অভিমত ॥ গণদুশমনদের পরাস্ত করুন by লে. কর্নেল কাজী সেলিম উদ্দিন (অব)
বিষ যদি একবারে প্রাণঘাতী পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তবে মৃত্যুর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্য বিষ মন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু বিষ যদি নিয়মিত ও ক্রমাগতভাবে অল্প অল্প পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে তবে এর যন্ত্রণা ও ভোগান্তি হয় সুদূরপ্রসারী ও অতি প্রলম্বিত। আমাদের ওপর খুব সুচারুভাবে বিষ প্রয়োগ চলছে।
এক কথায় বলা যায় দেশের প্র্রায় সব খাদ্যে অতিমাত্রায় বিষ আছে। আমাদের খাদ্যে যে পরিমাণ বিষ থাকে তা নিরাপদ সীমা থেকে কয়েক শ’ গুণ বেশি বলে অনেকের অনুমান। কি কৃষিজাত, কি দুগ্ধজাত, মৎস্যজাত, ফলজাত, বোতলজাত, টিনজাত, প্যাকেটজাত, ডিম এমনকি আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যে খোলাখুলি ও নিয়মিতভাবে বিষ মেশানো হচ্ছে। এ থেকে ওষুধ ও শিশুখাদ্যও বাদ নেই। এসব বিষের মারাত্মক ক্রিয়া দেখা দেয় বিলম্বে কিন্তু নির্ঘাতভাবে। দেশের সমস্ত মানুষ ধর্মবর্ণগোত্র,লিঙ্গ-বয়স-এলাকা-রাজনীতি, মতপার্থক্য নির্বিশেষে বিষ দ্বারা আক্রান্ত। শিশুরা এর প্রধান শিকার। এমনকি মায়ের পেটে ভ্রƒণেরও এ বিষ থেকে রক্ষা নেই।
এই গণদুশমনদের ধ্বংস করতে হবে, না হলে এ জাতির রক্ষা নেই। এরা আমাদের এক ল্যাংড়া-কালা-বোবা-অন্ধ-বুদ্ধিহীন-নির্জীব জাতিতে পরিণত করার কাজ খুব সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষ প্রয়োগ বন্ধ না হলে এই জাতির ভবিষ্যত কি? দেশের মানবসম্পদ, উন্নয়ন, চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যয়, কর্মক্ষমতা হ্রাস প্রভৃতি বিষয় এর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদের প্রতিহত করার এখনই সময়।
জাতিকে বিষপ্রয়োগ একটা জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমাদের নিরাপদ খাদ্য পাবার অধিকারকে নৃশংসভাবে দলিত-মথিত করা হচ্ছে। আমাদের মানবাধিকার ভীষণভাবে দলিত হচ্ছে। যারা উৎপাদন, আমদানি, বিতরণ, বিক্রয় এর যে কোন পর্যায়ে খাদ্যে বিষ মেলায় তারা ‘এক নম্বর গণদুশমন।’
সরকারের কাছে আমি দাবি জানাই, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গঠন করুন। কৃষি,স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, আইন প্রভৃতির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিবৃন্দ এই কমিটির সদস্য হবেন। কমিটি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্ন বিষয়ে সত্বর ব্যবস্থা নেবে।
(ক) যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, যুক্তরাজ্য প্রভৃতি উন্নত দেশে যে সমস্ত কেমিক্যাল দ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা অতি সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারযোগ্য তার আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবহার এখনই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা।
(খ) নিষিদ্ধ কেমিক্যাল বাদে অন্যান্য কেমিক্যালের উৎপাদন ও আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে কেবল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভোক্তাগণই নির্ধারিত পরিমাণে এসব কেমিক্যাল পেতে পারে। এ ব্যবস্থা সত্বর প্রচলন করা।
(গ) রাসায়নিক সার ব্যতিরেকে সকল কীটনাশক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে রঙ, স্বাদ, গন্ধ্য, ভেজাল প্রভৃতি কাজে ব্যবহার্য রাসায়নিক। দুধ, মাছ-মাংস, ফল, শাক-সবজি প্রভৃতিতে ব্যবহার্য প্রিজারভেটিভ, হরমন প্রভৃতি রাসায়নিক ব্যক্তি খাতে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
(ঘ) রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহারযোগ্য রাসায়নিক ব্যবহার নিরুৎসাহ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর ধার্য করে এগুলোর মূল্য বৃদ্ধি করা।
(ঙ) বিভিন্ন ওষুধ, দুধ, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্য ও পানীয়তে ভেজালকারী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে নির্দিষ্ট-নিরাপদ পরিমাণের অতিরিক্ত বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহারকারী, হাঁস-মুরগি, পশুপালন কর্মে বিভিন্ন হরমোন ব্যবহারকারী, মাছ, দুধ, ফল,শাক-সবজি প্রভৃতি খাদ্যে প্রিজারভেটিভ ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনার বিষয় যেসব আইন আছে।
