গেইলের কীর্তি
কেউ তাকিয়ে ছিল ব্যাকুলতার শিহরণ নিয়ে—নতুন ইতিহাসের প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার অপেক্ষায়। ‘রেকর্ডটা লারার সঙ্গেই মানায় ভালো’—এ মতের বিশুদ্ধবাদীরা একটু শঙ্কাতেই ছিলেন। যে শঙ্কায় হয়তো ছিলেন খোদ ব্রায়ান লারাও। তবে সবচেয়ে বড় শঙ্কায় ছিল শ্রীলঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একমাত্র ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে আরেকবার মুরালি-শূন্যতা মুছে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা জানানো অজন্তা মেন্ডিস সেই শঙ্কার কথা লুকোলেন না, ‘ও এতটাই ভালো খেলছিল, আমি তো ভেবেছিলাম দ্বিতীয় দিনে ওর ৪০০ হয়ে যাবে।’
না, হয়নি। লারাকে নিশ্চিন্ত করে ক্রিস গেইল আউট হয়েছেন ৩৩৩ রানে। প্রাপ্তি বলতে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে দেশের বাইরে ট্রিপল সেঞ্চুরি আর ব্র্যাডম্যান-লারা-শেবাগদের জোড়া ত্রিশতকের কীর্তিতে ভাগ বসানো। গেইলের হয়েও না হওয়ার এই টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজও জিততে পারেনি। শ্রীলঙ্কাকে ফলোঅন করিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই ছাড়তে হয়েছে গলের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম।
শ্রীলঙ্কা এরপর প্রকৃতিকে ধন্যবাদ জানাতে পারে। ম্যাচের শেষ তিনটা দিনই বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতা ক্ষণে ক্ষণে বাগড়া দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৮০ রানের বিশাল বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় দিন থেকেই ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের ঘাটতি নিয়ে অলআউট হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে চতুর্থ দিনের চা-বিরতি সমাগত। পারানাভিতানা আর দিলশান মিলে চতুর্থ দিনটা পার করেছেন কোনো উইকেট না হারিয়েই। গত পরশু চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৮৯/০।
চার ইনিংস পর ফিফটির দেখা পাওয়া দিলশান কাল পঞ্চম দিনের পঞ্চম ওভারে আউট হয়ে যান, একটু পরে অধিনায়ক সাঙ্গাকারাও ৪ রানে ফিরে গেলে আশার আলো দেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত আড়াই বছরে মাত্র দুটি টেস্ট জয়—শ্রীলঙ্কায় প্রথম জয় দিয়ে কি ঘুচবে এই খরা!
দিনের খেলা তখনো ৮৩ ওভারের মতো বাকি। ৯২ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা। সাঙ্গাকারার বিদায়ের আগেই অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন পারানাভিতানা। শেষ পর্যন্ত এই পারানাভিতানার ৯৫ আর ম্যাচে মাহেলা জয়াবর্ধনের দ্বিতীয় ফিফটি বিপদ কাটিয়েছে শ্রীলঙ্কার। প্রকৃতির আশীর্বাদও জুটেছে। অন্যদিকে ধারহীন বোলিং আর বাজে ফিল্ডিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাহাজ আটকে ফেলেছে বন্দর থেকে অনেক দূরেই। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কার লিড যখন ৩৯, তখনই আরেক দফা বৃষ্টি ম্যাচের কপালে লিখে দিয়েছে ‘ড্র’।
তার পরও একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ১৭৬ রানে অলআউট হয়ে সফর শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচে চমকে দিয়েছে অবশ্যই। তবে এই ঘুরে দাঁড়ানো দেখে কুমার সাঙ্গাকারা বিস্মিত নন বলেই জানালেন। লঙ্কান অধিনায়ক কাল ম্যাচ শেষে বরং নিজের দলের বোলারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে শেখার পরামর্শ দিলেন। আর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গলেই অভিষিক্ত ড্যারেন স্যামি জানালেন, এই ম্যাচ থেকে তাঁরা পেয়েছেন আগামী দিনের লড়াইয়ের রসদ।
না, হয়নি। লারাকে নিশ্চিন্ত করে ক্রিস গেইল আউট হয়েছেন ৩৩৩ রানে। প্রাপ্তি বলতে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে দেশের বাইরে ট্রিপল সেঞ্চুরি আর ব্র্যাডম্যান-লারা-শেবাগদের জোড়া ত্রিশতকের কীর্তিতে ভাগ বসানো। গেইলের হয়েও না হওয়ার এই টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজও জিততে পারেনি। শ্রীলঙ্কাকে ফলোঅন করিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই ছাড়তে হয়েছে গলের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম।
শ্রীলঙ্কা এরপর প্রকৃতিকে ধন্যবাদ জানাতে পারে। ম্যাচের শেষ তিনটা দিনই বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতা ক্ষণে ক্ষণে বাগড়া দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৮০ রানের বিশাল বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় দিন থেকেই ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের ঘাটতি নিয়ে অলআউট হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে চতুর্থ দিনের চা-বিরতি সমাগত। পারানাভিতানা আর দিলশান মিলে চতুর্থ দিনটা পার করেছেন কোনো উইকেট না হারিয়েই। গত পরশু চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৮৯/০।
চার ইনিংস পর ফিফটির দেখা পাওয়া দিলশান কাল পঞ্চম দিনের পঞ্চম ওভারে আউট হয়ে যান, একটু পরে অধিনায়ক সাঙ্গাকারাও ৪ রানে ফিরে গেলে আশার আলো দেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত আড়াই বছরে মাত্র দুটি টেস্ট জয়—শ্রীলঙ্কায় প্রথম জয় দিয়ে কি ঘুচবে এই খরা!
দিনের খেলা তখনো ৮৩ ওভারের মতো বাকি। ৯২ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা। সাঙ্গাকারার বিদায়ের আগেই অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন পারানাভিতানা। শেষ পর্যন্ত এই পারানাভিতানার ৯৫ আর ম্যাচে মাহেলা জয়াবর্ধনের দ্বিতীয় ফিফটি বিপদ কাটিয়েছে শ্রীলঙ্কার। প্রকৃতির আশীর্বাদও জুটেছে। অন্যদিকে ধারহীন বোলিং আর বাজে ফিল্ডিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাহাজ আটকে ফেলেছে বন্দর থেকে অনেক দূরেই। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কার লিড যখন ৩৯, তখনই আরেক দফা বৃষ্টি ম্যাচের কপালে লিখে দিয়েছে ‘ড্র’।
তার পরও একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ১৭৬ রানে অলআউট হয়ে সফর শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচে চমকে দিয়েছে অবশ্যই। তবে এই ঘুরে দাঁড়ানো দেখে কুমার সাঙ্গাকারা বিস্মিত নন বলেই জানালেন। লঙ্কান অধিনায়ক কাল ম্যাচ শেষে বরং নিজের দলের বোলারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে শেখার পরামর্শ দিলেন। আর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গলেই অভিষিক্ত ড্যারেন স্যামি জানালেন, এই ম্যাচ থেকে তাঁরা পেয়েছেন আগামী দিনের লড়াইয়ের রসদ।
No comments