দ্বৈত ভূমিকায় এরশাদ
রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে এরশাদ। প্রধান
দুই দলের বাইরে তাকে নিয়েই এখন বেশি আলোচনা। কি করছেন এরশাদ? কি করবেন
তিনি? চারদিকে এমন নানা প্রশ্ন।
জনমনে রহস্যের জট
বাড়াচ্ছেন এরশাদ নিজেই। সকালে এক কথা তো বিকালে আরেক। আগের দিন উন্মুক্ত
সভায় ঘোষণা দেয়ার পর পরের দিন বেমালুম তা অস্বীকার। একবার বলছেন, আমি আর
মহাজোটে নেই। আবার এ-ও বলছেন, এখনও মহাজোটে আছি তবে নির্বাচন করবো
এককভাবে। এরশাদের এমন দ্বৈত আচরণে বিব্রত তার দলের নেতাকর্মীরাও। কিন্তু
তাদেরই বা বলার কি আছে। দল ও দলের সবকিছু চলে তাকে কেন্দ্র করেই। তিনিই
নীতিনির্ধারক। দলের নেতারা তার দিকেই চেয়ে থাকেন সিদ্ধান্তের জন্য।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা জিজ্ঞাসা। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি সরকারের সমালোচনা করছেন। নানা বিষয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলে যাচ্ছেন, তিনি এককভাবে নির্বাচন করবেন। বিরোধী দল নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাবে না। এমন ঘোষণায় অনেকে ভেবে থাকেন সরকারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। হয়তো পাওয়া না পাওয়ার হিসাব থেকে এরশাদ এখন মহাজোটের অংশীদার থাকতে চান না। কিন্তু বাস্তবে তার অবস্থান তা বলে না। রোববারও এরশাদ বলেছেন, তিনি এখনও মহাজোটে আছেন। সিদ্ধান্ত নেবেন ২৪শে অক্টোবরের পর। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় অবস্থান ঠিক করবে জাপা। যদিও একদিন আগে অন্য এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আর মহাজোটে নেই। আমরা এককভাবে নির্বাচন করবো।
এমন দ্বৈত অবস্থান ও বক্তব্যে সরকারের সঙ্গে এরশাদের সম্পর্ক নিয়েও নানা আলোচনা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এখনও সরকারের মন্ত্রী। তার দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে দলে কোন আলোচনা নেই। জাপা’র এই নেতা মন্ত্রী হলেও তিনি অনেকটা কোণঠাসা। মন্ত্রী হয়েও মন্ত্রীর পুরো ক্ষমতা তার হাতে নেই। এ নিয়ে তার মধ্যে মান-অভিমান আছে। এ কারণে পদ ছাড়ার ইচ্ছাও ছিল তার। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি মন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন না বলে আলোচনা রয়েছে।
মহাজোটের শরিক দল হিসেবে এরশাদ ও জাতীয় পার্টির অবস্থান এখন রহস্যে ঘেরা। নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান কি তা অস্পষ্ট। এ বিষয়ে অন্ধকারে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও। হেফাজত, গণজাগরণ মঞ্চসহ কিছু ইস্যুতে এরশাদ কথা বলে সহজ জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা করলেও নির্বাচন ইস্যুতে তার এ মিশ্র অবস্থানে অনেকে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নিজের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন সমপ্রতি। তার রূপরেখায় দল ভিত্তিক নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন আগ্রহ নেই। এরশাদের প্রস্তাব নিয়ে তেমন আলোচনাও হয়নি। যদিও রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার প্রস্তাবটি তুলে ধরেছিলেন। এরশাদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার সমালোচনা করছেন। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে দেয়া বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে কোন কথা বলছেন না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না এমনটিও তিনি বলছেন। তবে এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য নেই তার। রোববার রংপুরে আয়োজিত সভায় এরশাদ দুই নেত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, প্রয়োজনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। তিনি রংপুরের ২২টি আসনে কোন দলকে ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, এর আগে এই আসনগুলো নিয়ে মহাজোটের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে। এ কারণে অনেক আসন হারিয়েছি। কিন্তু এবার তা হতে দেবো না। এই ২২টি আসন এবার আমরা ছিনিয়ে আনবো। তিনি বলেন, দুই নেত্রীর হাতে দেশ আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এই দুই নেত্রীর রাহুর গ্রাস থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। মানুষ হানাহানি-বিদ্বেষ চায় না। সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে এরশাদ নিজ দলের কর্মীদের মুখে বলিয়েছেন যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে ঘৃণিত দল। ওই সভায় এরশাদ কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন সবচেয়ে ঘৃণিত দল কোনটি? তখন কর্মীদের কাছ থেকে জবাব আসে ‘আওয়ামী লীগ’। জবাবে এরশাদ বলেন, আমি এই নামটি উচ্চারণ করতে চাই না। পরের দিন এটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এরশাদ তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠান। বলা হয় এরশাদ এ ধরনের কোন কথা বলেননি। যদিও একটি সংবাদপত্র এরশাদের এ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে দাবি করেছে তাদের কাছে জাপা চেয়ারম্যানের বক্তব্যের রেকর্ড আছে। পরের দিন ওই দৈনিকের দাবির বিষয়ে এরশাদের কোন বক্তব্য দেখা যায়নি। শুধু মুখে নয়, কাগজেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দ্বৈত অবস্থানে তাকে নিয়ে রহস্যের জট বাড়ছে।