(চ) প্রতিটি জেলায় সর্বনিম্নে একটা বিশেষ কোটা/ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে নিম্নে চারটি করে কোর্ট/ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। বর্তমানে দেশে এই কোর্ট মাত্র একটা আছে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়ে সরকারের প্রাধান্য দেয়া উচিত :
(ক) কৃষক, ক্ষেতমজুর, মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলের খামারি, হাট-বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জানাতে এবং বোঝাতে হবে যে বিভিন্ন কেমিক্যালের অতি ব্যবহার এবং অপব্যবহার এর ফলে তাকে, তার পরিবারের সদস্যদের ও দেশের সকলকে কিভাবে মারাত্মক রোগাক্রান্ত করছে। তাদের দিয়ে এই কার্যকলাপ কিভাবে জাতিকে এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
(খ) কৃষিতে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের কুফল যা কৃষিকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন মাটির উর্বরা নষ্ট হওয়া, কীটপতঙ্গ-কীটনাশ প্রতিরোধক হওয়া, উৎপাদনে ক্ষতি হওয়া, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বোঝানো ও পূর্বের পরিক্ষিত জৈব সার ও বিভিন্ন কীটনাশক/প্রতিরোধক ব্যবহারে উৎসাহ দান ও প্রশিক্ষণ দান। আমাদের কৃষক দেশের গর্বের ধন। এরা নিজেদের উদ্যোগেই কেমিক্যালের বিকল্প খুঁজে নিচ্ছে। কৃষি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া যা লাভজনক, মূল্যসাশ্রয়ী কৃষক তা সহজেই গ্রহণ করবে।
(গ) কৃষি, হাঁস-মুরগি, পশু পালন বিষয় যে সব গবেষণাগার আছে তাদের কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় অর্থ ও জনবল বরাদ্দ করা।এসব গবেষণাগারের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গর্বযোগ্য অবদান আছে। এরা উচ্চ উৎপাদনশীল, খরা ও কীটপ্রতিরোধক বীজ ও চারা কৃষকের হাতে তুলে দেবে সঙ্গে সঙ্গে সহজে প্রয়োগযোগ্য উন্নত কৃষি পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া।
(ঘ) বিষমুক্ত খাদ্য পাবার অধিকার জনগণের আছে। এই লক্ষ্যে সরকার মিডিয়া, এনজিও, পলিটিক্যাল পার্টি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নেবে।
(ঙ) ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, অটিজম রোগের চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতি, ওষুধ প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ। উপরে যে সব বিষয় সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে তা নতুন কিছু নয়।
জাতির এই সঙ্কট সময় শুধু সরকারের সদ ইচ্ছার মুখাপেক্ষী থেকে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সরকার যাতে এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় তার জন্য আবালবৃদ্ধবনিতা, জাতিধর্মবর্ণপেশা নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং নিরাপদ খাদ্যের দাবি জোরদার করতে হবে। আসুন আমরা ‘গণদুশমনদের’ পরাস্ত করে বিষমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
নরংযসঁশঃড়.নধহমষধ@মসধরষ.পড়স
এই গণদুশমনদের ধ্বংস করতে হবে, না হলে এ জাতির রক্ষা নেই। এরা আমাদের এক ল্যাংড়া-কালা-বোবা-অন্ধ-বুদ্ধিহীন-নির্জীব জাতিতে পরিণত করার কাজ খুব সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষ প্রয়োগ বন্ধ না হলে এই জাতির ভবিষ্যত কি? দেশের মানবসম্পদ, উন্নয়ন, চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যয়, কর্মক্ষমতা হ্রাস প্রভৃতি বিষয় এর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদের প্রতিহত করার এখনই সময়।
জাতিকে বিষপ্রয়োগ একটা জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমাদের নিরাপদ খাদ্য পাবার অধিকারকে নৃশংসভাবে দলিত-মথিত করা হচ্ছে। আমাদের মানবাধিকার ভীষণভাবে দলিত হচ্ছে। যারা উৎপাদন, আমদানি, বিতরণ, বিক্রয় এর যে কোন পর্যায়ে খাদ্যে বিষ মেলায় তারা ‘এক নম্বর গণদুশমন।’
সরকারের কাছে আমি দাবি জানাই, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গঠন করুন। কৃষি,স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, আইন প্রভৃতির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিবৃন্দ এই কমিটির সদস্য হবেন। কমিটি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্ন বিষয়ে সত্বর ব্যবস্থা নেবে।
(ক) যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, যুক্তরাজ্য প্রভৃতি উন্নত দেশে যে সমস্ত কেমিক্যাল দ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা অতি সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারযোগ্য তার আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবহার এখনই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা।
