দরিদ্র মানুষকে ব্যবহার করে ইউনূস ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার করেছেন- আলোচনায় বক্তারা
গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ইমেজ ও সম্পদ ব্যবহার করে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করলেও এর মালিকানা গ্রামীণ ব্যাংকের দরিদ্র সদস্যদের নেই।
মালিকানা ড. ইউনূসের। তাই অবিলম্বে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের সত্যিকারের মালিকানা নিরূপণ করতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি ও গ্রামীণ ব্যাংকের নির্যাতিত কর্মী পরিষদ ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার ও চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ লিয়াকত আলী, গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি কে এম শহীদুল হক, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান ও গ্রামীণ ব্যাংকের নির্যাতিত কর্মী পরিষদের মহাসচিব মুজিবুর রহমান।
গোলটেবিল বৈঠকে আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ভূত রয়েছে। কেননা রাষ্ট্রীয় এ ব্যাংকটির এমডি-পরিচালক নির্বাচন সদস্যদের ভোটে উৎসবমুখর পরিবেশে হয় না। এখানে আইয়ুব খানের তথাকথিত মৌলিক গণতন্ত্র অনুসরণ করে করা হয়। আইয়ুব খান মনে করতেন, জনগণ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার যোগ্যতা রাখেন না। কেবল চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নির্বাচন করতে পারবেন। বহুকাল পরে গ্রামীণ ব্যাংকেও সেই আইয়ুব খানের ভূত চেপেছে।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ফুলটাইম কর্মকর্তা হয়ে অন্যসব সহযোগী প্রতিষ্ঠান কিভাবে করলেন? তিনি তো করতে পারেন না। অপরদিকে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অন্য দেশে গিয়ে কোন উপহার পেলে তা রাষ্ট্রীয় মহাফেজখানায় রাখতে হয়, কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও তাই। মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের সুনাম ব্যবহার করে অন্যসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে ২৯টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া প্রসঙ্গে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নিজেই প্রশ্নকর্তা, নিজেই উত্তরদাতা। এই ২৯টি প্রশ্নের উত্তর আরো ২৯০টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিনি সরাসরি কিছু করেন না, সব কিছু জটিল করে করেন। ইউনূস সাহেব গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের ১১ হাজার বর্গফুট নোবেল লরিয়েট ফাউন্ডেশনের নামে বিনামূল্যে নিলেন। পরে রেজুলেশন করে আবার ইউনূস সেন্টারের নামে ২৪ বছরের জন্য লিজ নিলেন এক রকম বিনামূল্যেই। আমার প্রশ্ন, তিনি বলে থাকেন, তার অনেক আয়। তাহলে নোবেল লরিয়েট হয়ে গরিবদের প্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার বর্গফুট কেন স্বল্পমূল্যে ভাড়া নিলেন। তার তো উচিত ছিল, বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে ভাড়া নেয়া। গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মালিকানা গ্রামীণের সদস্যদের হওয়া উচিত। এটাই ন্যায়সঙ্গত ও আইনসঙ্গত।
বিদেশি শক্তি মুহাম্মদ ইউনূসকে সহায়তার প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, আসলে শক্তি হচ্ছে অর্থ। মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ যখন থাকবে না, তখন তারাও (বিদেশিরা) থাকবেন না।
তিনি বলেন, ইউনূসের নোবেল বিজয় গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। আর গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা সরকারের। সে কারণে ইউনুসের নোবেল পুরস্কারে সরকারেরও মালিকানা রয়েছে। তবে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে বোকার মতো আচরণ করছে ।
তিনি আরো বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেই সব করেছেন। এখন এমন একটা পর্যায়ে এসে গেছেন, এখন আর তার রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই। তিনি সূক্ষ্ম স্বার্থপরতায় চলেন। কাউকে ব্যবহার করে প্রয়োজন শেষ হলেই তাকে ফেলে দেন।
গোলটেবিল আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ লিয়াকত আলী বলেন, আদালতের রায়ে গ্রামীণ ব্যাংকে মুহাম্মদ ইউনূসের ১১ বছর যদি অবৈধ হয়, তবে তার সময়ে সব চাকরিচ্যুতিও অবৈধ।
গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি দেশের যুবকদের গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষার আহ্বান করেছেন। অথচ তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অসংখ্য চাকরিরত যুবকদের বের করে দিয়েছেন। তিনি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী, তিনি কি শান্তি করেছেন তা আমাদের জানা নেই। দেশে বহু ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু কেউ নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা বলেন না, অথচ মুহাম্মদ ইউনূস নিজেকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করছেন।
তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি নাগরিক শক্তি গঠনের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলেন। চাকরিতে থেকে এ ধরনের কর্মকা- করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে তিনি নিজেই নিজের আইন ভঙ্গ করেছেন। তিনি কেন স্বাধীনতা দিবসে, বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে যান না। সুন্দর বক্তব্য দিয়ে তিনি বিমোহিত করতে পারলেও আসলে তিনি কারোর কোন কল্যাণ করেননি।
গোলটেবিলে বৈঠকে বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়মবহির্ভূত নানা ধরনের নিয়মকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। একটি মানবতাবিরোধী সার্কুলারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অবিলম্বে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে।
বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্য্ংাক প্রতিষ্ঠার সময়ে সরকারের মালিকানা ছিল ৪০ শতাংশ। কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করে ১৯৮৬ সালে এ পরিমাণ কমিয়ে ২৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়। সাবেক সেনা ও সুশীল সমাজ সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সরকারের মালিকানা কমিয়ে মাত্র তিন শতাংশে আনা হয়। ড. ইউনূস ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সারাজীবন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবহার করেছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি ও গ্রামীণ ব্যাংকের নির্যাতিত কর্মী পরিষদ ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার ও চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ লিয়াকত আলী, গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি কে এম শহীদুল হক, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান ও গ্রামীণ ব্যাংকের নির্যাতিত কর্মী পরিষদের মহাসচিব মুজিবুর রহমান।
গোলটেবিল বৈঠকে আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ভূত রয়েছে। কেননা রাষ্ট্রীয় এ ব্যাংকটির এমডি-পরিচালক নির্বাচন সদস্যদের ভোটে উৎসবমুখর পরিবেশে হয় না। এখানে আইয়ুব খানের তথাকথিত মৌলিক গণতন্ত্র অনুসরণ করে করা হয়। আইয়ুব খান মনে করতেন, জনগণ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার যোগ্যতা রাখেন না। কেবল চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নির্বাচন করতে পারবেন। বহুকাল পরে গ্রামীণ ব্যাংকেও সেই আইয়ুব খানের ভূত চেপেছে।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ফুলটাইম কর্মকর্তা হয়ে অন্যসব সহযোগী প্রতিষ্ঠান কিভাবে করলেন? তিনি তো করতে পারেন না। অপরদিকে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অন্য দেশে গিয়ে কোন উপহার পেলে তা রাষ্ট্রীয় মহাফেজখানায় রাখতে হয়, কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও তাই। মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের সুনাম ব্যবহার করে অন্যসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে ২৯টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া প্রসঙ্গে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নিজেই প্রশ্নকর্তা, নিজেই উত্তরদাতা। এই ২৯টি প্রশ্নের উত্তর আরো ২৯০টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিনি সরাসরি কিছু করেন না, সব কিছু জটিল করে করেন। ইউনূস সাহেব গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের ১১ হাজার বর্গফুট নোবেল লরিয়েট ফাউন্ডেশনের নামে বিনামূল্যে নিলেন। পরে রেজুলেশন করে আবার ইউনূস সেন্টারের নামে ২৪ বছরের জন্য লিজ নিলেন এক রকম বিনামূল্যেই। আমার প্রশ্ন, তিনি বলে থাকেন, তার অনেক আয়। তাহলে নোবেল লরিয়েট হয়ে গরিবদের প্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার বর্গফুট কেন স্বল্পমূল্যে ভাড়া নিলেন। তার তো উচিত ছিল, বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে ভাড়া নেয়া। গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মালিকানা গ্রামীণের সদস্যদের হওয়া উচিত। এটাই ন্যায়সঙ্গত ও আইনসঙ্গত।
বিদেশি শক্তি মুহাম্মদ ইউনূসকে সহায়তার প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, আসলে শক্তি হচ্ছে অর্থ। মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ যখন থাকবে না, তখন তারাও (বিদেশিরা) থাকবেন না।
তিনি বলেন, ইউনূসের নোবেল বিজয় গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। আর গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা সরকারের। সে কারণে ইউনুসের নোবেল পুরস্কারে সরকারেরও মালিকানা রয়েছে। তবে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে বোকার মতো আচরণ করছে ।
তিনি আরো বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেই সব করেছেন। এখন এমন একটা পর্যায়ে এসে গেছেন, এখন আর তার রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই। তিনি সূক্ষ্ম স্বার্থপরতায় চলেন। কাউকে ব্যবহার করে প্রয়োজন শেষ হলেই তাকে ফেলে দেন।
গোলটেবিল আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ লিয়াকত আলী বলেন, আদালতের রায়ে গ্রামীণ ব্যাংকে মুহাম্মদ ইউনূসের ১১ বছর যদি অবৈধ হয়, তবে তার সময়ে সব চাকরিচ্যুতিও অবৈধ।
গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি দেশের যুবকদের গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষার আহ্বান করেছেন। অথচ তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অসংখ্য চাকরিরত যুবকদের বের করে দিয়েছেন। তিনি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী, তিনি কি শান্তি করেছেন তা আমাদের জানা নেই। দেশে বহু ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু কেউ নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা বলেন না, অথচ মুহাম্মদ ইউনূস নিজেকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করছেন।
তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি নাগরিক শক্তি গঠনের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলেন। চাকরিতে থেকে এ ধরনের কর্মকা- করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে তিনি নিজেই নিজের আইন ভঙ্গ করেছেন। তিনি কেন স্বাধীনতা দিবসে, বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে যান না। সুন্দর বক্তব্য দিয়ে তিনি বিমোহিত করতে পারলেও আসলে তিনি কারোর কোন কল্যাণ করেননি।
গোলটেবিলে বৈঠকে বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়মবহির্ভূত নানা ধরনের নিয়মকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। একটি মানবতাবিরোধী সার্কুলারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অবিলম্বে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে।
বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্য্ংাক প্রতিষ্ঠার সময়ে সরকারের মালিকানা ছিল ৪০ শতাংশ। কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করে ১৯৮৬ সালে এ পরিমাণ কমিয়ে ২৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়। সাবেক সেনা ও সুশীল সমাজ সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সরকারের মালিকানা কমিয়ে মাত্র তিন শতাংশে আনা হয়। ড. ইউনূস ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সারাজীবন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবহার করেছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
No comments