ইতিহাস- 'প্রত্যন্ত জনপদে ইতিহাস-সঙ্গী হয়ে' by সাযযাদ কাদির

পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ছড়াকার বিনয় দেব ১৩৫০ বঙ্গাব্দ তথা ১৯৪৩ অব্দের মন্বন্তরের ভয়াবহতার কিছু উলেস্নখ করেছেন তাঁর স্মৃতিকথা "যা মনে আসে" ('গ্রন্থসাথী', অক্টোবর ২০১০)-র বিভিন্ন অংশে। ওই সময়ে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাস করে তিনি চেয়েছিলেন সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজে ভর্তি হতে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কারণে তা হতে দেননি পিতা। বিনয় দেব লিখেছেন, "ঃ এমন সময় আমার খুলস্নতাত যিনি ফরিদপুর জেলার গোঁসাইরহাটে বঙ্গীয় সরকারের অধীনেঃ ছিলেন, আমাকে সেখানে চলে যেতে বলেন। আমার মন আনন্দে ভরে উঠল। মনে হল, এবার হয়ত আমি পথের নিশানা পাব।
"গোঁসাইরহাট চলে এলাম। সুন্দর পরিবেশ। থানার পাশ দিয়ে পদ্মানদী বয়ে যাচ্ছে। ভরা নদীর জলস্রোত আর থামে না। নদীর পাড়ে বসে জলরাশির দিকে তাকিয়ে থাকি। মন আনন্দে আপস্নুত হয়।
"ঃ সে সময় দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। অনাহারে অর্ধাহারে জর্জরিত মানুষের মধ্যে সেবামূলক কাজ চলছে। আমার কাকা সে কাজে ব্যস্ত। পীড়িতদের মধ্যে যে সব সেবামূলক কাজ চলছিল তা প্রত্যক্ষ করতে চলে যাই। সরকারি বা বেসরকারি যে সব সভাসমিতি অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেও যোগদান করি। এখানে বলি, ঐ অঞ্চলে পদ্মানদীর মাছ ও খেজুর গুড় খুবই উপাদেয়। তা-ও উপভোগ করি।
"ভাল-মন্দ মিশিয়ে দিন অতিবাহিত হচ্ছিল।ঃ" এরপর কেটেছে ৭৭ বছর। এর মধ্যে অনেক বদলে গেছে গোঁসাইরহাট। গত ১৬ই নভেম্বর সেখানে পৌঁছে প্রথমে খেয়াল করি তার মুক্তি ঘটেছে চন্দ বিন্দু থেকে। ছিল 'গোসাঁইরহাট', হয়েছিল 'গোঁসাইরহাট', এখন হয়েছে 'গোসাইরহাট', একদিন হয়তো হবে 'গোসাহাট'। কিংবা কে জানে একদিন হয়তো কোনও একজন তাকে ফিরিয়ে দেবে সুপ্রাচীন নামটিই। যেভাবে চেন্নই (মাদ্রাজ), মুম্বাই (বোম্বে), বেঙ্গালুরু (ব্যাঙ্গালোর), তিরুবানন্তপুরম (ত্রিবান্দমিয়ানমার (ব্র?হ্মদেশ), পেইচিং (পিকিং), কুয়াংচৌ (ক্যান্টন) প্রভৃতি অনেক স্থান ফিরে পেয়েছে প্রাচীনতম নামটি। (চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী 'কুয়াংচৌ'তে এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষোড়শ এশিয়ান গেমস।)
