ক্রিকেট উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা
পরিকল্পনা গ্রহণ আর তা বাস্তবায়নের মধ্যে একটা ফারাক সব সময়ই থাকে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি অন্তত প্রথম কাজটা করতে পেরেছে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের কোচিং ক্যাম্প হিসেবে এত দিন যা হয়ে এসেছে, আগামী এক বছরের জন্য নেওয়া হয়েছে প্রায় তার দ্বিগুণ কর্মসূচি।
গত বছর অনূর্ধ্ব-১৫ বা ১৭ দল কোনো হোম বা অ্যাওয়ে সিরিজ খেলেনি। দুই দলই বছরজুড়ে কেবল চারটি করে প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে। নতুন পরিকল্পনায় এই দুই দলই বছরে একটা করে হোম ও একটা করে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। জাতীয় একাডেমি বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্যও আছে একই ধরনের পরিকল্পনা। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে গতবার অনূর্ধ্ব-১৯ দল তুলনামূলকভাবে বেশি সিরিজ খেলেছে।
গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি এবার একদমই নতুন যে পরিকল্পনাটা হাতে নিয়েছে, সেটা একটা সম্মিলিত স্কুল ক্রিকেট দল গঠন। জাতীয় পর্যায়ে খেলা স্কুল দলগুলো থেকে বাছাই করা সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হবে এই দল। বয়সভিত্তিক দলগুলোর মতো সম্মিলিত স্কুল ক্রিকেট দলও এ বছর একটা করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। এসবের বাইরে আছে একাডেমি, অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ দলের বছরব্যাপী অনুশীলন ক্যাম্প। সিনিয়র-জুনিয়র পর্যায়ে স্কিল ক্যাম্প। একাডেমি, ‘এ’ দল বা জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে ছয় বিভাগ থেকে ৪২ ক্রিকেটারকে নিয়ে এক মাসের বিশেষ ক্যাম্প। আছে ছয় দিনের বিভাগীয় স্কিল ক্যাম্পটাকেও ১২ দিনের করার পরিকল্পনা। এ ছাড়া গতবার না হওয়া ঢাকা মহানগরের একাডেমিগুলোর বয়সভিত্তিক দল নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ পর্যায়ে টুর্নামেন্টগুলোও এবার হবে বলে জানা গেছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ সূত্রে।
নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা আছে গেম এডুকেশনেও। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এ সংক্রান্ত ৩ কোটি টাকার চুক্তিটি গত বছর ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ায় এবার পাইলট প্রকল্প হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সহায়তায় লেভেল-২ কোচিং কোর্সটা নিজেদের প্রশিক্ষক দিয়েই পরিচালনার চেষ্টা করবে বিসিবি। তবে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আমিনুল হক জানিয়েছেন, কোচেস ট্রেনিং বা কর্মশালা নয়, নতুন পরিকল্পনায় তাঁরা ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি। গতবার ৪টি লেভেল ‘এ’, দুটি করে লেভেল-১ ও ফিটনেস কোর্স এবং বিভিন্ন বিষয়ে কোচদের ৮টি কর্মশালা হলেও এবার মাঠের ক্রিকেটেই থাকবে বেশি মনোযোগ।
এত পরিকল্পনা সত্ত্বেও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রস্তাবিত বাজেট আগের তুলনায় অল্পই বেড়েছে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে এই কমিটির বাজেট ছিল সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। সে সময়ের বোর্ড সভাপতি সিনা ইবনে জামালী বাজেট কমিয়ে আনেন সাড়ে ১৫ কোটি টাকায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, ওই সাড়ে ১৫ কোটি টাকার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে গেছে মাত্র ১১ কোটি ১১ লাখ টাকায়ই!