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা জিজ্ঞাসা। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি সরকারের সমালোচনা করছেন। নানা বিষয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলে যাচ্ছেন, তিনি এককভাবে নির্বাচন করবেন। বিরোধী দল নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাবে না। এমন ঘোষণায় অনেকে ভেবে থাকেন সরকারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। হয়তো পাওয়া না পাওয়ার হিসাব থেকে এরশাদ এখন মহাজোটের অংশীদার থাকতে চান না। কিন্তু বাস্তবে তার অবস্থান তা বলে না। রোববারও এরশাদ বলেছেন, তিনি এখনও মহাজোটে আছেন। সিদ্ধান্ত নেবেন ২৪শে অক্টোবরের পর। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় অবস্থান ঠিক করবে জাপা। যদিও একদিন আগে অন্য এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আর মহাজোটে নেই। আমরা এককভাবে নির্বাচন করবো।
এমন দ্বৈত অবস্থান ও বক্তব্যে সরকারের সঙ্গে এরশাদের সম্পর্ক নিয়েও নানা আলোচনা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এখনও সরকারের মন্ত্রী। তার দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে দলে কোন আলোচনা নেই। জাপা’র এই নেতা মন্ত্রী হলেও তিনি অনেকটা কোণঠাসা। মন্ত্রী হয়েও মন্ত্রীর পুরো ক্ষমতা তার হাতে নেই। এ নিয়ে তার মধ্যে মান-অভিমান আছে। এ কারণে পদ ছাড়ার ইচ্ছাও ছিল তার। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি মন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন না বলে আলোচনা রয়েছে।
মহাজোটের শরিক দল হিসেবে এরশাদ ও জাতীয় পার্টির অবস্থান এখন রহস্যে ঘেরা। নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান কি তা অস্পষ্ট। এ বিষয়ে অন্ধকারে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও। হেফাজত, গণজাগরণ মঞ্চসহ কিছু ইস্যুতে এরশাদ কথা বলে সহজ জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা করলেও নির্বাচন ইস্যুতে তার এ মিশ্র অবস্থানে অনেকে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নিজের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন সমপ্রতি। তার রূপরেখায় দল ভিত্তিক নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন আগ্রহ নেই। এরশাদের প্রস্তাব নিয়ে তেমন আলোচনাও হয়নি। যদিও রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার প্রস্তাবটি তুলে ধরেছিলেন। এরশাদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার সমালোচনা করছেন। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে দেয়া বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে কোন কথা বলছেন না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না এমনটিও তিনি বলছেন। তবে এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য নেই তার। রোববার রংপুরে আয়োজিত সভায় এরশাদ দুই নেত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, প্রয়োজনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। তিনি রংপুরের ২২টি আসনে কোন দলকে ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, এর আগে এই আসনগুলো নিয়ে মহাজোটের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে। এ কারণে অনেক আসন হারিয়েছি। কিন্তু এবার তা হতে দেবো না। এই ২২টি আসন এবার আমরা ছিনিয়ে আনবো। তিনি বলেন, দুই নেত্রীর হাতে দেশ আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এই দুই নেত্রীর রাহুর গ্রাস থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। মানুষ হানাহানি-বিদ্বেষ চায় না। সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে এরশাদ নিজ দলের কর্মীদের মুখে বলিয়েছেন যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে ঘৃণিত দল। ওই সভায় এরশাদ কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন সবচেয়ে ঘৃণিত দল কোনটি? তখন কর্মীদের কাছ থেকে জবাব আসে ‘আওয়ামী লীগ’। জবাবে এরশাদ বলেন, আমি এই নামটি উচ্চারণ করতে চাই না। পরের দিন এটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এরশাদ তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠান। বলা হয় এরশাদ এ ধরনের কোন কথা বলেননি। যদিও একটি সংবাদপত্র এরশাদের এ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে দাবি করেছে তাদের কাছে জাপা চেয়ারম্যানের বক্তব্যের রেকর্ড আছে। পরের দিন ওই দৈনিকের দাবির বিষয়ে এরশাদের কোন বক্তব্য দেখা যায়নি। শুধু মুখে নয়, কাগজেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দ্বৈত অবস্থানে তাকে নিয়ে রহস্যের জট বাড়ছে।
No comments