আর ফরিদপুর জেলায়ও নেই গোসাইরহাট। প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসে এক জেলা পাঁচ জেলা হয় ১৯৮৪ সালে। ফরিদপুরের চারপাশে এখন আরও চার জেলা ( রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর। সাবেক পালং থানা প্রথমে শরীয়তপুর মহকুমা, তারপর হয় শরীয়তপুর জেলা। এ নাম রাখা হয়েছে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুলস্নাহ (১৭৮১-১৮৪০)-র নাম অনুসারে। এই শরীয়তপুর জেলারই এক উপজেলা এখন গোসাইরহাট। থানা হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯২১ সালে। তখন ছিল মাদারীপুর মহকুমার অধীন। ওই মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৫৪ সালে বাকেরগঞ্জ জেলার অধীনে। পরে, ১৮৭৩ সালে, তা অধীন হয় ফরিদপুর জেলার।
গোসাইরহাট ছিল দেশের বৃহৎ থানাগুলির একটি। ১৯৭৫ সালে এর কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয় ডামুড্যা থানা। সে থানা এখন উপজেলা। ১৯৭৮ সালে মাদারীপুর মহকুমা থেকে গোসাইরহাট থানাকে বিচ্ছিন্ন করে ছ'টি থানা মিলিয়ে গঠন করা হয় শরীয়তপুর মহকুমা। ১৯৮৩ সালে গোসাইরহাট থানা উন্নীত হয় উপজেলায়, আর শরীয়তপুর মহকুমা পরিণত হয় জেলায় (১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ)। বৃটিশ আমলে মুগল ও নবাবী যুগের শেষ আটটি পরগনার একটি ছিল ইদিলপুর। এর সদর দপ্তর ছিল গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া-য়। সেখানে ছিল জমিদার গোলাম আলি চৌধুরীর আলিশান ভবন, ছিল তহশীল অফিস। ১৭ই নভেম্বর সেখানে গিয়ে কোনও মহল বা তার ধ্বংসাবশেষ কিছু চোখে পড়ে না। সেই সময়ের একটি মসজিদ আছে যত্ন-পরিচর্যায় ঝকঝকে তকতকে। পাশেই দেখা যায় অযত্ন অবহেলার শিকার এক কবরস্থান। সেখানে আছে গোলাম আলি চৌধুরীর কবর। অন্যান্য কবরের চেয়ে অবশ্য তাঁর কবরটিই চোখে পড়ে বিশেষভাবে।
লোকের মুখে মুখে শোনা যায় ইদিলপুর পরগনা ও জমিদার পরিবারের নানা কীর্তিকাহিনী। সেসব কাহিনী সেকালের বেশির ভাগ জমিদারদের ভোগ উচ্ছৃঙ্খলতার মতোই। কলকাতায় থাকতে রেসের নেশা হয়েছিল এক জমিদার পুঙ্গবের। হ্যান্ডনোট দিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন পারেখ নামের এক সাহেবের কাছ থেকে। রেসে হেরেছেন, তারপর ভুলেও গেছেন ঋণ শোধ করতে। পরে সেই হ্যান্ডনোটের বদৌলতে জমিদারির বড় এক অংশ দখল করেন পারেখ সাহেব। কালক্রমে সে অংশ ভাঙনের শিকার হয়ে বিলীন হয়ে যায় মেঘনা নদীর গর্ভে। সমপ্রতি সেখানে জেগে উঠেছে চর। লোকে তার নাম দিয়েছে 'পারেখের চর'। ১৮ই নভেম্বর সেদিকে রওনা হতে গিয়ে জানলাম, আবার ভাঙতে শুরু করেছে সেই কিংবদন্তীর চর। আরেক জমিদার পুঙ্গব কলকাতা থেকে অপহরণ করে এনেছিলেন এক অসামান্য সুন্দরীকে। ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে গেলে রুষ্ট হয় বৃটিশরাজ। সুন্দরীর অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া ব্যবস্থা নিতে উদ্যত হয় তারা। পুঙ্গব বুঝতে পারে, এ বিপদ থেকে রেহাই মিলবে না সহজে। কি আর করে! শেষ পর্যন্ত অপরাধের সাক্ষ্যপ্রমাণ নিশ্চি???হ্ন করতে সুন্দরীকে কেটে কুচিকুচি করে পুঁতে রাখে মাটির অনেক নিচে। তার ওপর এমনভাবে আস্ত একটা নারকেল গাছ দাঁড় করিয়ে রাখে যে, দেখলে মনে হবে তা যেন বরাবরই ছিল সেখানে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি শেষ পর্যন্ত। আত্মহত্যা করে বাঁচতে হয়েছে পুঙ্গবকে।
