সেই রুবেল এই রুবেল
প্রশ্নটা ছিল অবধারিত। শেষ ওভারে বোলিং করতে এসে বুক কাঁপেনি রুবেলের?
ছোট্ট উত্তর, ‘নাহ্।’
প্রথম বলে চার খাওয়ার পরও ভড়কে যাননি?
না, জানতাম ওরা শেষ উইকেট নিয়ে ব্যাট করছে, একটা ভালো বলই যথেষ্ট।
এই রুবেল, সেই রুবেলই তো! সেই যে ২০০৯-এর জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের শেষের দিকে যাঁর দুই ওভারে ৩২ রান নিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা-স্বপ্ন ছিনতাই করেছিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন? কাল সেই রুবেলের হাতে শেষ ওভারে বল দেখে নিশ্চয়ই আঁতকে উঠেছিলেন অনেকেই। তবে ওই ওভারটাই কাল প্রমাণ করেছে সেই রুবেলকে পেছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন এই রুবেল। প্রমাণ করল সংবাদ সম্মেলনে রুবেলে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠও।
আত্মবিশ্বাস যতই থাকুক, এমন চাপের মুখে অতীতের বাজে অভিজ্ঞতা নড়বড়ে করে দেয় অনেককেই। কিন্তু রুবেল জানালেন, সেই ফাইনালের দুঃসহ স্মৃতি মাটিচাপা দিয়েছেন অনেক আগেই। ওই ম্যাচের কথা নাকি মাথায়ই ছিল না!
তবে মুখে যতই অস্বীকার করুন, প্রথম বলে চার খাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসে বড় একটা ঝাঁকুনি লাগারই কথা। সেটা বুঝেই হয়তো পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘আজ তোরই দিন, তুই অবশ্যই পারবি দেশকে জেতাতে।’ অধিনায়কের কথাগুলোই যেন সঞ্জীবনী মন্ত্র হিসেবে কাজ করল। পরের বলটি ইয়র্কার, পড়িমড়ি করে ঠেকালেন কাইল মিলস। পরের বলটি আরও নিখুঁত ইয়র্কার, এবার আর পারলেন না মিলস। নিজের মনে মনে তো চাপা দিয়েছিলেনই, মাঠেও এবার সেই ফাইনালকে চাপা দিলেন বাগেরহাটের ২০ বছর বয়সী তরুণ।
এ নাটকীয়তা আর অতীতের খেদ মেটানোর ব্যাপার ছিল বলেই শেষ ওভারটি নিয়ে এত কথা। না হলে কাল রুবেলের প্রথম স্পেলটির কথা ভুলবেন কী করে! জেসি রাইডার ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো বিধ্বংসী দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে জয়ের বীজটা বুনে দিয়েছিলেন নিজের প্রথম ওভারেই। নিজের তৃতীয় ওভারে ফিরিয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনকে। ৫-১-১৩-৩, রুবেলের প্রথম স্পেলটি ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন বলে বাংলাদেশের অন্যরকম সেরা স্পেলগুলোর তালিকায় থাকবে অনায়াসেই। গতি, বাউন্স আর নিয়ন্ত্রণের মিশেলে বাংলাদেশের কোনো পেসারের এভাবে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিতে কবারই বা দেখা গেছে!
অথচ ইদানীং তিনি হয়ে উঠেছিলেন পুরোনো বলের বোলার। রিভার্স সুইং খুব ভালো পারেন এটার সঙ্গে যোগ হয়েছিল আর নতুন বলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারা। এই তো আগের ম্যাচেই তাঁকে বোলিংয়ে আনা হয়েছিল ছয় নম্বর বোলার হিসেবে। কাল নতুন বলে তাঁর কাছ থেকে প্রয়োজন ছিল দারুণ কিছু। বদলে যে গেছেন, শুধু ম্যাচের শেষে নয়, শুরুতেও কিন্তু দেখিয়েছেন রুবেল!
দিনটাকে রুবেল বলছেন নিজের ক্যারিয়ারের সেরা দিন। নিজের প্রথম ম্যাচ-সেরার পুরস্কার, দলের ৪-০-তে সিরিজ জয়, এসব কারণ তো আছেই। আরেকটা কারণ না থেকে পারেই না। ‘রুবেল’ বললে এখন তো সেই ফাইনালটির আগে মনে পড়বে এমন একজনের কথা, যাঁর হাত ধরে পূরণ হয়েছে দলের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন!
