মিয়ানমারের রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে বান ও সু চির আহ্বান
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি সে দেশের সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার টেলিফোনে আলাপকালে তাঁরা এই বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার কমিটির অভিযোগ, মিয়ানমারের সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচন ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ হয়নি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও ওই কমিটি অভিযোগ তুলেছে। চীন জোরালোভাবে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বান কি মুন ও সু চির মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় তাঁরা মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক বন্দীকে শিগগির মুক্তি দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দেশটির সাধারণ মানুষ যাতে বিনা বাধায় জাতীয় ঐক্যের পথে যেতে পারে এবং এর মাধ্যমে মিয়ানমারে যাতে গণতন্ত্রের পথ সুগম হয়, এ কারণে তাঁদের মুক্তি দেওয়া দরকার বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। সু চি জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানান, বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ১০০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী বন্দী রয়েছেন। তাঁদের মুক্ত করা তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রস্তাব উত্থাপন করে, এতে রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, মিয়ানমারে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হয়নি। সেখানে এখনো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শিশুদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে। জোর-জুলুম চলছে সাধারণ মানুষের ওপর। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডাসহ জাতিসংঘের ৯৬টি সদস্য দেশ এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মিয়ানমার, চীন ও রাশিয়াসহ মোট ২৮টি দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। ৬০টি দেশ মতামত দেয়নি।
এ প্রস্তাব উত্থাপনের তীব্র সমালোচনা করে চীন বলেছে, ‘অঙ্গুলি নির্দেশ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’ চীনের প্রতিনিধি বলেন, এ প্রস্তাবে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকারের শুধু সমালোচনাই করা হয়েছে। এতে উন্নয়নের প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি মিয়ানমারের নির্বাচন দেওয়ার জন্য জান্তার প্রশংসা করেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধি ওই প্রস্তাবের খসড়াকে ‘ভয়ানক ভুলে ভরা’ বলে উল্লেখ করেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গত বছর মিয়ানমার সফর করার সময় সু চির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে জান্তা তাঁকে সে সুযোগ দেয়নি। এ ছাড়া জাতিসংঘের অন্যতম উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার নির্বাচনের আগে মিয়ানমার সফর করতে চাইলে তাঁকেও সে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার কমিটির অভিযোগ, মিয়ানমারের সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচন ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ হয়নি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও ওই কমিটি অভিযোগ তুলেছে। চীন জোরালোভাবে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বান কি মুন ও সু চির মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় তাঁরা মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক বন্দীকে শিগগির মুক্তি দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দেশটির সাধারণ মানুষ যাতে বিনা বাধায় জাতীয় ঐক্যের পথে যেতে পারে এবং এর মাধ্যমে মিয়ানমারে যাতে গণতন্ত্রের পথ সুগম হয়, এ কারণে তাঁদের মুক্তি দেওয়া দরকার বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। সু চি জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানান, বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ১০০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী বন্দী রয়েছেন। তাঁদের মুক্ত করা তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রস্তাব উত্থাপন করে, এতে রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, মিয়ানমারে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হয়নি। সেখানে এখনো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শিশুদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে। জোর-জুলুম চলছে সাধারণ মানুষের ওপর। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডাসহ জাতিসংঘের ৯৬টি সদস্য দেশ এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মিয়ানমার, চীন ও রাশিয়াসহ মোট ২৮টি দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। ৬০টি দেশ মতামত দেয়নি।
এ প্রস্তাব উত্থাপনের তীব্র সমালোচনা করে চীন বলেছে, ‘অঙ্গুলি নির্দেশ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’ চীনের প্রতিনিধি বলেন, এ প্রস্তাবে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকারের শুধু সমালোচনাই করা হয়েছে। এতে উন্নয়নের প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি মিয়ানমারের নির্বাচন দেওয়ার জন্য জান্তার প্রশংসা করেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধি ওই প্রস্তাবের খসড়াকে ‘ভয়ানক ভুলে ভরা’ বলে উল্লেখ করেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গত বছর মিয়ানমার সফর করার সময় সু চির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে জান্তা তাঁকে সে সুযোগ দেয়নি। এ ছাড়া জাতিসংঘের অন্যতম উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার নির্বাচনের আগে মিয়ানমার সফর করতে চাইলে তাঁকেও সে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
No comments