পরগনা না থাকলেও ইদিলপুর নামটি আছে এখনও। গোসাইরহাটের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটির নাম ইদিলপুর। এছাড়া এ নামে আছে অনেক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, দোকানপাট। গোসাইরহাট নাম নিয়েও অনেক কথা। এখন যেখানে উপজেলা সদর দপ্তর সেখানে ছিল ব্র?হ্মানন্দগিরি নামের এক সাধুজনের আশ্রম। লোকজনের কাছে তিনি ছিলেন পরমগুরুস্থানীয়। তাঁকে সম্বোধন করা হতো গোস্বামী হিসেবে। ওই গোস্বামীই মুখে-মুখে হয়ে পড়েন গোসাই। আশ্রমে লোক সমাগমের সূত্রে দৈনিক বাজার ও সাপ্তাহিক হাট বসতে থাকে কালক্রমে। আর এ থেকেই ওই নামকরণ।
গোসাইরহাটের বিশেষ পরিচিতি এখন পট্টি লঞ্চ ঘাটের জন্য। দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলো থামে এ ঘাটে। দেশের প্রাচীনতম স্টীমার ঘাটগুলোর একটি পট্টি। বৃটিশ ও পাকিস্তানি আমলে ছিল এক প্রধান যোগাযোগ-কেন্দ । তবে বিনয় দেব যে গোসাইরহাটে গিয়েছিলেন তা মেঘনা-গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেক আগে। সেখান থেকে থানা স্থানান্তরিত হয় টেংরা নামক স্থানে। নদীভাঙন সেখানেও গ্রাস করে তাদের। পরে ধীপুর ও দশেরজঙ্গল মৌজায় গড়ে উঠেছে বর্তমান গোসাইরহাটের সদর দপ্তরগুলো। উপজেলা চত্বর, থানা, হাসপাতাল। প্রবীণ শিক্ষক ক্ষিতীশ রায় বলেন সেই আদি গোসাইরহাটের কথা। তাঁর পিতা, এলাকার যশস্বী চিকিৎসক, যামিনী রায় ছিলেন সেখানে। ভাঙনের পর টেংরা হয়ে এখন এই নতুন গোসাইরহাটে। তিনি জানান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা গীতা রায় (দত্ত) (১৯৩১-১৯৭২)-এর জন্মভিটাও ছিল ওখানে সেই আদি গোসাইরহাটে।
আর এই গোসাইরহাটে জন্মগ্রহণকারী সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের একজন, 'সাধনা ঔষধালয়'-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ যোগেশচন্দ ঘোষ (১৮৮৭-১৯৭১)-এর কথা শুনি অনেকের কাছে। শাহজাহান দেওয়ান, মান্নান তপাদার, গিয়াসুদ্দিন খান ও আরও অনেকে বলেন হারানো জীবন ও জনপদের কাহিনী।
হাসপাতাল মোড় থেকে রিকশায় পাঁচ মিনিটের পথ পেরোলেই চোখে পড়ে অধ্যক্ষ ঘোষের বসতবাড়ি ও বিশাল সয়সম্পত্তির অনেকখানি। তবে চেনার কোনও উপায় নেই। সে প্রাচীন ভিটা পরিণত হয়েছে গেরস্থবাড়িতে। সারি সারি ছোট-বড় টিনের ঘর। গোলা। খড়ের গাদা। আঙিনা জুড়ে বিচালি। চারপাশে ধানি জমি।