২০০৯-১০ মৌসুমে তাই একাডেমি আর গেম ডেভেলপমেন্ট মিলিয়ে বাজেট ধরা হয়েছিল প্রায় ১১ কোটি টাকার। এবারের বাজেট তুলনামূলক আরও কম। ২০১০-১১ সালের জন্য একাডেমির প্রস্তাবিত বাজেট প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির বাজেট ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার মতো। এর বাইরে একাডেমি ও গেম ডেভেলপমেন্টের টেন্ডার ও ক্রয় বাবদ আরও প্রায় ৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, যা খরচ হবে লজিস্টিক কমিটির মাধ্যমে।
এ বিষয়টা বিসিবি চাইলে নতুন করেও ভাবতে পারে। লজিস্টিক কমিটির মাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট কমিটির খরচের ক্ষেত্রে কিছু ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা’র সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেশের ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হচ্ছে। ‘কৃচ্ছ্র’ সাধনের নামে লজিস্টিক কমিটি নাকি মাঝেমধ্যে এতটাই ‘কার্পণ্য’ দেখায় যে অনুশীলনে বিদেশি দলগুলো নাশতা হিসেবে সামান্য স্যান্ডউইচ চেয়েও পায় না। বড় বড় দেশের একাডেমি বা বয়সভিত্তিক দলগুলোর বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে অনীহার একটা বড় কারণ, এ দেশে এসে পছন্দমতো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া। শ্রীলঙ্কা একাডেমি দল তো গতবার সফরই বাতিল করে দিল!
ক্রিকেট উন্নয়নের কাজে আরেকটা বড় বাধা মাঠের সমস্যা। একাডেমির মাঠ এখনো প্রস্তুত নয়, শেরেবাংলা স্টেডিয়াম আর তার ইনডোরও বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকে জাতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে। এ অবস্থায় বিকেএসপিই ভরসা। বর্তমানে যেমন দিনাজপুর বিকেএসপিতে চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।
পরিকল্পনা যত বিশালই হোক সেটির সার্থকতা বাস্তবায়নে। গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আমিনুলও হকও মানছেন, বড় চ্যালেঞ্জ এখন এটাই, ‘এসব পরিকল্পনা খুব বড় কিছু নয়। বরং এ রকমই হওয়া উচিত। এত দিন হয়তো নানা সীমাবদ্ধতায় পারিনি। এবার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপের পর হাইপারফরম্যান্স ইউনিটটাকেও নতুনভাবে শুরু করার পরিকল্পনা আছে। তবে শুধু পরিকল্পনা করলেই তো হবে না, সেসব বাস্তবায়ন করতে হবে।
গত বছর অনূর্ধ্ব-১৫ বা ১৭ দল কোনো হোম বা অ্যাওয়ে সিরিজ খেলেনি। দুই দলই বছরজুড়ে কেবল চারটি করে প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে। নতুন পরিকল্পনায় এই দুই দলই বছরে একটা করে হোম ও একটা করে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। জাতীয় একাডেমি বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্যও আছে একই ধরনের পরিকল্পনা। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে গতবার অনূর্ধ্ব-১৯ দল তুলনামূলকভাবে বেশি সিরিজ খেলেছে।
গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি এবার একদমই নতুন যে পরিকল্পনাটা হাতে নিয়েছে, সেটা একটা সম্মিলিত স্কুল ক্রিকেট দল গঠন। জাতীয় পর্যায়ে খেলা স্কুল দলগুলো থেকে বাছাই করা সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হবে এই দল। বয়সভিত্তিক দলগুলোর মতো সম্মিলিত স্কুল ক্রিকেট দলও এ বছর একটা করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। এসবের বাইরে আছে একাডেমি, অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ দলের বছরব্যাপী অনুশীলন ক্যাম্প। সিনিয়র-জুনিয়র পর্যায়ে স্কিল ক্যাম্প। একাডেমি, ‘এ’ দল বা জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে ছয় বিভাগ থেকে ৪২ ক্রিকেটারকে নিয়ে এক মাসের বিশেষ ক্যাম্প। আছে ছয় দিনের বিভাগীয় স্কিল ক্যাম্পটাকেও ১২ দিনের করার পরিকল্পনা। এ ছাড়া গতবার না হওয়া ঢাকা মহানগরের একাডেমিগুলোর বয়সভিত্তিক দল নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ পর্যায়ে টুর্নামেন্টগুলোও এবার হবে বলে জানা গেছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ সূত্রে।
নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা আছে গেম এডুকেশনেও। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এ সংক্রান্ত ৩ কোটি টাকার চুক্তিটি গত বছর ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ায় এবার পাইলট প্রকল্প হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সহায়তায় লেভেল-২ কোচিং কোর্সটা নিজেদের প্রশিক্ষক দিয়েই পরিচালনার চেষ্টা করবে বিসিবি। তবে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আমিনুল হক জানিয়েছেন, কোচেস ট্রেনিং বা কর্মশালা নয়, নতুন পরিকল্পনায় তাঁরা ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি। গতবার ৪টি লেভেল ‘এ’, দুটি করে লেভেল-১ ও ফিটনেস কোর্স এবং বিভিন্ন বিষয়ে কোচদের ৮টি কর্মশালা হলেও এবার মাঠের ক্রিকেটেই থাকবে বেশি মনোযোগ।
এত পরিকল্পনা সত্ত্বেও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রস্তাবিত বাজেট আগের তুলনায় অল্পই বেড়েছে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে এই কমিটির বাজেট ছিল সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। সে সময়ের বোর্ড সভাপতি সিনা ইবনে জামালী বাজেট কমিয়ে আনেন সাড়ে ১৫ কোটি টাকায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, ওই সাড়ে ১৫ কোটি টাকার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে গেছে মাত্র ১১ কোটি ১১ লাখ টাকায়ই!
২০০৯-১০ মৌসুমে তাই একাডেমি আর গেম ডেভেলপমেন্ট মিলিয়ে বাজেট ধরা হয়েছিল প্রায় ১১ কোটি টাকার। এবারের বাজেট তুলনামূলক আরও কম। ২০১০-১১ সালের জন্য একাডেমির প্রস্তাবিত বাজেট প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির বাজেট ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার মতো। এর বাইরে একাডেমি ও গেম ডেভেলপমেন্টের টেন্ডার ও ক্রয় বাবদ আরও প্রায় ৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, যা খরচ হবে লজিস্টিক কমিটির মাধ্যমে।
এ বিষয়টা বিসিবি চাইলে নতুন করেও ভাবতে পারে। লজিস্টিক কমিটির মাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট কমিটির খরচের ক্ষেত্রে কিছু ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা’র সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেশের ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হচ্ছে। ‘কৃচ্ছ্র’ সাধনের নামে লজিস্টিক কমিটি নাকি মাঝেমধ্যে এতটাই ‘কার্পণ্য’ দেখায় যে অনুশীলনে বিদেশি দলগুলো নাশতা হিসেবে সামান্য স্যান্ডউইচ চেয়েও পায় না। বড় বড় দেশের একাডেমি বা বয়সভিত্তিক দলগুলোর বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে অনীহার একটা বড় কারণ, এ দেশে এসে পছন্দমতো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া। শ্রীলঙ্কা একাডেমি দল তো গতবার সফরই বাতিল করে দিল!
ক্রিকেট উন্নয়নের কাজে আরেকটা বড় বাধা মাঠের সমস্যা। একাডেমির মাঠ এখনো প্রস্তুত নয়, শেরেবাংলা স্টেডিয়াম আর তার ইনডোরও বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকে জাতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে। এ অবস্থায় বিকেএসপিই ভরসা। বর্তমানে যেমন দিনাজপুর বিকেএসপিতে চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।
পরিকল্পনা যত বিশালই হোক সেটির সার্থকতা বাস্তবায়নে। গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আমিনুলও হকও মানছেন, বড় চ্যালেঞ্জ এখন এটাই, ‘এসব পরিকল্পনা খুব বড় কিছু নয়। বরং এ রকমই হওয়া উচিত। এত দিন হয়তো নানা সীমাবদ্ধতায় পারিনি। এবার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপের পর হাইপারফরম্যান্স ইউনিটটাকেও নতুনভাবে শুরু করার পরিকল্পনা আছে। তবে শুধু পরিকল্পনা করলেই তো হবে না, সেসব বাস্তবায়ন করতে হবে।
No comments