সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশে কড়াকড়ি: দ্বিধাদ্বন্দে থাকলেও স্বস্তি প্রকাশ ঢাবি শিক্ষার্থীদের by এম তৌহিদ
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রাজধানীর সর্বস্তরের মানুষের
অবসর কাটানোর অন্যতম প্রিয় জায়গাও। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই সেই উদ্যান হয়ে
ওঠে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। মাদকদ্রব্য কেনাবেচা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি,
ছিনতাই, অপহরণ প্রভৃতি সব অপরাধেরই কেন্দ্রে পরিণত হয় উদ্যান। আর এসব ঘটনার
অধিকাংশেরই দায় চাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর, ক্ষুণ্ণ হয়
সুনাম। বিষয়টি অনেকদিন ধরেই মাথাব্যাথার কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আর এই অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না বলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে প্রক্টর স্বাক্ষরিত নোটিশে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে কেউ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করলে ও কোনো ধরণের সমস্যার মধ্যে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ধরণের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে এমন কিছু অভিযোগ আসে যেগুলো মোটেও ভালো নয়। আমাদের কিছু ছাত্র বহিরাগতদের সাথে নিয়ে সেখানে অপরাধ কর্ম করে। যার মধ্যে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক বিক্রি সবকিছুই রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এমন পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। এর নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। গত কয়েকদিনে ক্যাম্পাসে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি। তবে টিএসসিকেন্দ্রিক কিছু অভিযোগ আসছে। সেগুলো পুলিশের সাথে কথা বলে অচিরেই সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের বিষয়ে নোটিশ জারির পর কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দে থাকলেও আপাতত স্বস্তি ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উদ্যানে যেকোনো ধরণের অপরাধকর্ম সংঘটিত হলেই তার দায় এসে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর। গুটিকয়েক পথহারা শিক্ষার্থী এসবের সাথে জড়িত থাকলেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। নিজ বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে নানান নেতিবাচক কথা শুনতে হয়।
তবে তাদের সবচেয়ে স্বস্তির জায়গা মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধের সুযোগ তৈরি হওয়ায়। তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত তার অধিকাংশই উদ্যানের মাদক ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভরশীল। আর এই মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে ওইসব গুটিকয়েক শিক্ষার্থী অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এখন সন্ধ্যার পরে এই কড়াকড়ি আরোপের ফলে মাদকের করাল গ্রাস এবং অপরাধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেহাই পাবে বলে মনে করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করা আবু রায়হান নয়া দিগন্তকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে যে অভিযোগ আসে তা নিয়ে নানা ধরণের কথা শুনতে হয়। এটা আমাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এউ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এটি অব্যাহত রাখারও আহবান জানান তিনি।
অপর ছাত্র সোহরাব নাজমুল নয়া দিগন্তকে বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ভিন্ন আলোচনা হলেও আমি এটা ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি। এতে অপরাধ অনেক কমে আসবে। যারা অপরাধী তারা শাস্তি পাবে।
তবে কিছু শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন। উদ্যানে প্রবেশের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপের সরাসরি বিরোধিতাও করেছেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে বলেন, সিদ্ধান্তটা আসলে কি ধরণের বুঝতে পারছি না। অপরাধ ঘটলে তা দমন করতে হবে। প্রবেশে কড়াকড়ি কেন ? এটা তার ভাল লাগেনি বলে জানান।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি লিটন নন্দী নয়া দিগন্তকে বলেন, যতদূর শুনেছি উদ্যানে ছিনতাই চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই উদ্যোগ। সিদ্ধান্তটা অবশ্যই ভালো। তবে সাধারণ মানুষ যাতে রক্ষণশীলতার শিকার না হয় সে দিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত কয়েকদিনে রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার আগে থেকেই সোহরাওযার্দী উদ্যানের সবগুলো গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই তারা উদ্যানের গেট দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছেন। এসময়ে ভিতরে অবস্থান করা সকলকে বের করে দিতেও দেখা গেছে। উঠিয়ে দেয়া হয়ে সব ধরণের অস্থায়ী দোকান। যেগুলো অপরাধের প্রাণকেন্দ্র বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করতেন। ছুটির দিন হওয়া সত্বেও শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনেকটাই ফাঁকা পাওয়া যায়। বিভিন্ন গেটে মোতায়েন ছিল পুলিশ। অন্যান্য সময়ের মতো অস্থায়ী দোকানগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। তবে উদ্যানের কয়েকটি গেটে বেশ কিছু দোকান শনিবারও চোখে পড়ে।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই নয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাগামহীন অপরাধ কর্ম নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল পুলিশ প্রশাসনেরও। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাফর আলী নয়া দিগন্তকে বলেন, যারা অপরাধী তাদেরকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে দেয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে মামলাও করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান শুরুর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অপরাধ কমে এসেছে বলে তিনি জানান।
