দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত -আইনানুগ পন্থা সব সময়ের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট
বিগত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সরকার বিভিন্ন অভিযোগ তুলে যেসব প্রতিষ্ঠানের
কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিল, গত মঙ্গলবার সে রকম দুটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের
টাকা ফেরত দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ক্যাথেলি ডেটেট টি অ্যান্ড
ল্যান্ড বাংলাদেশ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানকে তাদের কাছ থেকে নেওয়া ২৩৭
কোটি টাকা এবং এস আলম স্টিল লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানকে তাদের কাছ থেকে
নেওয়া ৬০ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিতে আদালত সরকার ও বাংলাদেশ
ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন। খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত
হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বক্তব্য লক্ষ করার বিষয়। রায় থেকে দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। এক. ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা আদায় আইনানুগ হয়নি। দুই. দুর্নীতি ও গুরুতর অপরাধ দমন অভিযান চালাতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ পথ নেয়নি। যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে, তবে তা বিচারের জন্য আইন আছে, সে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থাও আছে। সেসব এড়িয়ে টাকা আদায়ের কাজটি হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে মঙ্গলবারের রায়ে হাইকোর্টের মন্তব্য যথার্থ যে, সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের সংবিধানবহির্ভূত কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা স্মরণ করতে পারি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতি ও গুরুতর অপরাধ দমনবিষয়ক উদ্যোগের সূচনায় জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের উত্সাহ দেখা গিয়েছিল। সরকার যেসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তাদের অনেকের বিষয়েই জনমনে নেতিবাচক ধারণা ছিল। আর দেশে যে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে, তা তো আগের বছরগুলোতে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষ অবস্থান থেকেই পরিষ্কার হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল দুর্নীতি দমনের পদ্ধতি নিয়ে। দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দেশে আইন রয়েছে; দেখা গেল যে আইনের বাইরে গিয়ে বা আইনকে পাশ কাটিয়ে দুর্নীতি দমনের বা শুদ্ধকরণের পথ কার্যকর হয়নি। কী আইনি যুক্তি দেখিয়ে সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছিল, তা পরিষ্কার ছিল না। হাইকোর্টের রায়ে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কারও কাছে সরকারের অর্থ পাওনা না থাকলে সরকার কোনো অর্থ আদায় করতে পারে না।
আমাদের মনে হয়, আইনানুগ পন্থা সব সময়ের জন্য সর্বোত্কৃষ্ট। সংবিধানের নির্দেশনা ও সুস্পষ্ট আইনি হাতিয়ার বিদ্যমান থাকা অবস্থায় অন্যায়-অপরাধের প্রতিকার করতে সংবিধান ও আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভবিষ্যতে এটা মনে রাখলে জাতির কল্যাণ হবে।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বক্তব্য লক্ষ করার বিষয়। রায় থেকে দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। এক. ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা আদায় আইনানুগ হয়নি। দুই. দুর্নীতি ও গুরুতর অপরাধ দমন অভিযান চালাতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ পথ নেয়নি। যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে, তবে তা বিচারের জন্য আইন আছে, সে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থাও আছে। সেসব এড়িয়ে টাকা আদায়ের কাজটি হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে মঙ্গলবারের রায়ে হাইকোর্টের মন্তব্য যথার্থ যে, সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের সংবিধানবহির্ভূত কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা স্মরণ করতে পারি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতি ও গুরুতর অপরাধ দমনবিষয়ক উদ্যোগের সূচনায় জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের উত্সাহ দেখা গিয়েছিল। সরকার যেসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তাদের অনেকের বিষয়েই জনমনে নেতিবাচক ধারণা ছিল। আর দেশে যে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে, তা তো আগের বছরগুলোতে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষ অবস্থান থেকেই পরিষ্কার হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল দুর্নীতি দমনের পদ্ধতি নিয়ে। দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দেশে আইন রয়েছে; দেখা গেল যে আইনের বাইরে গিয়ে বা আইনকে পাশ কাটিয়ে দুর্নীতি দমনের বা শুদ্ধকরণের পথ কার্যকর হয়নি। কী আইনি যুক্তি দেখিয়ে সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছিল, তা পরিষ্কার ছিল না। হাইকোর্টের রায়ে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কারও কাছে সরকারের অর্থ পাওনা না থাকলে সরকার কোনো অর্থ আদায় করতে পারে না।
আমাদের মনে হয়, আইনানুগ পন্থা সব সময়ের জন্য সর্বোত্কৃষ্ট। সংবিধানের নির্দেশনা ও সুস্পষ্ট আইনি হাতিয়ার বিদ্যমান থাকা অবস্থায় অন্যায়-অপরাধের প্রতিকার করতে সংবিধান ও আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভবিষ্যতে এটা মনে রাখলে জাতির কল্যাণ হবে।
No comments