অবৈধ অভিবাসী কমছে যুক্তরাষ্ট্রে
মন্দা অর্থনীতির পাশাপাশি সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে। ২০০৫ সালের আগে বছরে গড়ে সাড়ে আট লাখ অভিবাসী অনুপ্রবেশ করত যুক্তরাষ্ট্রে। গত পাঁচ বছরে এ সংখ্যা বছরে তিন লাখে নেমে এসেছে।
তিন বছর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখের বেশি মনে করা হতো। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে, এখন অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখের মতো হবে। এসব অবৈধ অভিবাসীর ৬০ শতাংশই আবার পার্শ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো থেকে আসা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ শতাংশ, এশিয়া থেকে ১১ শতাংশ এবং আফ্রিকা, ইউরোপ ও কানাডা থেকে আট শতাংশ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ হিসপালিক সেন্টারের জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার প্রকাশিত এ জরিপে বলা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসনের প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে লক্ষণীয়ভাবে। তথ্য মতে, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি। আবাসন শিল্পে ধস নামার কারণে ফ্লোরিডা ও নেভাদায় এ সংখ্যা কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের উল্লেখযোগ্য অংশ নির্মাণকাজে জড়িত। নতুন বাড়ি নির্মাণ, বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় কার্যত বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী বেকার হয়ে পড়েছে। গত দুই বছরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। একইভাবে নেভাদা অঙ্গরাজ্যে হ্রাস পেয়েছে এক-তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের প্রভাব লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এ অঙ্গরাজ্যে ২০০৭ সালে দুই লাখ ৪০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ছিল বলে মনে করা হতো। এখন এ সংখ্যা ৬৫ হাজারে নেমে এসেছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদক ফেজরি পাসেলের মতে, অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে আইনি কড়াকড়ির কারণেও অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমছে।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডগলাস মেসি বলেছেন, মন্দা অর্থনীতি এবং কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনীহা দেখা দিয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ অবৈধ অভিবাসী এখন কর্মহীন। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুধু অবৈধ নয়, বৈধ অভিবাসীদের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সদাসতর্ক সীমান্তপথে এখন নিরাপত্তা তল্লাশি বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং স্বচ্ছন্দ জীবনযাত্রার পথ সংকুচিত হওয়ায় মার্কিন অভিবাসনপ্রবাহে ভাটা পড়াটা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেলে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ভিন্ন প্রবাহ দেখা যাবে—এমন মন্তব্য করা হয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
তিন বছর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখের বেশি মনে করা হতো। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে, এখন অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখের মতো হবে। এসব অবৈধ অভিবাসীর ৬০ শতাংশই আবার পার্শ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো থেকে আসা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ শতাংশ, এশিয়া থেকে ১১ শতাংশ এবং আফ্রিকা, ইউরোপ ও কানাডা থেকে আট শতাংশ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ হিসপালিক সেন্টারের জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার প্রকাশিত এ জরিপে বলা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসনের প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে লক্ষণীয়ভাবে। তথ্য মতে, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি। আবাসন শিল্পে ধস নামার কারণে ফ্লোরিডা ও নেভাদায় এ সংখ্যা কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের উল্লেখযোগ্য অংশ নির্মাণকাজে জড়িত। নতুন বাড়ি নির্মাণ, বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় কার্যত বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী বেকার হয়ে পড়েছে। গত দুই বছরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। একইভাবে নেভাদা অঙ্গরাজ্যে হ্রাস পেয়েছে এক-তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের প্রভাব লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এ অঙ্গরাজ্যে ২০০৭ সালে দুই লাখ ৪০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ছিল বলে মনে করা হতো। এখন এ সংখ্যা ৬৫ হাজারে নেমে এসেছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদক ফেজরি পাসেলের মতে, অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে আইনি কড়াকড়ির কারণেও অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমছে।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডগলাস মেসি বলেছেন, মন্দা অর্থনীতি এবং কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনীহা দেখা দিয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ অবৈধ অভিবাসী এখন কর্মহীন। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুধু অবৈধ নয়, বৈধ অভিবাসীদের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সদাসতর্ক সীমান্তপথে এখন নিরাপত্তা তল্লাশি বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং স্বচ্ছন্দ জীবনযাত্রার পথ সংকুচিত হওয়ায় মার্কিন অভিবাসনপ্রবাহে ভাটা পড়াটা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেলে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ভিন্ন প্রবাহ দেখা যাবে—এমন মন্তব্য করা হয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
No comments