সরকারের বোঝার ওপর ছাত্রলীগের ‘শাকের আঁটি’ by শরিফুজ্জামান শরিফ, এ এস এম আতীকুর রহমান সরদার আমিন ও রোবায়েত ফেরদৌস
লেখার শুরুতে পাঠককে সম্প্রতি প্রকাশিত/প্রচারিত কয়েকটি খবর মনে করিয়ে দিচ্ছি: ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীকে দোতলা থেকে নিক্ষেপ’, ‘পটুয়াখালীর একটি কলেজের মাঠে বালির ব্যবসা করতে না দেওয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় অধ্যক্ষ আহত’, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ, নেপথ্যে টাকার ভাগাভাগি’, ‘ফেনীতে পছন্দের লোক চাকরি না পাওয়ায় জেলা সিভিল সার্জনকে পিটিয়ে হাড্ডি ভেঙে দিয়েছে ছাত্রলীগ’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষককে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ’ প্রভৃতি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশের প্রায় সব দৈনিক পত্রিকায় এ ধরনের সংবাদ প্রায় প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে, টিভি চ্যানেলগুলো এ নিয়ে ফুটেজসহ খবর প্রকাশ করছে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে ছাত্রদল আর শিবিরকে নিয়ে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হতো। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নাম ও পরিচয়ে এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। আর এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার কোনো বিচার বা এদের আইনের আওতায় না এনে তাদের অপরাধ করার ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার ঘটনা সব সময় আমরা লক্ষ করছি। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর এ অনাচার ১৯৯০ সালের পর থেকে পৌনঃপুনিকভাবে বাড়ছে।
বর্তমান মহাজোট সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দিনবদল ইত্যাদি স্লোগান তুলে মানুষের মনে আশা জাগিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করেছিল। পূর্ববর্তী বিএনপির কুশাসন থেকে মুক্ত হতে ‘ভোট বিপ্লব’ ঘটিয়ে নতুন দিনে পা রাখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিল দেশের মানুষ। প্রতীতি ছিল সার্বিকভাবে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। অতীতের ভুল থেকে তারা শিক্ষা নেবে, দুর্বলতা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে পথ চলবে। কিন্তু ওপরের খবরগুলো প্রমাণ করে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। ছাত্রলীগের এ আচরণগুলোই প্রমাণ করে, আমাদের দেশে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না এবং এ জন্য বারবার জাতিকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়। বারবার পত্রিকার সম্পাদক, কলাম লেখক আর সাধারণ মানুষ তাদের আশাহত না করতে এবং ছাত্র নামধারী এই দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আমরা জানি, বর্তমান সরকারের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ আমাদের কেউ নয়।’ সরকারের এক বছর পূর্তিতে গত ৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ‘ছাত্র নামধারীদের গুন্ডামি সহ্য করা হবে না।’ কিন্তু তাঁর এই সতর্কতার সাত মাস পর এ কথা কেউ কি বলতে পারবে, ছাত্রলীগ তাদের নেতার সতর্কতা মনে রেখে চলছে, অথবা ছাত্র নামধারীদের গুন্ডামি বন্ধে সরকার সত্যি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে? ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে বিরক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, কৃষিমন্ত্রী ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে যেতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন বলে মাঝেমধ্যে পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু আজ ছাত্রলীগের ‘ক্রম বিকাশমান’ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর তার পরও তাদের আইনের আওতায় না এনে ‘ওরা আমাদের কেউ নয়’ অথবা ‘বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে তাদের ওপর চড়াও হও’—এ ধরনের মন্তব্য, কুপরামর্শ দেখে আমরা কি আজ বলতে পারি না, প্রধানমন্ত্রী বা কৃষিমন্ত্রী আবেগতাড়িত হয়েছেন, কিন্তু কঠোর হতে পারেননি।
