বাতাসে ভেসে বেড়ায় মিষ্টি ঘ্রাণ, ফুলে আগ্রহ তরুণীদের- শরতের কাঁঠালিচাঁপা by মোরসালিন মিজান
আম্মু বলেন পড়রে সোনা/আব্বু বলেন মন দে,/পাঠে আমার মন বসে না/কাঁঠালচাঁপার গন্ধে। হ্যাঁ, এমনই ঘ্রাণ কাঁঠালচাঁপার। নাকের কাছে নিয়ে শুকতে হয় না। বরং ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকে। সেই বাতাসের ঝাপটা এসে নাকে লাগার সঙ্গে সঙ্গে মন ভাল হয়ে যায়। বোঝার বাকি থাকে নাÑ কাঁঠালচাঁপা ফুটেছে।
জানা যায়, কাঁঠালের মতো মিষ্টি ঘ্রাণের কারণে একে কাঁঠালচাঁপা বলা হয়। বড়সড় গাছটি কম বেশি সারাদেশেই দেখা যায়। এমনকি জঞ্জালের শহর ঢাকায় আছে যথেষ্ট পরিমাণে। বিভিন্ন পার্কে, পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছ এখন ফুলে ফুলে ভরা। গ্রীষ্ম থেকে শুরু হয় ফুল ফোটা। শরতে পাপড়িগুলো পাকা পেঁপের রং ধারণ করে। কিছু ফুলের পাপড়ি আবার হালকা হলুদ।
ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের পেছনের অংশে এমন একাধিক গাছ আছে। এগুলো যথারীতি ওপরের দিকে উঠে গেছে। ডালপালা চোখের সীমানায় তেমন আসে না। ঘন সবুজ পাতা চোখে পড়ে। সেই পাতার আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে ফুল। সাধারণের জন্য এ ফুল খুঁজে নেয়া কিছুটা কঠিন বটে। তবে পথশিশুদের এ খবর খুব জানা। শহর ঢাকার সব কাঁঠালিচাঁপা গাছের হদিস জানে তারা। দুরন্ত কিশোর-কিশোরীরা গাছ বেয়ে ওপরে উঠে ফুল সংগ্রহ করে। বয়স্ক মহিলারা সেগুলোকে সুতোয় পেঁচিয়ে তোড়া তৈরি করেন। তারপর বিক্রির জন্য শিশুদের হাতে তুলে দেন। শাহবাগ মোড়ে এখন প্রতিদিন দেখা যায় এমন দৃশ্য।
শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের সামনের ফুটপাথে গিয়ে দেখা যায়, ঝুড়িভর্তি কাঁঠালচাঁপা নিয়ে বসেছেন বয়স্ক মহিলারা। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পথচারীরা সেদিকে মুগ্ধ চোখে তাকাচ্ছেন। যেন এর চেয়ে সুন্দর কোন দৃশ্য আর হয় না। আকুল করা ঘ্রাণের কারণে অনেকেই আগ্রহ করে ফুল কেনেন। তরুণীরা কুশলী হাতে খোঁপায় গোঁজেন। ড্রইংরুমের ফুলদানিতে রাখার জন্যও কাঁঠালিচাঁপাকে বেছে নেন শৌখিন মানুষ। সনি নামের এক কিশোরী বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিল ঝুড়ির পাশে। তোড়া প্রস্তুত হতেই সেগুলো নিয়ে এক দৌড়ে রাস্তায় নেমে যায় সে। ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়া গাড়ি তার প্রধান টার্গেট। সবাই কেনে না। তবে, কেউ কেউ ঠিকই গাড়ির কালো কাচ নামান। কাছে ডাকেন। ওমনি মিষ্টি হাসি দিয়ে কাছে যায় মেয়েটি। ফুল বিক্রি করে টাকা নিয়ে ফিরে আসে। নতুন ক্রেতা খুঁজে। এভাবে চলে যায় দিন। জনকণ্ঠকে সে জানায়, কিছু ফুল সাধারণত দোকানে বিক্রি হয় না। তবে শৌখিন কাস্টমাররা দেখে খুশি হয়ে কেনে। তাই বিভিন্ন পার্ক থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করে বিক্রি করে তারা।
এখন কাঁঠালচাঁপার সময়। তাই এই ফুল বিক্রি করছে। দিনের মধ্যেই সব ফুল বিক্রি করতে হয়। তা না হলে নষ্ট হয়ে যায়। তবে কোথায় কোথায় কাঁঠালচাঁপার গাছ আছে তা জানাতে চায় না কেউ। বলে, আমরা সাভার থেকে আনি। তবে একটু খোঁজ করে জানা যায়, আসলে ঘটনা তা নয়। সবই এই শহরের কাঁঠালচাঁপা। তবে ফুলের উৎস জানাজানি হয়ে গেলে বিক্রেতাদের ক্ষতি। এ কারণেই উৎস জানায় না তারা। একইভাবে দিনে কত বিক্রি হয় সে তথ্য দিতে নারাজ তারা। কেন? জানতে চাইলে মজার তথ্য বেরিয়ে আসে। বয়স্কা এক মহিলা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সাংবাদিকরা কথা কইয়া যায়। পরে গিয়ে টেলিভিশনে দেখায়। কয় আমরা নাকি প্রত্যেক দিন এক থাইক্যা দুই হাজার টাকার ফুল বিক্রি করি। ঘটনা মিথ্যা। এর পরও খবর দেখে পুলিশ আসে। ঘোষ চায়। এইডা কোন কথা হইল?
ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের পেছনের অংশে এমন একাধিক গাছ আছে। এগুলো যথারীতি ওপরের দিকে উঠে গেছে। ডালপালা চোখের সীমানায় তেমন আসে না। ঘন সবুজ পাতা চোখে পড়ে। সেই পাতার আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে ফুল। সাধারণের জন্য এ ফুল খুঁজে নেয়া কিছুটা কঠিন বটে। তবে পথশিশুদের এ খবর খুব জানা। শহর ঢাকার সব কাঁঠালিচাঁপা গাছের হদিস জানে তারা। দুরন্ত কিশোর-কিশোরীরা গাছ বেয়ে ওপরে উঠে ফুল সংগ্রহ করে। বয়স্ক মহিলারা সেগুলোকে সুতোয় পেঁচিয়ে তোড়া তৈরি করেন। তারপর বিক্রির জন্য শিশুদের হাতে তুলে দেন। শাহবাগ মোড়ে এখন প্রতিদিন দেখা যায় এমন দৃশ্য।
শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের সামনের ফুটপাথে গিয়ে দেখা যায়, ঝুড়িভর্তি কাঁঠালচাঁপা নিয়ে বসেছেন বয়স্ক মহিলারা। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পথচারীরা সেদিকে মুগ্ধ চোখে তাকাচ্ছেন। যেন এর চেয়ে সুন্দর কোন দৃশ্য আর হয় না। আকুল করা ঘ্রাণের কারণে অনেকেই আগ্রহ করে ফুল কেনেন। তরুণীরা কুশলী হাতে খোঁপায় গোঁজেন। ড্রইংরুমের ফুলদানিতে রাখার জন্যও কাঁঠালিচাঁপাকে বেছে নেন শৌখিন মানুষ। সনি নামের এক কিশোরী বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিল ঝুড়ির পাশে। তোড়া প্রস্তুত হতেই সেগুলো নিয়ে এক দৌড়ে রাস্তায় নেমে যায় সে। ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়া গাড়ি তার প্রধান টার্গেট। সবাই কেনে না। তবে, কেউ কেউ ঠিকই গাড়ির কালো কাচ নামান। কাছে ডাকেন। ওমনি মিষ্টি হাসি দিয়ে কাছে যায় মেয়েটি। ফুল বিক্রি করে টাকা নিয়ে ফিরে আসে। নতুন ক্রেতা খুঁজে। এভাবে চলে যায় দিন। জনকণ্ঠকে সে জানায়, কিছু ফুল সাধারণত দোকানে বিক্রি হয় না। তবে শৌখিন কাস্টমাররা দেখে খুশি হয়ে কেনে। তাই বিভিন্ন পার্ক থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করে বিক্রি করে তারা।
এখন কাঁঠালচাঁপার সময়। তাই এই ফুল বিক্রি করছে। দিনের মধ্যেই সব ফুল বিক্রি করতে হয়। তা না হলে নষ্ট হয়ে যায়। তবে কোথায় কোথায় কাঁঠালচাঁপার গাছ আছে তা জানাতে চায় না কেউ। বলে, আমরা সাভার থেকে আনি। তবে একটু খোঁজ করে জানা যায়, আসলে ঘটনা তা নয়। সবই এই শহরের কাঁঠালচাঁপা। তবে ফুলের উৎস জানাজানি হয়ে গেলে বিক্রেতাদের ক্ষতি। এ কারণেই উৎস জানায় না তারা। একইভাবে দিনে কত বিক্রি হয় সে তথ্য দিতে নারাজ তারা। কেন? জানতে চাইলে মজার তথ্য বেরিয়ে আসে। বয়স্কা এক মহিলা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সাংবাদিকরা কথা কইয়া যায়। পরে গিয়ে টেলিভিশনে দেখায়। কয় আমরা নাকি প্রত্যেক দিন এক থাইক্যা দুই হাজার টাকার ফুল বিক্রি করি। ঘটনা মিথ্যা। এর পরও খবর দেখে পুলিশ আসে। ঘোষ চায়। এইডা কোন কথা হইল?
No comments