পাকিস্তানে ফিরছেন অভিযুক্ত ত্রয়ী
চার ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। দুজন ২ রান করে। একজন করেছেন ৪...কাল ‘ক্রিকেটে ফেরা’ পাকিস্তান কি তবে সমারসেটের বিপক্ষে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ক্রিকেট-বহির্ভূত ঘটনার চাপে? শুরুতে যা পড়লেন, সেটি অবশ্য খণ্ডচিত্র। সাত ব্যাটসম্যান মিলে মাত্র ৮ রান করলেও ২৬৪ রান তুলেছে পাকিস্তান। শাহজাইব হাসানের ১০৫ আর ফাওয়াদ আলমের ৯৭ রানের সৌজন্যে। মন্দ নয়!
টন্টনের কাউন্টি মাঠে শহীদ আফ্রিদির দল যখন ক্রিকেটে ব্যস্ত, তাদেরই তিন সতীর্থ তখন ভিন্ন কারণে খবরের শিরোনামে। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে তিন অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে। সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ আর মোহাম্মদ আমিরের আর খেলা হচ্ছে না ইংল্যান্ড সফরে।
আইসিসির চাপেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানসিকভাবে তাঁরা বিধ্বস্ত বলেই ক্রিকেটে মনোনিবেশ করার অবস্থায় নেই। এ কারণেই খেলানো হচ্ছে না তাঁদের। সেই সঙ্গে আরও একবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পাশেই থাকবে বোর্ড। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটেনে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ওয়াজিদ শামসুল হাসান এই দাবিও করেছেন, এমনও হতে পারে পুরো ঘটনা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর সাজানো। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস করা পত্রিকাটি অবশ্য হাসানের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘এমন হাস্যকর অভিযোগের জবাব দেওয়ার সময় তাদের নেই।’
আইসিসির নির্দেশে এই তিনজনকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে—এই খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র। কিন্তু পাকিস্তানের হাইকমিশনার শামসুল হাসান বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের অনুরোধেই, ‘গত এক সপ্তাহে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই তিন খেলোয়াড় ভীষণভাবে বিপর্যস্ত। ওরা আমাদের বলেছে, তারা পুরোপুরি সৎ এবং নিজেদের সততা প্রমাণের জন্য লড়তে প্রস্তুত। এও বলেছে, মানসিক নিপীড়নের কারণে তারা এখন ঠিক ক্রিকেট খেলার অবস্থায় নেই। তাই তারা পিসিবির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, অভিযোগ থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত যেন তাদের দলে না রাখা হয়।’
গতকালই লন্ডনের হাইকমিশনে তিন ক্রিকেটার পিসিবি কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হন। কালো কাচের একটি গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু আসিফদের পৌঁছানোর খবর গোপন করা যায়নি। গাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই সাংবাদিক আর আলোকচিত্রীরা ঘিরে ধরেন তাঁদের। জনা দশেক পুলিশ এই ভিড় বাঁচিয়ে হইহট্টগোলের মধ্যেই আসিফদের কমিশনারের কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। ওই বৈঠক শেষেই হাইকমিশনার শামসুল হাসান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেন, ‘অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্দোষ। এরা তিন তরুণের সামনেই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। একজন তো মাত্রই বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছে। আইনের আশ্রয় নিতে এরা শিগগিরই আদালতের দ্বারস্থ হবে।’
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়া লম্বা বৈঠকে মিলিত হয়েছিল আইসিসি আর পিসিবি। সেখানেই আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত এই তিন খেলোয়াড়কে আপাতত সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। ইংল্যান্ডও এটাই চাইছিল। কিন্তু বাট এর আগে বলেছিলেন, দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই দল থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে না। যদিও পরশুর ওই বৈঠকের পর পিসিবি আগের অবস্থান থেকে সরে আসে।
এই তিন ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে কারা ইংল্যান্ডে যাচ্ছে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, ইউনুস খানকে দলে ডেকে পাঠানো হতে পারে।
এদিকে তিন ক্রিকেটারকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়ার সিদ্ধান্তের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল স্বাগত জানিয়েছেন, ‘এটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। কারণ এরা থাকলে ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল নিয়ে হয়তো অনেকেই সন্দেহ করত।’ সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন জহির আব্বাসও। আবার সাবেক অফ স্পিনার তৌসিফ আহমেদ বলেছেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি।
এতসব ঘটনার পরও কাল টন্টনের ম্যাচে হাজির পাকিস্তান সমর্থকেরা দিয়ে গেল জোরাল সমর্থন। সংখ্যায় স্বল্প, তার পরও এটাই সম্ভবত পাকিস্তানের ক্রিকেটের গত কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক ছবি!