তাই আজ পত্রিকায় শিরোনাম হয় ‘দুর্বিনীত’ ছাত্রলীগ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ পত্রিকায় চিঠি লিখে আর্তনাদ জানায়, ‘ছাত্রলীগের হাত থেকে আমাদের বাঁচান।’ কারা এই চিঠি লিখছে? যারা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা রেখেছিল, যারা ছাত্রদল আর ছাত্রশিবিরের দখলদারি দেখেছে, নেতার কান কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখেছে, হাতের কবজি কেটে ক্যাম্পাসে মিছিল করার বীভত্সতা দেখেছে; তারা এ ‘সংস্কৃতি’ থেকে মুক্তি চেয়েছিল। কিন্তু সেই মুক্তি মেলেনি, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের দলীয় লাঠিয়ালদের রাজত্ব ছিল, আজও তা-ই চলছে। শুধু ব্যানার বদল হয়েছে। কিন্তু এই দুর্বৃত্তরা কি আওয়ামী লীগের বা সরকারের কোনো উপকার করবে? আমরা অতীতে দেখেছি, প্রতিটি সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটে। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে যারা তিন, চার বা পাঁচ বছর এ ধরনের অপকর্ম করে দলের ইমেজ ধ্বংস করে, সরকারের রাজনৈতিক ভরাডুবির ব্যবস্থা করে নিজেরা লাভবান হয়, তারা ক্ষমতার শেষ দিকে এসে দল বদল করে। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের ব্যানারে আজ যারা নানা অনাচার করছে, তাদের কাজ দেখে এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, সরকারের মেয়াদ শেষের আগে এরা দল ত্যাগ করবে, আর দলের কাঁধে রেখে যাবে অপরাধের দায়ভার। এ কথা হয়তো শাসকেরা বুঝতে পারছেন না। ‘দুর্বিনীত’ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড, জনপ্রতিক্রিয়া আর মন্ত্রীদের কথা শুনলে মনে পড়ে, রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখনো বাঁশি বাজাচ্ছিল। কিংবা বিএনপির শাসনামলের শেষ দিকে মানুষ যেদিন হাওয়া ভবন ঘেরাও করতে যাচ্ছিল, তখন তারেক-কোকো হাওয়া ভবনের লনে ক্রিকেট খেলছিলেন।
আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি, মানুষের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা নিয়ে তামাশার ফলাফল মানুষ ভালোভাবে নেয় না; সুযোগ পেলে তার জবাব দেয়। আমাদের চেয়ে সরকার আরও ভালো করে জানে, পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষের ব্যাপক সমর্থন নেওয়া সরকারের সামনে আজ অনেক চ্যালেঞ্জ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনীতিতে গতিপ্রবাহ সৃষ্টি, বিনিয়োগ বাড়ানো, বিদ্যুত্সংকট মোকাবিলা, বিরোধী দলের আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদি সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জ্ঞানচর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ গড়ার কাজে যে সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল, ‘ভোট বিপ্লব’-এর প্রধান নিয়ামক দেশের স্বপ্নবান তরুণ সমাজের আকাঙ্ক্ষা পূরণে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, ছাত্রলীগ তা করেনি। আজ সামগ্রিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ছাত্রলীগ সরকারের জন্য বোঝার ওপর শাকের আঁটির ভূমিকা পালন করছে।
লেখকেরা মানবাধিকার কর্মী, প্রকৌশলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বর্তমান মহাজোট সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দিনবদল ইত্যাদি স্লোগান তুলে মানুষের মনে আশা জাগিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করেছিল। পূর্ববর্তী বিএনপির কুশাসন থেকে মুক্ত হতে ‘ভোট বিপ্লব’ ঘটিয়ে নতুন দিনে পা রাখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিল দেশের মানুষ। প্রতীতি ছিল সার্বিকভাবে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। অতীতের ভুল থেকে তারা শিক্ষা নেবে, দুর্বলতা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে পথ চলবে। কিন্তু ওপরের খবরগুলো প্রমাণ করে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। ছাত্রলীগের এ আচরণগুলোই প্রমাণ করে, আমাদের দেশে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না এবং এ জন্য বারবার জাতিকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়। বারবার পত্রিকার সম্পাদক, কলাম লেখক আর সাধারণ মানুষ তাদের আশাহত না করতে এবং ছাত্র নামধারী এই দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আমরা জানি, বর্তমান সরকারের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ আমাদের কেউ নয়।’ সরকারের এক বছর পূর্তিতে গত ৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ‘ছাত্র নামধারীদের গুন্ডামি সহ্য করা হবে না।’ কিন্তু তাঁর এই সতর্কতার সাত মাস পর এ কথা কেউ কি বলতে পারবে, ছাত্রলীগ তাদের নেতার সতর্কতা মনে রেখে চলছে, অথবা ছাত্র নামধারীদের গুন্ডামি বন্ধে সরকার সত্যি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে? ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে বিরক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, কৃষিমন্ত্রী ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে যেতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন বলে মাঝেমধ্যে পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু আজ ছাত্রলীগের ‘ক্রম বিকাশমান’ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর তার পরও তাদের আইনের আওতায় না এনে ‘ওরা আমাদের কেউ নয়’ অথবা ‘বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে তাদের ওপর চড়াও হও’—এ ধরনের মন্তব্য, কুপরামর্শ দেখে আমরা কি আজ বলতে পারি না, প্রধানমন্ত্রী বা কৃষিমন্ত্রী আবেগতাড়িত হয়েছেন, কিন্তু কঠোর হতে পারেননি।
তাই আজ পত্রিকায় শিরোনাম হয় ‘দুর্বিনীত’ ছাত্রলীগ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ পত্রিকায় চিঠি লিখে আর্তনাদ জানায়, ‘ছাত্রলীগের হাত থেকে আমাদের বাঁচান।’ কারা এই চিঠি লিখছে? যারা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা রেখেছিল, যারা ছাত্রদল আর ছাত্রশিবিরের দখলদারি দেখেছে, নেতার কান কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখেছে, হাতের কবজি কেটে ক্যাম্পাসে মিছিল করার বীভত্সতা দেখেছে; তারা এ ‘সংস্কৃতি’ থেকে মুক্তি চেয়েছিল। কিন্তু সেই মুক্তি মেলেনি, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের দলীয় লাঠিয়ালদের রাজত্ব ছিল, আজও তা-ই চলছে। শুধু ব্যানার বদল হয়েছে। কিন্তু এই দুর্বৃত্তরা কি আওয়ামী লীগের বা সরকারের কোনো উপকার করবে? আমরা অতীতে দেখেছি, প্রতিটি সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটে। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে যারা তিন, চার বা পাঁচ বছর এ ধরনের অপকর্ম করে দলের ইমেজ ধ্বংস করে, সরকারের রাজনৈতিক ভরাডুবির ব্যবস্থা করে নিজেরা লাভবান হয়, তারা ক্ষমতার শেষ দিকে এসে দল বদল করে। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের ব্যানারে আজ যারা নানা অনাচার করছে, তাদের কাজ দেখে এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, সরকারের মেয়াদ শেষের আগে এরা দল ত্যাগ করবে, আর দলের কাঁধে রেখে যাবে অপরাধের দায়ভার। এ কথা হয়তো শাসকেরা বুঝতে পারছেন না। ‘দুর্বিনীত’ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড, জনপ্রতিক্রিয়া আর মন্ত্রীদের কথা শুনলে মনে পড়ে, রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখনো বাঁশি বাজাচ্ছিল। কিংবা বিএনপির শাসনামলের শেষ দিকে মানুষ যেদিন হাওয়া ভবন ঘেরাও করতে যাচ্ছিল, তখন তারেক-কোকো হাওয়া ভবনের লনে ক্রিকেট খেলছিলেন।
আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি, মানুষের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা নিয়ে তামাশার ফলাফল মানুষ ভালোভাবে নেয় না; সুযোগ পেলে তার জবাব দেয়। আমাদের চেয়ে সরকার আরও ভালো করে জানে, পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষের ব্যাপক সমর্থন নেওয়া সরকারের সামনে আজ অনেক চ্যালেঞ্জ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনীতিতে গতিপ্রবাহ সৃষ্টি, বিনিয়োগ বাড়ানো, বিদ্যুত্সংকট মোকাবিলা, বিরোধী দলের আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদি সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জ্ঞানচর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ গড়ার কাজে যে সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল, ‘ভোট বিপ্লব’-এর প্রধান নিয়ামক দেশের স্বপ্নবান তরুণ সমাজের আকাঙ্ক্ষা পূরণে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, ছাত্রলীগ তা করেনি। আজ সামগ্রিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ছাত্রলীগ সরকারের জন্য বোঝার ওপর শাকের আঁটির ভূমিকা পালন করছে।
লেখকেরা মানবাধিকার কর্মী, প্রকৌশলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
No comments