যার ছোঁয়ায় বদলে গেলেন মোদি
আগামী
৯ মে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রাদেশিক রাজধানী
কলকাতা সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ৯৫ বছর
বয়স্ক এক হিন্দু সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি, আর এর মাধ্যমে রক্ষা
করবেন বহু বছর আগে নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতিটি।
এ সন্ন্যাসীকেই নিজের গুরু মেনেছিলেন মোদি এবং এই গুরুর নির্দেশেই রাজনীতিতে পা রাখেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিশ্বের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশটির প্রধানমন্ত্রিত্বও অর্জন করেন তিনি।
কলকাতার কাছেই অবস্থিত বেলুর মঠে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান পুরোহিত স্বামী আত্মাস্থানন্দ সঙ্গে দু’দিনের কলকাতা সফরের মধ্যে যে কোনো সময় দেখা করতে যেতে পারেন মোদি। শেষবার বেলুরে পা রেখছিলেন মোদি ২০১৩ সালে। এখন তিনি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সেবারই ফের এই বেলুরে ফেরার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন তিনি। এক সময় স্বামীজির সঙ্গে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন মোদি।
১৯৬৬ সালের কথা। কলকাতার বেলুরের রামকৃষ্ণ আশ্রমের (আরকেএম) সন্ন্যাসী স্বামী আত্মাস্থানন্দ গুজরাটের রাজকোটে প্রধান সন্ন্যাসী হয়ে যান। স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত তরুণ মোদি ছুটে যান তার কাছে। তিনি আশ্রমে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন। এর আগেই কয়েক বছর বিভিন্ন আশ্রমে ঘুরেছেন মোদি। তিনি সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলেন। স্বামী আত্মাস্থানন্দের সাহচর্চে বেশ কিছুদিন পার করেন মোদি। এ সময়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে মোদির গুরু আত্মাস্থানন্দ তাকে বলেন, ‘সন্ন্যাস জীবন তোমার জন্য নয়।’ রাজকোট আশ্রম মোদিকে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করতে না দিলে মোদি রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান কার্যালয় বেলুরে চলে যান এবং তার ইচ্ছার কথা জানান।
আত্মাস্থানন্দ মোদির হাতে একটি চিঠি দিয়ে তাকে বেলুরে রামকৃষ্ণ আশ্রমের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্বামী মধ্যবানন্দের কাছে পাঠান। স্বামী মধ্যবানন্দও মোদির অনুরোধ রাখেননি। মোদিকে তিনি বলেন, তোমার কাজ জনগণকে নিয়ে। গৃহত্যাগী হওয়া তোমার কাজ নয়।’ বেলুর থেকে রাজকোটে ফিরে কয়েকদিন স্বামী আত্মাস্থানন্দের সান্নিধ্যে কাটান মোদি। এরপর যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস)। এ সংগঠনের হাত ধরে রাজনীতিতে যুক্ত হন মোদি।
গত বছরের মে মাসে গুরু আত্মাস্থানন্দের সঙ্গে দেখা করতে যান মোদি। গুরুর পায়ের কাছে বসে থাকেন তিনি। গুরুর আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে আসেন। মোদির ৯৫ বছর বয়সী গুরু স্বামী আত্মাস্থানন্দ অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রিয় ভক্ত মোদি এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বেলুর মঠ থেকে রামকৃষ্ণ পরমহংসের স্ত্রী সারদার মূর্তি চুরি হওয়ায় মোদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন তার গুরু। মোদি ও তার গুরুর মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে সেই ১৯৬৬ সাল থেকে, প্রায় ৫০ বছর। অনেকেই জানেন না- ২০১৪ সালের ২৬ মে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করছিলেন তিনি, তখন তার জ্যাকেটের পকেটে একটি ‘প্রসাদী’ ফুল ছিল।
এ সন্ন্যাসীকেই নিজের গুরু মেনেছিলেন মোদি এবং এই গুরুর নির্দেশেই রাজনীতিতে পা রাখেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিশ্বের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশটির প্রধানমন্ত্রিত্বও অর্জন করেন তিনি।
কলকাতার কাছেই অবস্থিত বেলুর মঠে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান পুরোহিত স্বামী আত্মাস্থানন্দ সঙ্গে দু’দিনের কলকাতা সফরের মধ্যে যে কোনো সময় দেখা করতে যেতে পারেন মোদি। শেষবার বেলুরে পা রেখছিলেন মোদি ২০১৩ সালে। এখন তিনি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সেবারই ফের এই বেলুরে ফেরার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন তিনি। এক সময় স্বামীজির সঙ্গে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন মোদি।
১৯৬৬ সালের কথা। কলকাতার বেলুরের রামকৃষ্ণ আশ্রমের (আরকেএম) সন্ন্যাসী স্বামী আত্মাস্থানন্দ গুজরাটের রাজকোটে প্রধান সন্ন্যাসী হয়ে যান। স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত তরুণ মোদি ছুটে যান তার কাছে। তিনি আশ্রমে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন। এর আগেই কয়েক বছর বিভিন্ন আশ্রমে ঘুরেছেন মোদি। তিনি সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলেন। স্বামী আত্মাস্থানন্দের সাহচর্চে বেশ কিছুদিন পার করেন মোদি। এ সময়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে মোদির গুরু আত্মাস্থানন্দ তাকে বলেন, ‘সন্ন্যাস জীবন তোমার জন্য নয়।’ রাজকোট আশ্রম মোদিকে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করতে না দিলে মোদি রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান কার্যালয় বেলুরে চলে যান এবং তার ইচ্ছার কথা জানান।
আত্মাস্থানন্দ মোদির হাতে একটি চিঠি দিয়ে তাকে বেলুরে রামকৃষ্ণ আশ্রমের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্বামী মধ্যবানন্দের কাছে পাঠান। স্বামী মধ্যবানন্দও মোদির অনুরোধ রাখেননি। মোদিকে তিনি বলেন, তোমার কাজ জনগণকে নিয়ে। গৃহত্যাগী হওয়া তোমার কাজ নয়।’ বেলুর থেকে রাজকোটে ফিরে কয়েকদিন স্বামী আত্মাস্থানন্দের সান্নিধ্যে কাটান মোদি। এরপর যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস)। এ সংগঠনের হাত ধরে রাজনীতিতে যুক্ত হন মোদি।
গত বছরের মে মাসে গুরু আত্মাস্থানন্দের সঙ্গে দেখা করতে যান মোদি। গুরুর পায়ের কাছে বসে থাকেন তিনি। গুরুর আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে আসেন। মোদির ৯৫ বছর বয়সী গুরু স্বামী আত্মাস্থানন্দ অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রিয় ভক্ত মোদি এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বেলুর মঠ থেকে রামকৃষ্ণ পরমহংসের স্ত্রী সারদার মূর্তি চুরি হওয়ায় মোদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন তার গুরু। মোদি ও তার গুরুর মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে সেই ১৯৬৬ সাল থেকে, প্রায় ৫০ বছর। অনেকেই জানেন না- ২০১৪ সালের ২৬ মে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করছিলেন তিনি, তখন তার জ্যাকেটের পকেটে একটি ‘প্রসাদী’ ফুল ছিল।
No comments