ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ নিহত ১০
হামাস ঘোষিত অস্ত্রবিরতি ও সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান সত্ত্বেও ঈদের দিন গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আট শিশুসহ নিহত হয়েছে ১০ জন। সোমবার শহরের একটি খেলার মাঠে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওই শিশুরা নিহত হয়। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয় বলে গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কাছাকাছি সময়ে আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র গাজার প্রধান হাসপাতাল শিফার প্রাঙ্গণে একটি ভবনে আঘাত হানে। তবে ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা এসব হামলার কথা অস্বীকার করে বলেছে, খেলার মাঠে আঘাত হানা ক্ষেপনাস্ত্রটি গাজা থেকে নিক্ষেপের সময় বিস্ফোরিত হয়। শিফা হাসপাতালের কাছে বিস্ফোরিত ক্ষেপনাস্ত্রটিও ফিলিস্তিনি, যেটা গাজা থেকে ইসরায়েলে নিক্ষেপের চেষ্টার সময় ভুলক্রমে হাসপাতালে গিয়ে পরে। ইসরায়েলে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজার কাছে ইসরায়েলেরে এশকল অঞ্চলে মর্টার হামলায় তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
সোমবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকালন লক্ষ্য করে গাজা থেকে ছোঁড়া এক রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েল আবার হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লারনার হামলা শুরু করার জন্য হামাসের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে আগ্রহী হলেও হামাস আগ্রহী নয়। অন্যদিকে, হামাসের মুখপাত্র ইহাব-আল ঘুসেইন বলেছেন, গাজা সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে শান্তি আসবে না। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার অধিকার, সীমান্ত খুলে দেওয়া এবং অবরোধের অবসান ঘটিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে হামাস। গত ৮ জুলাই থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রোববার রাতে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
No comments