আর এই অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না বলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে প্রক্টর স্বাক্ষরিত নোটিশে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে কেউ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করলে ও কোনো ধরণের সমস্যার মধ্যে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ধরণের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে এমন কিছু অভিযোগ আসে যেগুলো মোটেও ভালো নয়। আমাদের কিছু ছাত্র বহিরাগতদের সাথে নিয়ে সেখানে অপরাধ কর্ম করে। যার মধ্যে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক বিক্রি সবকিছুই রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এমন পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। এর নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। গত কয়েকদিনে ক্যাম্পাসে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি। তবে টিএসসিকেন্দ্রিক কিছু অভিযোগ আসছে। সেগুলো পুলিশের সাথে কথা বলে অচিরেই সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের বিষয়ে নোটিশ জারির পর কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দে থাকলেও আপাতত স্বস্তি ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উদ্যানে যেকোনো ধরণের অপরাধকর্ম সংঘটিত হলেই তার দায় এসে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর। গুটিকয়েক পথহারা শিক্ষার্থী এসবের সাথে জড়িত থাকলেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। নিজ বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে নানান নেতিবাচক কথা শুনতে হয়।
তবে তাদের সবচেয়ে স্বস্তির জায়গা মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধের সুযোগ তৈরি হওয়ায়। তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত তার অধিকাংশই উদ্যানের মাদক ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভরশীল। আর এই মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে ওইসব গুটিকয়েক শিক্ষার্থী অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এখন সন্ধ্যার পরে এই কড়াকড়ি আরোপের ফলে মাদকের করাল গ্রাস এবং অপরাধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেহাই পাবে বলে মনে করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করা আবু রায়হান নয়া দিগন্তকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে যে অভিযোগ আসে তা নিয়ে নানা ধরণের কথা শুনতে হয়। এটা আমাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এউ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এটি অব্যাহত রাখারও আহবান জানান তিনি।
অপর ছাত্র সোহরাব নাজমুল নয়া দিগন্তকে বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ভিন্ন আলোচনা হলেও আমি এটা ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি। এতে অপরাধ অনেক কমে আসবে। যারা অপরাধী তারা শাস্তি পাবে।
তবে কিছু শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন। উদ্যানে প্রবেশের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপের সরাসরি বিরোধিতাও করেছেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে বলেন, সিদ্ধান্তটা আসলে কি ধরণের বুঝতে পারছি না। অপরাধ ঘটলে তা দমন করতে হবে। প্রবেশে কড়াকড়ি কেন ? এটা তার ভাল লাগেনি বলে জানান।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি লিটন নন্দী নয়া দিগন্তকে বলেন, যতদূর শুনেছি উদ্যানে ছিনতাই চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই উদ্যোগ। সিদ্ধান্তটা অবশ্যই ভালো। তবে সাধারণ মানুষ যাতে রক্ষণশীলতার শিকার না হয় সে দিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত কয়েকদিনে রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার আগে থেকেই সোহরাওযার্দী উদ্যানের সবগুলো গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই তারা উদ্যানের গেট দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছেন। এসময়ে ভিতরে অবস্থান করা সকলকে বের করে দিতেও দেখা গেছে। উঠিয়ে দেয়া হয়ে সব ধরণের অস্থায়ী দোকান। যেগুলো অপরাধের প্রাণকেন্দ্র বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করতেন। ছুটির দিন হওয়া সত্বেও শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনেকটাই ফাঁকা পাওয়া যায়। বিভিন্ন গেটে মোতায়েন ছিল পুলিশ। অন্যান্য সময়ের মতো অস্থায়ী দোকানগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। তবে উদ্যানের কয়েকটি গেটে বেশ কিছু দোকান শনিবারও চোখে পড়ে।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই নয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাগামহীন অপরাধ কর্ম নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল পুলিশ প্রশাসনেরও। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাফর আলী নয়া দিগন্তকে বলেন, যারা অপরাধী তাদেরকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে দেয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে মামলাও করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান শুরুর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অপরাধ কমে এসেছে বলে তিনি জানান।
No comments