চাকরি হারিয়ে ছিনতাইকারী!
সিলেটে গতকাল ১৪ লাখ টাকাসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা টাকার সঙ্গে ছিনতাইয়ের উপকরণ মরিচের গুঁড়াও (বৃত্ত চিহ্নিত) পাওয়া গেছে। কোতোয়ালি থানায় তোলা ছবি l প্রথম আলো |
মাস
খানেক হয় চাকরি হারিয়েছেন। গতকাল সোমবার কর্মস্থলে ফিরে এসে জানান
স্থানীয় ব্যাংকে কিছু লেনদেন আছে। এ জন্য এসেছেন। কোম্পানির হিসাব শাখা
থেকে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার প্রস্তুতি তাঁর সামনেই চলছিল। একই ব্যাংকে
লেনদেন আছে বলে টাকা জমা দেওয়া লোকজনের সঙ্গী হন তিনি। পথে হঠাৎ
ছিনতাইকারীরূপে আবির্ভূত হন। ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ব্যাগ নিয়ে পালানোর
সময় ধরা পড়েন।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরের রাজারগলি এলাকায় গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল নামের ওষুধ কোম্পানির টাকা এভাবেই ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই কোম্পানির বরখাস্ত হওয়া বিক্রয় প্রতিনিধি খালেদ হাসান ওরফে রবিউল (৩০)। বাড়ি তাঁর খুলনার হরিনাটানা উপজেলার হামিদনগর গ্রামে।
ছিনতাই করা ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকাসহ একটি প্যাকেট থেকে মরিচের গুঁড়া, হাতমোজা ও চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওষুধ কোম্পানির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় সাত মাস আগে কোম্পানির সিলেট কার্যালয়ে প্রমোশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন খালেদ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট কার্যালয় থেকে বদলি হয়ে খুলনা চলে যান। গত এপ্রিলে খালেদ চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। চাকরিবিধি না মানায় তিনি বরখাস্ত হন বলে কোম্পানি সূত্র পুলিশকে নিশ্চিত করে।
বরখাস্তের পর গতকালই প্রথম সিলেট কার্যালয়ে আসেন। গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালস সিলেট কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক আহমদ হোসেন জানান, সিলেটে কর্মরত থাকা অবস্থায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে কিছু লেনদেন রয়েছে বলে খালেদ জানান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোম্পানির ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে তিনি একটি ব্যাগে টাকা নিয়ে আম্বরখানায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখায় রওনা হন। সঙ্গে খালেদও ছিলেন। ব্যাংকের সিঁড়িতে ওঠার সময় খালেদ ‘১৪ লাখ টাকার ওজন কত দেখি’ বলে ব্যাগটি এক টানে নিজের কাছে নিয়ে দৌড় দেন।
আহমদ হোসেন জানান, এ অবস্থায় তিনি ‘ছিনতাই...’ বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন খালেদকে টাকাসহ ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশও তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে খালেদকে টাকার ব্যাগসহ আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানায় এনে খালেদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ব্যাগ থেকে টাকা গোনা হয়। টাকার ব্যাগের সঙ্গে আরেকটি প্যাকেট থেকে প্রায় ২৫০ গ্রাম ওজনের মরিচের গুঁড়া, এক জোড়া হাতমোজা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, এ ঘটনায় ওষুধ কোম্পানির হিসাবরক্ষক বাদী হয়ে ছিনতাই মামলা করেছেন। খালেদকে ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর পরই খালেদকে কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। খালেদ ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করা এবং পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে কী কারণে তিনি চাকরি হারিয়েছিলেন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। চাকরি হারানোর ক্ষোভে ছিনতাই করেছেন কি না এমন প্রশ্নেও মুখ খোলেননি খালেদ।
তবে খালেদের কাছ থেকে মরিচের গুঁড়া ও চাকু উদ্ধার করায় পুলিশ ছিনতাইকারী কোনো চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, মরিচের গুঁড়া, চাকু পাওয়ায় খালেদের সঙ্গে ছিনতাইকারী কোনো চক্র সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছিনতাইকারী চক্র শনাক্ত করার চেষ্টা করবে পুলিশ।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরের রাজারগলি এলাকায় গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল নামের ওষুধ কোম্পানির টাকা এভাবেই ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই কোম্পানির বরখাস্ত হওয়া বিক্রয় প্রতিনিধি খালেদ হাসান ওরফে রবিউল (৩০)। বাড়ি তাঁর খুলনার হরিনাটানা উপজেলার হামিদনগর গ্রামে।
ছিনতাই করা ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকাসহ একটি প্যাকেট থেকে মরিচের গুঁড়া, হাতমোজা ও চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওষুধ কোম্পানির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় সাত মাস আগে কোম্পানির সিলেট কার্যালয়ে প্রমোশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন খালেদ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট কার্যালয় থেকে বদলি হয়ে খুলনা চলে যান। গত এপ্রিলে খালেদ চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। চাকরিবিধি না মানায় তিনি বরখাস্ত হন বলে কোম্পানি সূত্র পুলিশকে নিশ্চিত করে।
বরখাস্তের পর গতকালই প্রথম সিলেট কার্যালয়ে আসেন। গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালস সিলেট কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক আহমদ হোসেন জানান, সিলেটে কর্মরত থাকা অবস্থায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে কিছু লেনদেন রয়েছে বলে খালেদ জানান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোম্পানির ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে তিনি একটি ব্যাগে টাকা নিয়ে আম্বরখানায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখায় রওনা হন। সঙ্গে খালেদও ছিলেন। ব্যাংকের সিঁড়িতে ওঠার সময় খালেদ ‘১৪ লাখ টাকার ওজন কত দেখি’ বলে ব্যাগটি এক টানে নিজের কাছে নিয়ে দৌড় দেন।
আহমদ হোসেন জানান, এ অবস্থায় তিনি ‘ছিনতাই...’ বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন খালেদকে টাকাসহ ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশও তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে খালেদকে টাকার ব্যাগসহ আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানায় এনে খালেদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ব্যাগ থেকে টাকা গোনা হয়। টাকার ব্যাগের সঙ্গে আরেকটি প্যাকেট থেকে প্রায় ২৫০ গ্রাম ওজনের মরিচের গুঁড়া, এক জোড়া হাতমোজা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, এ ঘটনায় ওষুধ কোম্পানির হিসাবরক্ষক বাদী হয়ে ছিনতাই মামলা করেছেন। খালেদকে ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর পরই খালেদকে কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। খালেদ ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করা এবং পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে কী কারণে তিনি চাকরি হারিয়েছিলেন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। চাকরি হারানোর ক্ষোভে ছিনতাই করেছেন কি না এমন প্রশ্নেও মুখ খোলেননি খালেদ।
তবে খালেদের কাছ থেকে মরিচের গুঁড়া ও চাকু উদ্ধার করায় পুলিশ ছিনতাইকারী কোনো চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, মরিচের গুঁড়া, চাকু পাওয়ায় খালেদের সঙ্গে ছিনতাইকারী কোনো চক্র সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছিনতাইকারী চক্র শনাক্ত করার চেষ্টা করবে পুলিশ।
No comments