স্বাধীন দেশে এতো অনিশ্চয়তা কেন, প্রশ্ন ইউনূসের
আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা
নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
‘অশান্তির দরজা’ যেন খুলে না যায়।
গ্রামীণব্যাংক ‘দখলের সরকারি অপচেষ্টা’ বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের লেডিস ক্লাবে এক নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের এই সাবেক এমডি বলেন, “এমনিতে দেশের অবস্থা খারাপ। নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। যেখানে সকল দলের অংশগ্রহণ থাকবে।’’
২৫ অক্টোবরের পর কি হবে তা নিয়ে ‘প্রত্যেক পরিবার’ উৎকণ্ঠায় রয়েছে মন্তব্য করে ইউনূস প্রশ্ন করেন, “ঘর থেকে বের হওয়া যাবে তো? স্বাধীন দেশে এতো অনিশ্চয়তা কেন? আমরা কি ভোট দিতে পারব না?”
এর আগে গত অগাস্ট মাসে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন ইউনূস, যিনি এর আগে একবার রাজনৈতিক দল গড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
ইউনূস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।”
বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের শরিকরা।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। এই সময়ে সংসদ বহাল থাকবে, সরকারে থাকবে আওয়ামী লীগ।
তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে ২৫ অক্টোবর রাজধানীতে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সেদিন দা, কুড়াল নিয়ে দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা।
ড. ইউনূস বলেন, ‘‘এখনো সময় আছে। আমরা দুর্যোগের মধ্যে পড়তে চাই না। অনিশ্চয়তার মধ্যে আমরা যেতে চাই না। অশান্তির দরজা যেন খুলে না যায়।’’
নোবেলজয়ী ইউনূস সুহৃদ পরিষদ নামে চট্টগ্রামের একটি সংগঠন ঈদের পরদিন এ নারী সমাবেশের আয়োজন করে। ড. ইউনূস তার বক্তৃতায় গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের সরকারি উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিলে তিলে মহিলারা এই ব্যাংক গড়ে তুলেছে। তারা তাদের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশকে নোবেল এনে দিয়েছে। আর এটা সরকার নিয়ে যেতে চাচ্ছে।”
গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, “আমাদের বলতে হবে, যে এটাতে হাত দেবে আমরা তার হাত ভেঙ্গে দেব।”
গ্রামীণব্যাংক ‘দখলের সরকারি অপচেষ্টা’ বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের লেডিস ক্লাবে এক নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের এই সাবেক এমডি বলেন, “এমনিতে দেশের অবস্থা খারাপ। নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। যেখানে সকল দলের অংশগ্রহণ থাকবে।’’
২৫ অক্টোবরের পর কি হবে তা নিয়ে ‘প্রত্যেক পরিবার’ উৎকণ্ঠায় রয়েছে মন্তব্য করে ইউনূস প্রশ্ন করেন, “ঘর থেকে বের হওয়া যাবে তো? স্বাধীন দেশে এতো অনিশ্চয়তা কেন? আমরা কি ভোট দিতে পারব না?”
এর আগে গত অগাস্ট মাসে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন ইউনূস, যিনি এর আগে একবার রাজনৈতিক দল গড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
ইউনূস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।”
বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের শরিকরা।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। এই সময়ে সংসদ বহাল থাকবে, সরকারে থাকবে আওয়ামী লীগ।
তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে ২৫ অক্টোবর রাজধানীতে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সেদিন দা, কুড়াল নিয়ে দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা।
ড. ইউনূস বলেন, ‘‘এখনো সময় আছে। আমরা দুর্যোগের মধ্যে পড়তে চাই না। অনিশ্চয়তার মধ্যে আমরা যেতে চাই না। অশান্তির দরজা যেন খুলে না যায়।’’
নোবেলজয়ী ইউনূস সুহৃদ পরিষদ নামে চট্টগ্রামের একটি সংগঠন ঈদের পরদিন এ নারী সমাবেশের আয়োজন করে। ড. ইউনূস তার বক্তৃতায় গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের সরকারি উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিলে তিলে মহিলারা এই ব্যাংক গড়ে তুলেছে। তারা তাদের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশকে নোবেল এনে দিয়েছে। আর এটা সরকার নিয়ে যেতে চাচ্ছে।”
গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, “আমাদের বলতে হবে, যে এটাতে হাত দেবে আমরা তার হাত ভেঙ্গে দেব।”
No comments