যুক্তরাষ্ট্রে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনী
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের গারল্যান্ড শহরের কার্টিস কালওয়েল সেন্টারের বাইরে এই স্থানে দুজনকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ-এএফপি |
যুক্তরাষ্ট্রের
টেক্সাসে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে একটি উস্কানিমূলক কার্টুন
প্রদর্শনীর প্রতিবাদ করায় দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের
গারল্যান্ড শহরের কার্টিস কালওয়েল সেন্টারের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের দাবি, নিহত দুই ব্যক্তি বন্দুকধারী ছিলেন, তারা প্রদর্শনীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক ব্যক্তিকে গুলি করলে পুলিশ গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে। হামলার পর সবাইকে সরিয়ে নিয়ে ওই প্রদর্শনী কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। রোববার মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুনের প্রতিযোগিতার শেষদিনে প্রদর্শিত কার্টুনের ওপর আলোচনা চলছিল। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটল।
মাহানবী (সা.)-কে নিয়ে আঁকা কার্টুনের এই প্রদর্শনীতে নেদারল্যান্ডসের ইসলামবিরোধী রাজনীতিবিদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্সও অংশ নিতে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রদর্শনী শেষে সম্মেলনে প্রধান বক্তা। যিনি পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামের কট্টোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। পুলিশের সহায়তায় নিরাপদে ভবন থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিজেই তা টুইট করে জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই অস্ত্রধারী একটি গাড়িতে করে এসে কার্টিস কালওয়েল সেন্টারের সামনে নেমে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার দিকে গুলি শুরু করে।
এরপর গারল্যান্ড পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। এ সময় নিরাপত্তারক্ষী একজন আহত হলেও তার আঘাত গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফেসবুক পেজে শহর কর্তৃপক্ষের দেয়া এক বার্তায় জানানো হয়, এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য আশংকামুক্ত। তবে হামলাকারীদের পরিচয় বা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি গারল্যান্ড পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, নিহত ব্যক্তিদের গাড়িতে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য বোমা স্কোয়াডকে খবর দেয়া হয়েছে।
সম্মেলনস্থলে ছিলেন এমন একজন নারী বিবিসিকে বলেন, তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ গুলির শব্দ শোনেন। একজন নিরাপত্তাকর্মী তাকে দ্রুত ভবনের ভেতর ঢুকে পড়তে বলেন। তিনি ভয়ে আবার ভেতরে চলে যান।
গারল্যান্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জো হার্ন বলেন, প্রদর্শনীর সঙ্গে এ গোলাগুলির ঘটনা সম্পর্কিত কিনা তা পরিষ্কার নয়। কারণ এ প্রদর্শনীর ব্যাপারে আগে থেকে কোনো বিশ্বাসযোগ্য হুমকি ছিল না।
বিতর্কিত ব্লগার ও অ্যাকটিভিস্ট পামেলা গেলারের পরিচালিত সংগঠন আমেরিকান ফ্রিডম ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ (এএফডিআই) ‘মুহাম্মদ চিত্র প্রদর্শনী’ নামে ডালাসে ইসলামবিরোধী ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে মহানবী (সা.)-এর ওপর অংকন প্রতিযোগিতাও ছিল। সেই সঙ্গে সেরা আর্টিস্টের জন্য ১০ হাজার ডলার (৮ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এএফডিআই এর আগে নিউইয়র্কে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছে ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক বাসে ইসলামবিরোধী বিজ্ঞাপন প্রচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এএফডিআই যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার গ্র“প সাউদার্ন পোভার্টি ল’ সেন্টারের তালিকাভুক্ত মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন। গারল্যান্ডের যে প্রদর্শনী কেন্দ্রে রোববার কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানেই গত জানুয়ারিতে স্থানীয় একটি ইসলামিক সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান হয়েছিল। সে সময়ও এর বিরোধীরা কার্টিস কালওয়েল সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ করেছিল।
