অন্য নিউজিল্যান্ডকে দেখছে ভারত
বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে নিউজিল্যান্ড যখন ভারতে পৌঁছাল, তাদের জন্য করুণাও বোধ করছিল কেউ কেউ। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল ভারতের হাতে পড়ে নিউজিল্যান্ড কেমন নাস্তানাবুদই না হবে! সফরের দুই টেস্ট পার হয়ে গেছে। এখন উল্টো ভারতের জন্য অনেকের করুণা হচ্ছে।
আজ শুরু হতে যাওয়া নাগপুর টেস্ট ভারত কোনোভাবে হেরে গেলে তো কেলেঙ্কারির সীমা নেই; এই টেস্টও ড্র হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে সিরিজ ড্র করারটাও কম অগৌরবের ব্যাপার হবে না ভারতের জন্য।
নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স এবং নিজেদের বোলারদের ব্যর্থতা এমনিতেই ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের ব্যাপার। তারপর আবার নাগপুর টেস্টে থাকছেন নতুন বলের এক নম্বর বোলার জহির খান। নাগপুর টেস্টের শেষ দিনে মাত্র ওভার তিনেক বল করার পরই কুঁচকির ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এ খবরে আনন্দ পেতে পারে নিউজিল্যান্ড।
ভারতকে দুই টেস্টে আটকে দিয়ে বিশেষ করে হায়দরাবাদ টেস্টে পেছন থেকে উঠে এসে ম্যাচ ড্র করে যারপরনাই আনন্দিত নিউজিল্যান্ড কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচ, ‘এই খেলাটায় (হায়দরাবাদে) আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। তারপর প্রতিটি বল, প্রতিটি ওভার, প্রতিটি ঘণ্টা, প্রতিটি সেশন আমরা লড়াই করেছি। ভারত যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, আমরা সেটার বিপক্ষে লড়াই করাটা এখন উপভোগ করছি।’
গ্রেটব্যাচের এই উপভোগের আনন্দ মূলত ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কৃতিত্বে। ৪ উইকেটে ২৩৭ রান নিয়ে হায়দরাবাদ টেস্টের শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড; ১২৪ রান নিয়ে ম্যাককালাম ও ১২ রান নিয়ে কেন উইলিয়ামসন ছিলেন উইকেটে। তখন নিউজিল্যান্ডের লিড মাত্র ১১৫ রানের, মানে ভারত তখনো জয় দেখছিল।
সেই ‘জয়’ দূরে সরিয়ে দেয় পঞ্চম উইকেটে ম্যাককালাম-উইলিয়ামসনের ১২৪ রানের জুটি। ১৪৬ বলে ৯টি চারসহ ৬৯ রান করে উইলিয়ামসন হরভজনের বলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক ভেট্টোরিকে (২৩) নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন ম্যাককালাম। শেষ পর্যন্ত সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে শ্রীশান্তের বলে আউট হওয়ার আগে ৩০৮ বলে ২২টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ক্যারিয়ার-সেরা ২২৫ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
ম্যাককালাম যখন আউট হন, তখন নিউজিল্যান্ডের বিপদ কেটে গেছে। ৮ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন ভেট্টোরি। ৩২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬৮ রান তোলে ভারত, আবারও ফিফটি করে অপরাজিত থেকে যান শেবাগ।
ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টের এই ছবিকে কেউ বোলারদের ব্যর্থতা বলতে পারে, কেউ বলতে পারে ব্যাটসম্যানদের সাফল্য। এই সফল ‘ব্যাটসম্যানদের’ অন্যতম, দুই টেস্টে দুই সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি করা ‘আট নম্বর’ হরভজন সিং সব কৃতিত্ব দিচ্ছেন কিউরেটরদের। তিনি বলছেন, আগে তবু ভারতে টেস্টের শেষের দিনগুলোয় স্পিনাররা একটু সহায়তা পেতেন, এখন পেসার-স্পিনার কারও জন্য উইকেটে কিছু থাকছে না।
উইকেটের সমালোচনায় মুখর হরভজন নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্সকে পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, ‘এই উইকেটে আমাদের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানও শচীন টেন্ডুলকারের মতো খেলবে।’
আর পরিস্থিতির কোনো উন্নতিও আশা করতে পারছেন না সর্দারজি। তার পরও নাগপুর টেস্টে হরভজন কিছু কি আশা করছেন না? করছেন, টেন্ডুলকারের ৫০তম টেস্ট সেঞ্চুরি, যেটির বোঝা শুরু থেকেই মাথায় বইছে সিরিজটি, ‘আশা করি, শচীন টেন্ডুলকার ওর ৫০তম সেঞ্চুরিটা পাবে। আমি আরেকটা সেঞ্চুরি পাব এবং ৭-৮ উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জেতাব।’