বিনয় দেব লিখেছেন পদ্মার কথা। আসলে পদ্মা-মেঘনার মিলিত ধারাকে পশ্চিমপাড়ের মানুষ বলতেন পদ্মা আর পুব পাড়ের মানুষ বলতেন মেঘনা। এখন মেঘনাই বলেন সকলে। চর পড়ে-পড়ে মূল মেঘনা এখন অনেক দূরে। গোসাইরহাটের প্রান্ত ছুঁয়ে বয়ে গেছে তার এক শীর্ণ অংশ। এ নদীকে মেঘনার শাখা বলেন অনেকে। এর পাড়েই পট্টি লঞ্চ ঘাট। এ ঘাট থেকে নৌকা, ট্রলার-ও চলাচল করে ডামুড্যা, হাটুরিয়া।
এখন মনে হয় গোসাইরহাট এলাকাটি চি?িহ্নত করতে এর সীমানা নির্দেশ করা উচিত। ১৭৭.৮৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলার উত্তরে ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, পুবে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা, দক্ষিণে বরিশাল জেলার মুলাদি ও হিজলা উপজেলা, পশ্চিমে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা ও শরীয়তপুর সদর উপজেলা। এ বিস্তীর্ণ জনপদে যাঁরা আছেন কালের সাক্ষী হয়ে, দেখা হয়, তাঁদের একজনের সঙ্গে। বিনয় দেবের সমবয়সীই হবেন তিনি। ম্যাট্রিক পাস করেছেন ১৯৪২ সালে। বষর্ীয়ান আইনজীবী এম এম আলী আহমদ। চর যুশিরগাঁও-এর মানুষ। সবাই সম্বোধন করেন 'স্যার'। শিক্ষকতায় নিবেদিত ছিলেন দীর্ঘকাল। এজন্যই হয়তো এ সম্বোধন। তিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন ঢাকার কুরমিটোলা হাই স্কুল, গোসাইরহাটের ইদিলপুর হাই স্কুল, মাদারীপুরের মাদারীপুর পাবলিক হাই স্কুল, বরিশালের নাজিরপুর হাই স্কুলের। শুধু প্রত্যন্ত বাংলার ইতিকথা-উপকথা নয় বিশাল বাংলার ইতিহাস-রাজনীতি তাঁর নখদর্পণে। স্মৃতির আয়না একেবারে ঝকঝকে তকতকে। কথা হয় হাটুরিয়া-গোসাইরহাটের নানা আখ্যান-কিংবদন্তি নিয়ে, আমার বাড়ি দেলদুয়ারের জমিদারদের প্রসঙ্গও ওঠে, জানতে চান মুর্শিদাবাদ ও হাজারদুয়ারি সম্পর্কে। আরও অনেক মানুষ আছেন এ গোসাইরহাটে। আছেন দেশবরেণ্য রাজনীতিক ( যার কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক)। আছেন সমাজসেবক, জনসেবক। এলাকার যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। আবার আছে ভূমিখেকো, আছে জাতে উঠতে বা নাম কিনতে কাঙালেরা। এমন এক 'কীর্তিধন্য' ব্যক্তির নাম খুঁজে পাই উইকিপিডিয়া-য় গোসাইরহাট উপজেলা সম্পর্কে জানতে গিয়ে। তিনি নাকি রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগসহ এলাকায় ২০০ মাইল পাকা রাস্তা নির্মাণ, হাসপাতালের সুবিধাদি সমপ্রসারণ, নতুন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, হাট-বাজারের উন্নয়ন, নদীভাঙন রোধে বাঁধ, স্কুল ভবন নির্মাণ, খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ, পলস্নী বিদু্যৎ প্রভৃতি ক্ষেত্রে উদ্যোগ-অবদান রেখেছেন এক দশক ধরে। তাঁর সম্পর্কে জানতে গিয়ে হতাশ হই রীতিমতো। সবাই বলেন, ওই সব তথ্য ভুয়া! তিনি কিছুই করেননি, এখানে কোনও অস্তিত্বই নেই তাঁর!
এখন বুঝুন উইকিপিডিয়া নিয়ে কি বিপদ!