(খ) নিষিদ্ধ কেমিক্যাল বাদে অন্যান্য কেমিক্যালের উৎপাদন ও আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে কেবল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভোক্তাগণই নির্ধারিত পরিমাণে এসব কেমিক্যাল পেতে পারে। এ ব্যবস্থা সত্বর প্রচলন করা।
(গ) রাসায়নিক সার ব্যতিরেকে সকল কীটনাশক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে রঙ, স্বাদ, গন্ধ্য, ভেজাল প্রভৃতি কাজে ব্যবহার্য রাসায়নিক। দুধ, মাছ-মাংস, ফল, শাক-সবজি প্রভৃতিতে ব্যবহার্য প্রিজারভেটিভ, হরমন প্রভৃতি রাসায়নিক ব্যক্তি খাতে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
(ঘ) রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহারযোগ্য রাসায়নিক ব্যবহার নিরুৎসাহ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর ধার্য করে এগুলোর মূল্য বৃদ্ধি করা।
(ঙ) বিভিন্ন ওষুধ, দুধ, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্য ও পানীয়তে ভেজালকারী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে নির্দিষ্ট-নিরাপদ পরিমাণের অতিরিক্ত বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহারকারী, হাঁস-মুরগি, পশুপালন কর্মে বিভিন্ন হরমোন ব্যবহারকারী, মাছ, দুধ, ফল,শাক-সবজি প্রভৃতি খাদ্যে প্রিজারভেটিভ ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনার বিষয় যেসব আইন আছে।
(চ) প্রতিটি জেলায় সর্বনিম্নে একটা বিশেষ কোটা/ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে নিম্নে চারটি করে কোর্ট/ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। বর্তমানে দেশে এই কোর্ট মাত্র একটা আছে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়ে সরকারের প্রাধান্য দেয়া উচিত :
(ক) কৃষক, ক্ষেতমজুর, মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলের খামারি, হাট-বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জানাতে এবং বোঝাতে হবে যে বিভিন্ন কেমিক্যালের অতি ব্যবহার এবং অপব্যবহার এর ফলে তাকে, তার পরিবারের সদস্যদের ও দেশের সকলকে কিভাবে মারাত্মক রোগাক্রান্ত করছে। তাদের দিয়ে এই কার্যকলাপ কিভাবে জাতিকে এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
(খ) কৃষিতে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের কুফল যা কৃষিকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন মাটির উর্বরা নষ্ট হওয়া, কীটপতঙ্গ-কীটনাশ প্রতিরোধক হওয়া, উৎপাদনে ক্ষতি হওয়া, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বোঝানো ও পূর্বের পরিক্ষিত জৈব সার ও বিভিন্ন কীটনাশক/প্রতিরোধক ব্যবহারে উৎসাহ দান ও প্রশিক্ষণ দান। আমাদের কৃষক দেশের গর্বের ধন। এরা নিজেদের উদ্যোগেই কেমিক্যালের বিকল্প খুঁজে নিচ্ছে। কৃষি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া যা লাভজনক, মূল্যসাশ্রয়ী কৃষক তা সহজেই গ্রহণ করবে।
(গ) কৃষি, হাঁস-মুরগি, পশু পালন বিষয় যে সব গবেষণাগার আছে তাদের কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় অর্থ ও জনবল বরাদ্দ করা।এসব গবেষণাগারের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গর্বযোগ্য অবদান আছে। এরা উচ্চ উৎপাদনশীল, খরা ও কীটপ্রতিরোধক বীজ ও চারা কৃষকের হাতে তুলে দেবে সঙ্গে সঙ্গে সহজে প্রয়োগযোগ্য উন্নত কৃষি পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া।
(ঘ) বিষমুক্ত খাদ্য পাবার অধিকার জনগণের আছে। এই লক্ষ্যে সরকার মিডিয়া, এনজিও, পলিটিক্যাল পার্টি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নেবে।
(ঙ) ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, অটিজম রোগের চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতি, ওষুধ প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ। উপরে যে সব বিষয় সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে তা নতুন কিছু নয়।
জাতির এই সঙ্কট সময় শুধু সরকারের সদ ইচ্ছার মুখাপেক্ষী থেকে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সরকার যাতে এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় তার জন্য আবালবৃদ্ধবনিতা, জাতিধর্মবর্ণপেশা নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং নিরাপদ খাদ্যের দাবি জোরদার করতে হবে। আসুন আমরা ‘গণদুশমনদের’ পরাস্ত করে বিষমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
নরংযসঁশঃড়.নধহমষধ@মসধরষ.পড়স
No comments