মোহামেডানে ১৭ বছর পর...
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসছে। টানা ১৭ বছর ওই পদে থাকার পর সরে দাঁড়ালেন মোসাদ্দেক আলী (ফালু)।
নানা জটিলতায় অনেক দিন ধরেই মোহামেডানে অচলাবস্থা চলছে। সাংগঠনিক শক্তি বলতে কিছুই নেই। মোহামেডান হারিয়ে ফেলছে স্বকীয়তা, জৌলুশ। এমন অবস্থায় শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছিল একটা পক্ষ। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে কাল মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগপত্র পাঠানো সেটিরই ফল বলছেন অনেকে।
মোহামেডানকে লিমিটেড কোম্পানি করা নিয়েই যত সংকট। গত বছরের ৬ জুন ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় লিমিটেড করার প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং মোসাদ্দেক আলীকে আহ্বায়ক করে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। লিমিটেড কোম্পানি করার অন্যতম বড় শর্ত ঢাকা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হতে হয়। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে আজও নিবন্ধিত হতে পারেনি মোহামেডান। আহ্বায়ক কমিটি আদালতে গেলে হাইকোর্ট জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে শোকজ করে জানতে চান, কেন মোহামেডানকে নিবন্ধন দেওয়া হবে না। ব্যাপারটা এ পর্যন্তই ঝুলে আছে।
গত বছর নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর দ্বন্দ্বের শুরু। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত হওয়ার কথা সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে। কিন্তু ১৬ জন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আলী—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটা জানানোর পর অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা বাদল রায় বলছেন, ‘লিমিটেড কোম্পানি করা নিয়ে স্বচ্ছতার দাবি ছিল। তিনি (মোসাদ্দেক আলী) এমন একসময় পদত্যাগ করলেন, যখন ক্লাবের অবস্থা নাজুক। প্রশাসন বলতে কিছু নেই। ভালো ফুটবল দল গঠন করা যাচ্ছে না।’ আনোয়ারুল হক হেলালের কথা, ‘পদত্যাগের ব্যাপারটা আহ্বায়ক সাহেবের ব্যক্তিগত বিষয়।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘ক্লাবে তাঁর অনেক অবদানও আছে।’ লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার কথা, ‘যে কেউ পদত্যাগ করতে পারেন।’
পদত্যাগপত্রে মোসাদ্দেক আলী তাঁর দায়িত্বকালে সফলতা এবং লিমিটেড কোম্পানি এখনো না হওয়ার পেছনে ক্লাবের ‘মহল বিশেষ’কে দায়ী করেছেন। ‘ক্লাব প্রাঙ্গণে নিজস্ব ইমারত নির্মাণে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য ওই সদস্যরা জটিলতা তৈরি করেছেন’—অভিযোগ মোসাদ্দেক আলীর। মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় ক্লাবের নামে ইজারাপ্রাপ্ত জমি স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া এবং একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম করার জন্য সাভারে ২৫ একর জমি গত জোট সরকারের কাছ থেকে নেওয়ার বিষয়টাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এখন ক্লাব বেছে নেবে একজন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদ আসতে পারেন ওই দায়িত্বে।
নানা জটিলতায় অনেক দিন ধরেই মোহামেডানে অচলাবস্থা চলছে। সাংগঠনিক শক্তি বলতে কিছুই নেই। মোহামেডান হারিয়ে ফেলছে স্বকীয়তা, জৌলুশ। এমন অবস্থায় শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছিল একটা পক্ষ। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে কাল মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগপত্র পাঠানো সেটিরই ফল বলছেন অনেকে।
মোহামেডানকে লিমিটেড কোম্পানি করা নিয়েই যত সংকট। গত বছরের ৬ জুন ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় লিমিটেড করার প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং মোসাদ্দেক আলীকে আহ্বায়ক করে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। লিমিটেড কোম্পানি করার অন্যতম বড় শর্ত ঢাকা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হতে হয়। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে আজও নিবন্ধিত হতে পারেনি মোহামেডান। আহ্বায়ক কমিটি আদালতে গেলে হাইকোর্ট জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে শোকজ করে জানতে চান, কেন মোহামেডানকে নিবন্ধন দেওয়া হবে না। ব্যাপারটা এ পর্যন্তই ঝুলে আছে।
গত বছর নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর দ্বন্দ্বের শুরু। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত হওয়ার কথা সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে। কিন্তু ১৬ জন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আলী—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটা জানানোর পর অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা বাদল রায় বলছেন, ‘লিমিটেড কোম্পানি করা নিয়ে স্বচ্ছতার দাবি ছিল। তিনি (মোসাদ্দেক আলী) এমন একসময় পদত্যাগ করলেন, যখন ক্লাবের অবস্থা নাজুক। প্রশাসন বলতে কিছু নেই। ভালো ফুটবল দল গঠন করা যাচ্ছে না।’ আনোয়ারুল হক হেলালের কথা, ‘পদত্যাগের ব্যাপারটা আহ্বায়ক সাহেবের ব্যক্তিগত বিষয়।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘ক্লাবে তাঁর অনেক অবদানও আছে।’ লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার কথা, ‘যে কেউ পদত্যাগ করতে পারেন।’
পদত্যাগপত্রে মোসাদ্দেক আলী তাঁর দায়িত্বকালে সফলতা এবং লিমিটেড কোম্পানি এখনো না হওয়ার পেছনে ক্লাবের ‘মহল বিশেষ’কে দায়ী করেছেন। ‘ক্লাব প্রাঙ্গণে নিজস্ব ইমারত নির্মাণে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য ওই সদস্যরা জটিলতা তৈরি করেছেন’—অভিযোগ মোসাদ্দেক আলীর। মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় ক্লাবের নামে ইজারাপ্রাপ্ত জমি স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া এবং একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম করার জন্য সাভারে ২৫ একর জমি গত জোট সরকারের কাছ থেকে নেওয়ার বিষয়টাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এখন ক্লাব বেছে নেবে একজন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদ আসতে পারেন ওই দায়িত্বে।
No comments