চলে গেলে এই বরষায় by আবু হানিফ রানা
‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’ এমন গানের কথায় ফুটে ওঠে নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের বর্ষাপ্রীতি। আর এই বর্ষায় তিনি চলে গেছেন সবাইকে কাঁদিয়ে। তাকে বিদায় জানালো বাদল দিনের হাজার কদমফুল।
আগুনের পরশমনি, শ্রাবণ মেঘের দিন, বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, আমার আছে জল এমন সব চলচ্চিত্র ও নাটকের মাধ্যমে বর্ষার প্রতি প্রেম ও ভালবাসা প্রকাশ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার অনেক নাটক ও চলচ্চিত্রে বৃষ্টির চিত্রায়ন দেখে বোঝা যায় বৃষ্টিকে কতটা ভালোবাসতেন এই নির্মাতা। তাই হয়তো বিধাতা তার মনে ইচ্ছাপূরণ করেছেন। তাকে নিয়ে গেছেন এই শ্রাবণে। আর ভক্তকুলের মনকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন এক বরষায়।
হুমায়ূন আহমেদ একাধারে শুধু গল্পকার বা ঔপন্যাসিক ছিলেন না, তিনি বিচরণ করেছেন দেশের নাট্যাঙ্গনে, চলচিত্রে এবং দেশে সংগীত অঙ্গনে। তার লেখা গানগুলো যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি তা থাকবে যুগ যুগ ধরে।
হুমায়ূন আহমেদের মতো মানুষরা এমন কিছু সৃষ্টি করেন, যার মাধ্যমে তার প্রস্থানকেও জানান দিয়ে যান। ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’, ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’, ‘সুঁয়া চান পাখি’ এসব গানের কথার সঙ্গে পরিচিত করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। আজ এই কথাগুলো শেলের মতো বিধছে লাখো হুমায়ূন ভক্তদের হৃদয়ে। তাই তো তাকে বিদায় দিতে এসে গুমড়ে গুমড়ে কেঁদেছেন হাজারো ভক্ত-অনুরাগী।
বাংলা ফোকগানের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী রোববার রাতে এক টেলিভিশন টক’শো কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আমি হুমায়ূন আহমেদকে কখনো কাঁদতে দেখিনি। যে দিন আমি তার ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবির জন্য শোয়া চান পাখি গানটি রেকর্ড করলাম সেদিন দেখলাম তার চোখে পানি। আজ মনে হচ্ছে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিবেন বলেই এমন সব সৃষ্টিকর্ম রেখে গেছেন তিনি।’’
তাই বারী সিদ্দিকীর গানে কথায় বলতে, ‘সুঁয়া চান পাখি এতো ডাকিতেছি, তুমি ঘুমাইছো নাকি....’।
হুমায়ূন আহমেদের ঘুম আর ভাঙবে না। চির দিনের মতো ঘুমিয়ে গেছেন এই স্রষ্টা। সেদিন কাল্পনিক বাকের ভাইয়ের মৃত্যুতে কেঁদেছিল হাজার হাজার বাঙালি। আর আজ কাঁদছে বাকের ভাইয়ের স্রষ্টার মৃত্যুতে।
প্রতীকী অর্থে তার অনবদ্য সৃষ্টি হিমুর মতো সংসার ত্যাগী না হলেও হিমুর অন্যান্য গুণগুলোকে অন্তরে ধারণ করতেন বলেই কল্পনায় জন্ম দেন হিমুকে। নিজের শরীরের প্রতি সবসময় উদাসীন ছিলেন এই মানুষটি। স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের হাজারো অনুরোধ পায়ে মাড়িয়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো চলতেন হুমায়ূন আহমেদ।
শেষ যখন দেশে এসেছেন তখন তার শরীরে যে মরণব্যাধি ক্যান্সার তার লেশমাত্র বুঝা যায়নি তাকে দেখে। মিডিয়ার সামনে সেই হাসিমাখা মুখটি দেখা গেছে তখনো। ক্যান্সারকে জয় করে নিজের ফিরে আসার ব্যাপারে তার মনবল ছিল দৃঢ়। তিনি তার শুভাকাঙ্খীদের বলতেন, ‘‘কচ্ছপ যদি পাঁচ’শ বছর বাঁচতে পারে তবে মানুষ কেন পারবে না। মানুষ তো আর কচ্ছপের মতো বসে থাকে না।’’
মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন তার সৃষ্টিকর্মের ব্যাপারে। তিনি হাজার বছর বেঁচে থাকবেন বলে দাবি করতেন। হাজার বছর নয়, যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে ততোদিন তিনি বেঁচে থাকবেন লাখো ভক্ত অনুরাগীদের মনে।
হুমায়ূন আহমেদ একাধারে শুধু গল্পকার বা ঔপন্যাসিক ছিলেন না, তিনি বিচরণ করেছেন দেশের নাট্যাঙ্গনে, চলচিত্রে এবং দেশে সংগীত অঙ্গনে। তার লেখা গানগুলো যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি তা থাকবে যুগ যুগ ধরে।
হুমায়ূন আহমেদের মতো মানুষরা এমন কিছু সৃষ্টি করেন, যার মাধ্যমে তার প্রস্থানকেও জানান দিয়ে যান। ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’, ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’, ‘সুঁয়া চান পাখি’ এসব গানের কথার সঙ্গে পরিচিত করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। আজ এই কথাগুলো শেলের মতো বিধছে লাখো হুমায়ূন ভক্তদের হৃদয়ে। তাই তো তাকে বিদায় দিতে এসে গুমড়ে গুমড়ে কেঁদেছেন হাজারো ভক্ত-অনুরাগী।
বাংলা ফোকগানের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী রোববার রাতে এক টেলিভিশন টক’শো কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আমি হুমায়ূন আহমেদকে কখনো কাঁদতে দেখিনি। যে দিন আমি তার ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবির জন্য শোয়া চান পাখি গানটি রেকর্ড করলাম সেদিন দেখলাম তার চোখে পানি। আজ মনে হচ্ছে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিবেন বলেই এমন সব সৃষ্টিকর্ম রেখে গেছেন তিনি।’’
তাই বারী সিদ্দিকীর গানে কথায় বলতে, ‘সুঁয়া চান পাখি এতো ডাকিতেছি, তুমি ঘুমাইছো নাকি....’।
হুমায়ূন আহমেদের ঘুম আর ভাঙবে না। চির দিনের মতো ঘুমিয়ে গেছেন এই স্রষ্টা। সেদিন কাল্পনিক বাকের ভাইয়ের মৃত্যুতে কেঁদেছিল হাজার হাজার বাঙালি। আর আজ কাঁদছে বাকের ভাইয়ের স্রষ্টার মৃত্যুতে।
প্রতীকী অর্থে তার অনবদ্য সৃষ্টি হিমুর মতো সংসার ত্যাগী না হলেও হিমুর অন্যান্য গুণগুলোকে অন্তরে ধারণ করতেন বলেই কল্পনায় জন্ম দেন হিমুকে। নিজের শরীরের প্রতি সবসময় উদাসীন ছিলেন এই মানুষটি। স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের হাজারো অনুরোধ পায়ে মাড়িয়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো চলতেন হুমায়ূন আহমেদ।
শেষ যখন দেশে এসেছেন তখন তার শরীরে যে মরণব্যাধি ক্যান্সার তার লেশমাত্র বুঝা যায়নি তাকে দেখে। মিডিয়ার সামনে সেই হাসিমাখা মুখটি দেখা গেছে তখনো। ক্যান্সারকে জয় করে নিজের ফিরে আসার ব্যাপারে তার মনবল ছিল দৃঢ়। তিনি তার শুভাকাঙ্খীদের বলতেন, ‘‘কচ্ছপ যদি পাঁচ’শ বছর বাঁচতে পারে তবে মানুষ কেন পারবে না। মানুষ তো আর কচ্ছপের মতো বসে থাকে না।’’
মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন তার সৃষ্টিকর্মের ব্যাপারে। তিনি হাজার বছর বেঁচে থাকবেন বলে দাবি করতেন। হাজার বছর নয়, যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে ততোদিন তিনি বেঁচে থাকবেন লাখো ভক্ত অনুরাগীদের মনে।
No comments