বেশি পানি পান করা উচিত। প্রয়োজনে চা পান করা যেতে পারে। বিশেষ করে সবুজ চা এক্ষেত্রে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
৩: খুব গরমেও একটানা এসির মধ্যে থাকা উচিত নয়। মাঝেমাঝে এসি বন্ধ রাখুন। আর কখনও সরাসরি এসির বাতাস গায়ে লাগাবেন না।
৪: এসি রুমে বাইরের বাতাস ঢুকতে দিন। সকাল ও সন্ধ্যায় একবার করে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য জানালা খুলে রাখুন। আরেকটি বিষয়, এসি রুমে ধূমপান করা উচিত নয়।
৫: এসি রুমে একটি গরম কাপড় রাখা উচিত। প্রয়োজনে যাতে তা গায়ে চাপানো যায়। রাতে ঘুমের সময় এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
চায়না রেডিও বাংলা
No comments