ইরান, উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের নিন্দা করে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
ইরান, উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রস্তাব পাস করেছে। দেশ তিনটি এ প্রস্তাব পাসের তীব্র সমালোচনা করেছে।
ইরান সমালোচনা করে বলেছে, এ প্রস্তাবের মূল হোতা ব্রিটেন এবং ব্রিটেন হচ্ছে ‘শয়তানের যুক্তরাজ্য’।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া বলেছে, এ প্রস্তাবে সে দেশের কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। মিয়ানমার বলেছে, এ ধরনের ভোট ‘ভয়াবহ ত্রুটিপূর্ণ’।
জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুসান রাইস বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ তিনটিকে নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যের প্রতিই শ্রদ্ধা জানিয়েছে সদস্যদেশগুলো।
জাতিসংঘের কানাডীয় দূত জন ম্যাকনি বলেছেন, ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শারীরিক নির্যাতন, পাথর ছুড়ে কিংবা শ্বাসরোধে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বানকে পাত্তাই দিচ্ছে না তেহরান।
ইরানের উচ্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জাভেদ লারিজানি বলেছেন, এ ধরনের প্রস্তাব পাস বিশ্বের শান্তি ও সহাবস্থানের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রতিকৃতি কিংবা ফটোকপি নয়, এটাই আমাদের অপরাধ। যা-ই হোক, আমরা পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র চাই না।’
লারিজানি অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে ইরানে নির্বাচনোত্তর বিক্ষোভের সময় ব্রিটেন গোয়েন্দা প্রতিনিধি পাঠায়। ওই প্রতিনিধি ইরানের এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বলেন, ব্রিটেন ‘শয়তানের যুক্তরাজ্য’। ইরানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ৮০ ভোট ও বিপক্ষে ৪৪ ভোট পড়ে। ভোটদানে বিরত থাকে ৫৭ সদস্য।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় শারীরিক নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত শাস্তি ও কারাদণ্ড এবং প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ১০০ ভোটে নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হয়।
জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাবকে ‘ভুয়া’ মন্তব্য করে বলেছেন, পিয়ংইয়ংকে জোর করে তার অবস্থান থেকে সরানো সম্ভব হবে না।
মিয়ানমারে বেসামরিক লোকদের ওপর নির্যাতন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে ৯৬টি ভোট পড়েছে, বিপক্ষে পড়েছে ২৮ ভোট। ভোটদানে বিরত ছিল ৬০ সদস্য। এ প্রস্তাব পাসের সমালোচনা করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থান শোয়ে বলেছেন, ‘এটি ভয়ানক ত্রুটিপূর্ণ’।
ইরান সমালোচনা করে বলেছে, এ প্রস্তাবের মূল হোতা ব্রিটেন এবং ব্রিটেন হচ্ছে ‘শয়তানের যুক্তরাজ্য’।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া বলেছে, এ প্রস্তাবে সে দেশের কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। মিয়ানমার বলেছে, এ ধরনের ভোট ‘ভয়াবহ ত্রুটিপূর্ণ’।
জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুসান রাইস বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ তিনটিকে নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যের প্রতিই শ্রদ্ধা জানিয়েছে সদস্যদেশগুলো।
জাতিসংঘের কানাডীয় দূত জন ম্যাকনি বলেছেন, ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শারীরিক নির্যাতন, পাথর ছুড়ে কিংবা শ্বাসরোধে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বানকে পাত্তাই দিচ্ছে না তেহরান।
ইরানের উচ্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জাভেদ লারিজানি বলেছেন, এ ধরনের প্রস্তাব পাস বিশ্বের শান্তি ও সহাবস্থানের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রতিকৃতি কিংবা ফটোকপি নয়, এটাই আমাদের অপরাধ। যা-ই হোক, আমরা পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র চাই না।’
লারিজানি অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে ইরানে নির্বাচনোত্তর বিক্ষোভের সময় ব্রিটেন গোয়েন্দা প্রতিনিধি পাঠায়। ওই প্রতিনিধি ইরানের এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বলেন, ব্রিটেন ‘শয়তানের যুক্তরাজ্য’। ইরানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ৮০ ভোট ও বিপক্ষে ৪৪ ভোট পড়ে। ভোটদানে বিরত থাকে ৫৭ সদস্য।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় শারীরিক নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত শাস্তি ও কারাদণ্ড এবং প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ১০০ ভোটে নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হয়।
জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাবকে ‘ভুয়া’ মন্তব্য করে বলেছেন, পিয়ংইয়ংকে জোর করে তার অবস্থান থেকে সরানো সম্ভব হবে না।
মিয়ানমারে বেসামরিক লোকদের ওপর নির্যাতন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে ৯৬টি ভোট পড়েছে, বিপক্ষে পড়েছে ২৮ ভোট। ভোটদানে বিরত ছিল ৬০ সদস্য। এ প্রস্তাব পাসের সমালোচনা করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থান শোয়ে বলেছেন, ‘এটি ভয়ানক ত্রুটিপূর্ণ’।
No comments