ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র মানছে না আ.লীগ
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের স্বাধীন অস্তিত্বের কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছায়।
এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পুরোপুরি লঙ্ঘিত হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ও ছাত্রসংগঠনকে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে সংগঠন দুটি ছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫(১) ধারায় বলা আছে, ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাহাদের স্ব স্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হইবে।’ আর শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, সমঝোতার মাধ্যমে সম্ভব না হলে কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচন হবে।
গত ১৭ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতা নির্বাচনের কথা। এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও। কিন্তু দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতা নির্বাচন হয়নি। পরে গণমাধ্যমে বিবৃতির মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিরাজুল ইসলামের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের ইচ্ছায়।
ছাত্রলীগের সম্মেলন হয় ২০১০ সালের ১০ জুলাই। এ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন হয় গঠনতন্ত্র মেনেই। তবে সংগঠনটি আরপিওর নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে চলছে না। প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের আদেশ-নির্দেশ অনুসারেই ছাত্রলীগ পরিচালিত হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগে একটি করে উপকমিটি গঠনের বিধান আছে। উপকমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, একজন সম্পাদক, অনূর্ধ্ব পাঁচজন সহসম্পাদক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য থাকবেন। প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার উপকমিটির সভা করার বিধান আছে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের তিন বছরে মাত্র চারটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। আরও ১৫টি উপকমিটি গঠন বাকি আছে। এ ক্ষেত্রেও দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হয়নি।
গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রমিক লীগের কমিটি তারাই করেছে। আমরা কেবল তাদের সহায়তা করেছি। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে এই সহায়তা আমরা করতেই পারি।’ আর উপকমিটি গঠন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিলের অপেক্ষা করেছিলাম। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর অনেকেই স্থান পেয়ে যাবেন। তারপর উপকমিটি গঠন করে ফেলব।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ও ছাত্রসংগঠনকে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে সংগঠন দুটি ছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫(১) ধারায় বলা আছে, ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাহাদের স্ব স্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হইবে।’ আর শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, সমঝোতার মাধ্যমে সম্ভব না হলে কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচন হবে।
গত ১৭ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতা নির্বাচনের কথা। এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও। কিন্তু দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতা নির্বাচন হয়নি। পরে গণমাধ্যমে বিবৃতির মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিরাজুল ইসলামের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের ইচ্ছায়।
ছাত্রলীগের সম্মেলন হয় ২০১০ সালের ১০ জুলাই। এ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন হয় গঠনতন্ত্র মেনেই। তবে সংগঠনটি আরপিওর নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে চলছে না। প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের আদেশ-নির্দেশ অনুসারেই ছাত্রলীগ পরিচালিত হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগে একটি করে উপকমিটি গঠনের বিধান আছে। উপকমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, একজন সম্পাদক, অনূর্ধ্ব পাঁচজন সহসম্পাদক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য থাকবেন। প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার উপকমিটির সভা করার বিধান আছে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের তিন বছরে মাত্র চারটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। আরও ১৫টি উপকমিটি গঠন বাকি আছে। এ ক্ষেত্রেও দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হয়নি।
গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রমিক লীগের কমিটি তারাই করেছে। আমরা কেবল তাদের সহায়তা করেছি। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে এই সহায়তা আমরা করতেই পারি।’ আর উপকমিটি গঠন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিলের অপেক্ষা করেছিলাম। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর অনেকেই স্থান পেয়ে যাবেন। তারপর উপকমিটি গঠন করে ফেলব।’
No comments