ফিরে আসি বর্ষীয়ান সাহিত্যিক-সাংবাদিক বিনয় দেবের কথায়। ৭৭ বছর পরও তিনি ভুলতে পারেননি গোসাইরহাটের সেই কিছু দিনের স্মৃতি, সেই নদীর মাছ ও খেজুরে গুড়ের স্বাদ। আমাদের স্বাগতিক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী পরিবারের সৌজন্যে আমিও স্বাদ পেলাম নদীর টাটকা ইলিশ, বাচা, মৌলা মাছের। গোসাইরহাটের খেজুরে গুড় এখনও অনন্য। তবে এখানে প্রধান ফসল ধান, মরিচ, পাট ও পান। সবই উৎপন্ন হয় প্রচুর পরিমাণে। এখানকার পান নিয়মিত আসে ঢাকার বাজারে, যায় বিদেশেও। অনেকের বাড়িতেও আছে পানের বরজ। এমন একটি দেখতে পাই খ্যাতিমান প্রধান শিক্ষক ক্ষিতীশ রায়ের বাগানবাড়িতে। তবে এ প্রাচীন জনপদের আরেক গৌরব কুডিয়াগুন ধান। এ ধানের ভাত মোটা, লাল। এর রূপ, ঘ্রাণ, স্বাদ নিয়ে আসে প্রাচীন বাংলার বৃহত্তর জনজীবনের স্মৃতি। নানা জাতের উচ্চফলনশীল ধানের প্রকোপে এখনও কেন হারিয়ে যায়নি সেঃ তাই ভাবি। এত অনাদর অবহেলার মধ্যেও হয়তো কোনও-কোনও সৃষ্টির থাকে এমন মহিমা যা তাকে করে রাখে মৃতু্যঞ্জয়ী। এ মহিমা বাংলা ও বাঙালি শিখেছে সুজলা সুফলা মাটি থেকে প্রতি দিন মানুষ হয়ে উঠে।
ফিরে আসি গোসাইরহাট থেকে রাজধানীর কর্মকোলাহলে, মনে রাখি জনমানুষের শ্রমে ও মাটির রসে পুষ্ট কুডিয়াগুন নামের এক স্বাস্থ্যবতী ধানকন্যাকে।
=======================
আন্তর্জাতিক- 'জাতিসংঘ বনাম যুক্তরাষ্ট্র' by শহিদুল শহিদুল ইসলাম  গল্পালোচনা- 'দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ?' by মহসীন মহসীন হাবিব  স্বাস্থ্য আলোচনা- 'প্রসূতিসেবায় পিছিয়ে দেশ' by শেখ সাবিহা আলম  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বন্দিত কান্না, নিন্দিত হরতাল আর রাজকীয় অশ্রুপাতের গল্প' by ফারুক ওয়াসিফ  খবর- উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু প্ল্যান্ট দেখে 'তাজ্জব' মার্কিন বিজ্ঞানীরা  গল্পসল্প- 'মুজিব একবার আসিয়া সোনার বাংলা যাওরে দেখিয়ারে' by মোস্তফা হোসেইন  আন্তর্জাতিক- 'ওবামা কি ক্লিনটনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবেন?' by সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী  কৃষি আলোচনা- 'পোষের শেষ মাঘের বারো' by ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস  মণিপুরি মহা রাসলীলা উৎসবের ইতিকথা by মুজিবুর রহমান  প্রকৃতি- সমুদ্রে উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রবাল মড়ক  মণিপুরি রাসমেলা উৎসব by আকমল হোসেন নিপু  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'মডার্ন হাম্মুরাবি এবং কাঠের ঘোড়া' by আলমগীর সাত্তার  আলোচনা- 'কারাগার থেকে সংশোধনাগার প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু  শিল্প-অর্থনীতি 'ক্ষুদ্রঋণের বিড়ম্বনা' by আহমদ রফিক


ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ শহিদুল ইসলাম


এই ইতিহাস'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.