ছোট্ট উত্তর, ‘নাহ্।’
প্রথম বলে চার খাওয়ার পরও ভড়কে যাননি?
না, জানতাম ওরা শেষ উইকেট নিয়ে ব্যাট করছে, একটা ভালো বলই যথেষ্ট।
এই রুবেল, সেই রুবেলই তো! সেই যে ২০০৯-এর জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের শেষের দিকে যাঁর দুই ওভারে ৩২ রান নিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা-স্বপ্ন ছিনতাই করেছিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন? কাল সেই রুবেলের হাতে শেষ ওভারে বল দেখে নিশ্চয়ই আঁতকে উঠেছিলেন অনেকেই। তবে ওই ওভারটাই কাল প্রমাণ করেছে সেই রুবেলকে পেছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন এই রুবেল। প্রমাণ করল সংবাদ সম্মেলনে রুবেলে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠও।
আত্মবিশ্বাস যতই থাকুক, এমন চাপের মুখে অতীতের বাজে অভিজ্ঞতা নড়বড়ে করে দেয় অনেককেই। কিন্তু রুবেল জানালেন, সেই ফাইনালের দুঃসহ স্মৃতি মাটিচাপা দিয়েছেন অনেক আগেই। ওই ম্যাচের কথা নাকি মাথায়ই ছিল না!
তবে মুখে যতই অস্বীকার করুন, প্রথম বলে চার খাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসে বড় একটা ঝাঁকুনি লাগারই কথা। সেটা বুঝেই হয়তো পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘আজ তোরই দিন, তুই অবশ্যই পারবি দেশকে জেতাতে।’ অধিনায়কের কথাগুলোই যেন সঞ্জীবনী মন্ত্র হিসেবে কাজ করল। পরের বলটি ইয়র্কার, পড়িমড়ি করে ঠেকালেন কাইল মিলস। পরের বলটি আরও নিখুঁত ইয়র্কার, এবার আর পারলেন না মিলস। নিজের মনে মনে তো চাপা দিয়েছিলেনই, মাঠেও এবার সেই ফাইনালকে চাপা দিলেন বাগেরহাটের ২০ বছর বয়সী তরুণ।
এ নাটকীয়তা আর অতীতের খেদ মেটানোর ব্যাপার ছিল বলেই শেষ ওভারটি নিয়ে এত কথা। না হলে কাল রুবেলের প্রথম স্পেলটির কথা ভুলবেন কী করে! জেসি রাইডার ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো বিধ্বংসী দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে জয়ের বীজটা বুনে দিয়েছিলেন নিজের প্রথম ওভারেই। নিজের তৃতীয় ওভারে ফিরিয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনকে। ৫-১-১৩-৩, রুবেলের প্রথম স্পেলটি ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন বলে বাংলাদেশের অন্যরকম সেরা স্পেলগুলোর তালিকায় থাকবে অনায়াসেই। গতি, বাউন্স আর নিয়ন্ত্রণের মিশেলে বাংলাদেশের কোনো পেসারের এভাবে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিতে কবারই বা দেখা গেছে!
অথচ ইদানীং তিনি হয়ে উঠেছিলেন পুরোনো বলের বোলার। রিভার্স সুইং খুব ভালো পারেন এটার সঙ্গে যোগ হয়েছিল আর নতুন বলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারা। এই তো আগের ম্যাচেই তাঁকে বোলিংয়ে আনা হয়েছিল ছয় নম্বর বোলার হিসেবে। কাল নতুন বলে তাঁর কাছ থেকে প্রয়োজন ছিল দারুণ কিছু। বদলে যে গেছেন, শুধু ম্যাচের শেষে নয়, শুরুতেও কিন্তু দেখিয়েছেন রুবেল!
দিনটাকে রুবেল বলছেন নিজের ক্যারিয়ারের সেরা দিন। নিজের প্রথম ম্যাচ-সেরার পুরস্কার, দলের ৪-০-তে সিরিজ জয়, এসব কারণ তো আছেই। আরেকটা কারণ না থেকে পারেই না। ‘রুবেল’ বললে এখন তো সেই ফাইনালটির আগে মনে পড়বে এমন একজনের কথা, যাঁর হাত ধরে পূরণ হয়েছে দলের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন!
No comments