পাকিস্তানিদের দুঃখ-ব্যথা রাষ্ট্রনায়কদের পোড়ায় না
জঙ্গি তাণ্ডবে প্রতিদিনই পাকিস্তানে রক্তের বন্যা বইছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে বন্যা। ৮০ বছরের মধ্যে এমন বন্যা কখনো দেখেনি পাকিস্তানের মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলা কিংবা জঙ্গি দমন সর্বক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থ। তারা বোঝে কেবল তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ। সাধারণ পাকিস্তানিদের দুঃখ-ব্যথা রাষ্ট্রনায়কদের পোড়ায় না।
পাকিস্তানের সিন্ধু, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, খাইবারসহ বন্যাদুর্গত প্রতিটি অঞ্চলের পিচ ঢালা যে রাজপথে কয়েক দিন আগেই দাপিয়ে চলেছে যন্ত্রচালিত যান; এখন সেখানে ঘোলা জলের বান। রাজপথেরই যদি হয় এই দশা; তবে বোঝাই যায় লোকালয়ের কী অবস্থা!
বন্যার স্রোতে পাকিস্তানের হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে, গবাদিপশু ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সোনার ফসল গেছে ডুবে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ বন্যায় এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭০ লাখেরও বেশি লোক সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে। ১২ লাখ লোক তাদের বাড়ি হারিয়েছে, ৩২ লাখ হেক্টর ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আর প্রায় এক হাজার ৫৩৯ জন মানুষের জীবন অকালেই ঝরে গেছে।
বন্যাদুর্গত মানুষের জীবনে এখন নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। টিকে থাকার তাগিদে তাদের প্রতিনিয়তই লড়তে হচ্ছে। দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে তারা বাস করছে। কবে ঘরে ফিরবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পেটে নেই খাবার। আর খাবার যা আসে, তা নিয়ে চলে নিজেদের মধ্যে টানাটানি।
চারদিকে থইথই পানি। কিন্তু খাওয়ার মতো পানি নেই মোটেও। দূষিত পানি খেয়ে তেষ্টা মিটছে ঠিকই। কিন্তু এর জন্য মাশুল দিতে হচ্ছে বড় বেশি। ডায়রিয়া, পেটের পীড়া কিংবা কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে মহামারির আকারে। এর সঙ্গে পানিবাহিত চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব তো আছেই।
ত্রাণ আসছে ঠিকই। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই অপ্রতুল। তার ওপর ত্রাণ নিয়ে আবার চলছে দুর্নীতি। অনেক দুর্গত লোক অভিযোগ করে বলেছে, স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা তাঁদের পরিচিতদের মধ্যেই শুধু ত্রাণ বিতরণ করছেন। বাকিরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, রোগের ভয়াবহ বিস্তার বন্যাদুর্গত লোকগুলোর জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। বিশুদ্ধ পানির অভাব, স্যানিটেশন ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা নানা ধরনের ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। আসিক হোসেন মালিক নামের পাকিস্তানের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁদের কাছে আসা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, চর্ম রোগ, চোখের সংক্রমণ ইত্যাদি রোগে ভুগছে এবং এদের অনেকের অবস্থাই বেশ গুরুতর। জাতিসংঘও টাইফয়েড, হেপাটাইটিস এ ও বি, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি পানিবাহিত রোগের আশঙ্কাজনক বিস্তারের ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চরণ করেছে।
বন্যাদুর্গত পাকিস্তানিদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয় নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ ৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ইতিমধ্যে পাকিস্তান ভ্রমণ করে পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানে অবস্থানরত অনেক সাহায্য সংস্থা বলেছে, সামনের দিনগুলোতে পাকিস্তান দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। কারণ, ডুবে থাকা অঞ্চলের সব ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে দেখা দেবে চরম খাদ্যসংকট।
পাকিস্তান যখন ডুবছে তখনো দেশটিতে থেমে নেই জঙ্গি তত্পরতা। গত বুধবার পাকিস্তানের লাহোরে শিয়া মুসলমানদের এক শোভাযাত্রায় পৃথক তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের সিন্ধু, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, খাইবারসহ বন্যাদুর্গত প্রতিটি অঞ্চলের পিচ ঢালা যে রাজপথে কয়েক দিন আগেই দাপিয়ে চলেছে যন্ত্রচালিত যান; এখন সেখানে ঘোলা জলের বান। রাজপথেরই যদি হয় এই দশা; তবে বোঝাই যায় লোকালয়ের কী অবস্থা!
বন্যার স্রোতে পাকিস্তানের হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে, গবাদিপশু ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সোনার ফসল গেছে ডুবে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ বন্যায় এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭০ লাখেরও বেশি লোক সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে। ১২ লাখ লোক তাদের বাড়ি হারিয়েছে, ৩২ লাখ হেক্টর ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আর প্রায় এক হাজার ৫৩৯ জন মানুষের জীবন অকালেই ঝরে গেছে।
বন্যাদুর্গত মানুষের জীবনে এখন নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। টিকে থাকার তাগিদে তাদের প্রতিনিয়তই লড়তে হচ্ছে। দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে তারা বাস করছে। কবে ঘরে ফিরবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পেটে নেই খাবার। আর খাবার যা আসে, তা নিয়ে চলে নিজেদের মধ্যে টানাটানি।
চারদিকে থইথই পানি। কিন্তু খাওয়ার মতো পানি নেই মোটেও। দূষিত পানি খেয়ে তেষ্টা মিটছে ঠিকই। কিন্তু এর জন্য মাশুল দিতে হচ্ছে বড় বেশি। ডায়রিয়া, পেটের পীড়া কিংবা কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে মহামারির আকারে। এর সঙ্গে পানিবাহিত চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব তো আছেই।
ত্রাণ আসছে ঠিকই। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই অপ্রতুল। তার ওপর ত্রাণ নিয়ে আবার চলছে দুর্নীতি। অনেক দুর্গত লোক অভিযোগ করে বলেছে, স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা তাঁদের পরিচিতদের মধ্যেই শুধু ত্রাণ বিতরণ করছেন। বাকিরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, রোগের ভয়াবহ বিস্তার বন্যাদুর্গত লোকগুলোর জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। বিশুদ্ধ পানির অভাব, স্যানিটেশন ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা নানা ধরনের ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। আসিক হোসেন মালিক নামের পাকিস্তানের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁদের কাছে আসা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, চর্ম রোগ, চোখের সংক্রমণ ইত্যাদি রোগে ভুগছে এবং এদের অনেকের অবস্থাই বেশ গুরুতর। জাতিসংঘও টাইফয়েড, হেপাটাইটিস এ ও বি, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি পানিবাহিত রোগের আশঙ্কাজনক বিস্তারের ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চরণ করেছে।
বন্যাদুর্গত পাকিস্তানিদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয় নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ ৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ইতিমধ্যে পাকিস্তান ভ্রমণ করে পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানে অবস্থানরত অনেক সাহায্য সংস্থা বলেছে, সামনের দিনগুলোতে পাকিস্তান দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। কারণ, ডুবে থাকা অঞ্চলের সব ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে দেখা দেবে চরম খাদ্যসংকট।
পাকিস্তান যখন ডুবছে তখনো দেশটিতে থেমে নেই জঙ্গি তত্পরতা। গত বুধবার পাকিস্তানের লাহোরে শিয়া মুসলমানদের এক শোভাযাত্রায় পৃথক তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছে।
No comments