২০০৬ সালে ডেনমার্কের জাইল্যান্ডস-পোস্টেন নামের একটি পত্রিকা মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্যারিসে একই ধরনের কার্টুন প্রকাশ করায় ফরাসি বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোতে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করে দুই বন্দুকধারী। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, এপি, আলজাজিরা, রয়টার্স।
পুলিশের দাবি, নিহত দুই ব্যক্তি বন্দুকধারী ছিলেন, তারা প্রদর্শনীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক ব্যক্তিকে গুলি করলে পুলিশ গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে। হামলার পর সবাইকে সরিয়ে নিয়ে ওই প্রদর্শনী কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। রোববার মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুনের প্রতিযোগিতার শেষদিনে প্রদর্শিত কার্টুনের ওপর আলোচনা চলছিল। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটল।
মাহানবী (সা.)-কে নিয়ে আঁকা কার্টুনের এই প্রদর্শনীতে নেদারল্যান্ডসের ইসলামবিরোধী রাজনীতিবিদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্সও অংশ নিতে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রদর্শনী শেষে সম্মেলনে প্রধান বক্তা। যিনি পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামের কট্টোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। পুলিশের সহায়তায় নিরাপদে ভবন থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিজেই তা টুইট করে জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই অস্ত্রধারী একটি গাড়িতে করে এসে কার্টিস কালওয়েল সেন্টারের সামনে নেমে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার দিকে গুলি শুরু করে।
এরপর গারল্যান্ড পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। এ সময় নিরাপত্তারক্ষী একজন আহত হলেও তার আঘাত গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফেসবুক পেজে শহর কর্তৃপক্ষের দেয়া এক বার্তায় জানানো হয়, এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য আশংকামুক্ত। তবে হামলাকারীদের পরিচয় বা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি গারল্যান্ড পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, নিহত ব্যক্তিদের গাড়িতে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য বোমা স্কোয়াডকে খবর দেয়া হয়েছে।
সম্মেলনস্থলে ছিলেন এমন একজন নারী বিবিসিকে বলেন, তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ গুলির শব্দ শোনেন। একজন নিরাপত্তাকর্মী তাকে দ্রুত ভবনের ভেতর ঢুকে পড়তে বলেন। তিনি ভয়ে আবার ভেতরে চলে যান।
গারল্যান্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জো হার্ন বলেন, প্রদর্শনীর সঙ্গে এ গোলাগুলির ঘটনা সম্পর্কিত কিনা তা পরিষ্কার নয়। কারণ এ প্রদর্শনীর ব্যাপারে আগে থেকে কোনো বিশ্বাসযোগ্য হুমকি ছিল না।
বিতর্কিত ব্লগার ও অ্যাকটিভিস্ট পামেলা গেলারের পরিচালিত সংগঠন আমেরিকান ফ্রিডম ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ (এএফডিআই) ‘মুহাম্মদ চিত্র প্রদর্শনী’ নামে ডালাসে ইসলামবিরোধী ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে মহানবী (সা.)-এর ওপর অংকন প্রতিযোগিতাও ছিল। সেই সঙ্গে সেরা আর্টিস্টের জন্য ১০ হাজার ডলার (৮ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এএফডিআই এর আগে নিউইয়র্কে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছে ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক বাসে ইসলামবিরোধী বিজ্ঞাপন প্রচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এএফডিআই যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার গ্র“প সাউদার্ন পোভার্টি ল’ সেন্টারের তালিকাভুক্ত মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন। গারল্যান্ডের যে প্রদর্শনী কেন্দ্রে রোববার কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানেই গত জানুয়ারিতে স্থানীয় একটি ইসলামিক সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান হয়েছিল। সে সময়ও এর বিরোধীরা কার্টিস কালওয়েল সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ করেছিল।
২০০৬ সালে ডেনমার্কের জাইল্যান্ডস-পোস্টেন নামের একটি পত্রিকা মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্যারিসে একই ধরনের কার্টুন প্রকাশ করায় ফরাসি বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোতে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করে দুই বন্দুকধারী। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, এপি, আলজাজিরা, রয়টার্স।
No comments