আজ শুরু হতে যাওয়া নাগপুর টেস্ট ভারত কোনোভাবে হেরে গেলে তো কেলেঙ্কারির সীমা নেই; এই টেস্টও ড্র হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে সিরিজ ড্র করারটাও কম অগৌরবের ব্যাপার হবে না ভারতের জন্য।
নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স এবং নিজেদের বোলারদের ব্যর্থতা এমনিতেই ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের ব্যাপার। তারপর আবার নাগপুর টেস্টে থাকছেন নতুন বলের এক নম্বর বোলার জহির খান। নাগপুর টেস্টের শেষ দিনে মাত্র ওভার তিনেক বল করার পরই কুঁচকির ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এ খবরে আনন্দ পেতে পারে নিউজিল্যান্ড।
ভারতকে দুই টেস্টে আটকে দিয়ে বিশেষ করে হায়দরাবাদ টেস্টে পেছন থেকে উঠে এসে ম্যাচ ড্র করে যারপরনাই আনন্দিত নিউজিল্যান্ড কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচ, ‘এই খেলাটায় (হায়দরাবাদে) আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। তারপর প্রতিটি বল, প্রতিটি ওভার, প্রতিটি ঘণ্টা, প্রতিটি সেশন আমরা লড়াই করেছি। ভারত যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, আমরা সেটার বিপক্ষে লড়াই করাটা এখন উপভোগ করছি।’
গ্রেটব্যাচের এই উপভোগের আনন্দ মূলত ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কৃতিত্বে। ৪ উইকেটে ২৩৭ রান নিয়ে হায়দরাবাদ টেস্টের শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড; ১২৪ রান নিয়ে ম্যাককালাম ও ১২ রান নিয়ে কেন উইলিয়ামসন ছিলেন উইকেটে। তখন নিউজিল্যান্ডের লিড মাত্র ১১৫ রানের, মানে ভারত তখনো জয় দেখছিল।
সেই ‘জয়’ দূরে সরিয়ে দেয় পঞ্চম উইকেটে ম্যাককালাম-উইলিয়ামসনের ১২৪ রানের জুটি। ১৪৬ বলে ৯টি চারসহ ৬৯ রান করে উইলিয়ামসন হরভজনের বলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক ভেট্টোরিকে (২৩) নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন ম্যাককালাম। শেষ পর্যন্ত সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে শ্রীশান্তের বলে আউট হওয়ার আগে ৩০৮ বলে ২২টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ক্যারিয়ার-সেরা ২২৫ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
ম্যাককালাম যখন আউট হন, তখন নিউজিল্যান্ডের বিপদ কেটে গেছে। ৮ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন ভেট্টোরি। ৩২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬৮ রান তোলে ভারত, আবারও ফিফটি করে অপরাজিত থেকে যান শেবাগ।
ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টের এই ছবিকে কেউ বোলারদের ব্যর্থতা বলতে পারে, কেউ বলতে পারে ব্যাটসম্যানদের সাফল্য। এই সফল ‘ব্যাটসম্যানদের’ অন্যতম, দুই টেস্টে দুই সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি করা ‘আট নম্বর’ হরভজন সিং সব কৃতিত্ব দিচ্ছেন কিউরেটরদের। তিনি বলছেন, আগে তবু ভারতে টেস্টের শেষের দিনগুলোয় স্পিনাররা একটু সহায়তা পেতেন, এখন পেসার-স্পিনার কারও জন্য উইকেটে কিছু থাকছে না।
উইকেটের সমালোচনায় মুখর হরভজন নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্সকে পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, ‘এই উইকেটে আমাদের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানও শচীন টেন্ডুলকারের মতো খেলবে।’
আর পরিস্থিতির কোনো উন্নতিও আশা করতে পারছেন না সর্দারজি। তার পরও নাগপুর টেস্টে হরভজন কিছু কি আশা করছেন না? করছেন, টেন্ডুলকারের ৫০তম টেস্ট সেঞ্চুরি, যেটির বোঝা শুরু থেকেই মাথায় বইছে সিরিজটি, ‘আশা করি, শচীন টেন্ডুলকার ওর ৫০তম সেঞ্চুরিটা পাবে। আমি আরেকটা সেঞ্চুরি পাব এবং ৭-৮ উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জেতাব।’
No comments