টন্টনের কাউন্টি মাঠে শহীদ আফ্রিদির দল যখন ক্রিকেটে ব্যস্ত, তাদেরই তিন সতীর্থ তখন ভিন্ন কারণে খবরের শিরোনামে। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে তিন অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে। সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ আর মোহাম্মদ আমিরের আর খেলা হচ্ছে না ইংল্যান্ড সফরে।
আইসিসির চাপেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানসিকভাবে তাঁরা বিধ্বস্ত বলেই ক্রিকেটে মনোনিবেশ করার অবস্থায় নেই। এ কারণেই খেলানো হচ্ছে না তাঁদের। সেই সঙ্গে আরও একবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পাশেই থাকবে বোর্ড। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটেনে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ওয়াজিদ শামসুল হাসান এই দাবিও করেছেন, এমনও হতে পারে পুরো ঘটনা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর সাজানো। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস করা পত্রিকাটি অবশ্য হাসানের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘এমন হাস্যকর অভিযোগের জবাব দেওয়ার সময় তাদের নেই।’
আইসিসির নির্দেশে এই তিনজনকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে—এই খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র। কিন্তু পাকিস্তানের হাইকমিশনার শামসুল হাসান বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের অনুরোধেই, ‘গত এক সপ্তাহে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই তিন খেলোয়াড় ভীষণভাবে বিপর্যস্ত। ওরা আমাদের বলেছে, তারা পুরোপুরি সৎ এবং নিজেদের সততা প্রমাণের জন্য লড়তে প্রস্তুত। এও বলেছে, মানসিক নিপীড়নের কারণে তারা এখন ঠিক ক্রিকেট খেলার অবস্থায় নেই। তাই তারা পিসিবির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, অভিযোগ থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত যেন তাদের দলে না রাখা হয়।’
গতকালই লন্ডনের হাইকমিশনে তিন ক্রিকেটার পিসিবি কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হন। কালো কাচের একটি গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু আসিফদের পৌঁছানোর খবর গোপন করা যায়নি। গাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই সাংবাদিক আর আলোকচিত্রীরা ঘিরে ধরেন তাঁদের। জনা দশেক পুলিশ এই ভিড় বাঁচিয়ে হইহট্টগোলের মধ্যেই আসিফদের কমিশনারের কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। ওই বৈঠক শেষেই হাইকমিশনার শামসুল হাসান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেন, ‘অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্দোষ। এরা তিন তরুণের সামনেই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। একজন তো মাত্রই বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছে। আইনের আশ্রয় নিতে এরা শিগগিরই আদালতের দ্বারস্থ হবে।’
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়া লম্বা বৈঠকে মিলিত হয়েছিল আইসিসি আর পিসিবি। সেখানেই আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত এই তিন খেলোয়াড়কে আপাতত সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। ইংল্যান্ডও এটাই চাইছিল। কিন্তু বাট এর আগে বলেছিলেন, দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই দল থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে না। যদিও পরশুর ওই বৈঠকের পর পিসিবি আগের অবস্থান থেকে সরে আসে।
এই তিন ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে কারা ইংল্যান্ডে যাচ্ছে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, ইউনুস খানকে দলে ডেকে পাঠানো হতে পারে।
এদিকে তিন ক্রিকেটারকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়ার সিদ্ধান্তের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল স্বাগত জানিয়েছেন, ‘এটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। কারণ এরা থাকলে ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল নিয়ে হয়তো অনেকেই সন্দেহ করত।’ সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন জহির আব্বাসও। আবার সাবেক অফ স্পিনার তৌসিফ আহমেদ বলেছেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি।
এতসব ঘটনার পরও কাল টন্টনের ম্যাচে হাজির পাকিস্তান সমর্থকেরা দিয়ে গেল জোরাল সমর্থন। সংখ্যায় স্বল্প, তার পরও এটাই সম্ভবত পাকিস্তানের ক্রিকেটের গত কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক ছবি!
No comments