ভারতে পরমাণু বিলের সমালোচনায় ব্যবসায়ীরা
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে গত বুধবার অনুমোদিত বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি আমদানি-সংক্রান্ত বিলের সমালোচনা করেছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, এই বিলে একটি কড়া শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত এ বিলের একটি ধারায় বলা হয়েছে, পরমাণু স্থাপনা প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পরমাণু সরঞ্জাম ও কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ এবং বিনা মূল্যে সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। তবে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। এই শর্তের কারণে ভারতের পরমাণু খাতের বিকাশ ব্যাহত হবে বলে ব্যবসায়ীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) উপদেষ্টা অঞ্জন রায় বলেছেন, ‘এ শর্তের কারণে আমাদের পরমাণু উত্পাদন ক্ষমতা প্রভাবিত হবে। বিলটিতে সরবরাহকারীদের ক্ষেত্রে অনেক বর্ধিত বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
অন্য প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি বলেন, ভারতের পরমাণু খাত বিকাশের ক্ষেত্রে বিলটিতে উল্লিখিত ‘দায়বদ্ধতা মেয়াদ’ বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কঠিন এ শর্তের কারণে ভারতে পরমাণু অবকাঠামোশিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বুধবার বহুল আলোচিত এ পরমাণু বিল অনুমোদিত হয়। বিলটি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বিদেশি বেসরকারি পরমাণু প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হলো।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত ভারতের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির অংশ হচ্ছে এই পরমাণু বিল। বিলটি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পার্লামেন্টে দীর্ঘ বিতর্কের পর কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিলটি অনুমোদিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, এ বিল অনুমোদনের ফলে তিন দশকের বিতর্কের অবসান হয়েছে। নিম্নকক্ষে অনুমোদিত এ বিল এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাঠানো হবে। সেখানে বিলটি অনায়াসে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুমোদিত এ বিলের একটি ধারায় বলা হয়েছে, পরমাণু স্থাপনা প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পরমাণু সরঞ্জাম ও কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ এবং বিনা মূল্যে সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। তবে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। এই শর্তের কারণে ভারতের পরমাণু খাতের বিকাশ ব্যাহত হবে বলে ব্যবসায়ীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) উপদেষ্টা অঞ্জন রায় বলেছেন, ‘এ শর্তের কারণে আমাদের পরমাণু উত্পাদন ক্ষমতা প্রভাবিত হবে। বিলটিতে সরবরাহকারীদের ক্ষেত্রে অনেক বর্ধিত বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
অন্য প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি বলেন, ভারতের পরমাণু খাত বিকাশের ক্ষেত্রে বিলটিতে উল্লিখিত ‘দায়বদ্ধতা মেয়াদ’ বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কঠিন এ শর্তের কারণে ভারতে পরমাণু অবকাঠামোশিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বুধবার বহুল আলোচিত এ পরমাণু বিল অনুমোদিত হয়। বিলটি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বিদেশি বেসরকারি পরমাণু প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হলো।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত ভারতের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির অংশ হচ্ছে এই পরমাণু বিল। বিলটি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পার্লামেন্টে দীর্ঘ বিতর্কের পর কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিলটি অনুমোদিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, এ বিল অনুমোদনের ফলে তিন দশকের বিতর্কের অবসান হয়েছে। নিম্নকক্ষে অনুমোদিত এ বিল এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাঠানো হবে। সেখানে বিলটি অনায়াসে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments