পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছিলাম
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ডিসিশন পয়েন্টস-এ পাকিস্তানে চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন থেকে বোমা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। বুশ বলেছেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, উগ্রপন্থী জঙ্গিদের পাকিস্তান দমন করবে না। এ কারণে তিনি ওই হামলার নির্দেশ দেন।
জর্জ বুশ লিখেছেন, পাকিস্তান সরকার ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল জটিল পর্যায়ের। তিনি স্বীকার করেন, উগ্রপন্থীদের সামাল দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে এবং আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করা জঙ্গিদের পাকিস্তানের সেনারা বেশ কয়েক বছর ধরে সফলতার সঙ্গেই মোকাবিলা করছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে মোশাররফ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন না বা করতে পারবেনও না।
বুশ লিখেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কিছু কর্মকর্তা তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আইএসআইয়ের বাকি কর্মকর্তারা মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেলে এবং সেখানে ভারত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যাবে, তার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন।
বুশ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের শেষের দিকে তিনি পাকিস্তানের বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ওই সময় তিনি আফগানিস্তান-ফেরত বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে একটি বাহিনী তাঁকে বলে, ‘আমাদের পাকিস্তানের কিছু (ব্যক্তির) পশ্চাৎদেশে লাথি মারার অনুমতি দরকার।’ বুশ তাদের সে অনুমতি দিয়েছিলেন।
বুশ লিখেছেন, ‘উগ্রপন্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আমি গোয়েন্দাদের অনুমতি দিয়েছিলাম। আমাদের সে সময়ের বহু কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়। এর কিছুদিন পরই আমি সে নির্দেশ দিই এবং সংবাদমাধ্যমগুলোতে চালকবিহীন বিমান হামলার খবর বের হতে থাকে।’
পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে। এ-জাতীয় প্রতিটি হামলার পর পাকিস্তান সেগুলোকে তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
২০০৬ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনী ইন দ্য লাইন অব ফায়ার-এ পারভেজ মোশাররফ যুক্তরাষ্ট্র বোমা মেরে পাকিস্তানকে ‘প্রস্তর যুগে’ পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বলে উল্লেখ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল টেলিফোন করে তাঁকে ওই হুমকি দিয়েছিলেন। বুশ তাঁর বইয়ে স্বীকার করেন, ২০০১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলিন পাওয়েল মোশাররফকে টেলিফোন করে বলেছিলেন, পাকিস্তান তালেবান না যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাকবে—সে সিদ্ধান্ত মোশাররফকেই নিতে হবে।
বুশ বলেছেন, পাকিস্তানের সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময়ই পাকিস্তানের ভারতবিরোধী মানসিকতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তাঁর যতবারই কথা হয়েছে, ততবারই তিনি ভারতের দোষ তুলে ধরেছেন।
জর্জ বুশ লিখেছেন, পাকিস্তান সরকার ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল জটিল পর্যায়ের। তিনি স্বীকার করেন, উগ্রপন্থীদের সামাল দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে এবং আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করা জঙ্গিদের পাকিস্তানের সেনারা বেশ কয়েক বছর ধরে সফলতার সঙ্গেই মোকাবিলা করছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে মোশাররফ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন না বা করতে পারবেনও না।
বুশ লিখেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কিছু কর্মকর্তা তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আইএসআইয়ের বাকি কর্মকর্তারা মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেলে এবং সেখানে ভারত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যাবে, তার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন।
বুশ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের শেষের দিকে তিনি পাকিস্তানের বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ওই সময় তিনি আফগানিস্তান-ফেরত বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে একটি বাহিনী তাঁকে বলে, ‘আমাদের পাকিস্তানের কিছু (ব্যক্তির) পশ্চাৎদেশে লাথি মারার অনুমতি দরকার।’ বুশ তাদের সে অনুমতি দিয়েছিলেন।
বুশ লিখেছেন, ‘উগ্রপন্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আমি গোয়েন্দাদের অনুমতি দিয়েছিলাম। আমাদের সে সময়ের বহু কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়। এর কিছুদিন পরই আমি সে নির্দেশ দিই এবং সংবাদমাধ্যমগুলোতে চালকবিহীন বিমান হামলার খবর বের হতে থাকে।’
পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে। এ-জাতীয় প্রতিটি হামলার পর পাকিস্তান সেগুলোকে তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
২০০৬ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনী ইন দ্য লাইন অব ফায়ার-এ পারভেজ মোশাররফ যুক্তরাষ্ট্র বোমা মেরে পাকিস্তানকে ‘প্রস্তর যুগে’ পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বলে উল্লেখ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল টেলিফোন করে তাঁকে ওই হুমকি দিয়েছিলেন। বুশ তাঁর বইয়ে স্বীকার করেন, ২০০১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলিন পাওয়েল মোশাররফকে টেলিফোন করে বলেছিলেন, পাকিস্তান তালেবান না যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাকবে—সে সিদ্ধান্ত মোশাররফকেই নিতে হবে।
বুশ বলেছেন, পাকিস্তানের সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময়ই পাকিস্তানের ভারতবিরোধী মানসিকতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তাঁর যতবারই কথা হয়েছে, ততবারই তিনি ভারতের দোষ তুলে ধরেছেন।
No comments