মিয়ানমারে একতরফা নির্বাচনের আশঙ্কা
মিয়ানমারে ভোট বর্জন, কঠোর নির্বাচনী নীতিমালা ও একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতার পদত্যাগে সে দেশে একতরফা নির্বাচনের জোরালো আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুই দশক পর আগামী ৭ নভেম্বর মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত তা প্রহসনে পরিণত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, গণতন্ত্রপন্থী দলগুলো ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার কারণে জান্তা সরকারের মদদপুষ্ট দল যে আগামী নির্বাচনে সব কটি আসনে জয়ী হবে, সে বিষয়টি একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এনডিএফ) খিন মুয়াঙ স্যুই গতকাল বৃহস্পতিবার আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ইউনিয়ন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ইউডিপি) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ওই দলের প্রধান পিও মিন থেইন বর্তমান সরকারের অধীনে স্বচ্ছ নির্বাচন অসম্ভব দাবি করে ১৫ আগস্ট দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি গত মঙ্গলবার তাঁর সদ্য বিলুপ্ত দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনে দলের জন্য বিপুল অঙ্কের নিবন্ধন ফি রাখা, প্রচারণার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ, সামরিক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন প্রভৃতি কারণ দেখিয়ে তাঁরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ঘোষিত নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা প্রচারণা সভা করতে অথবা পোস্টার ছাপাতে চাইলে আগে থেকে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং প্রচারণায় সামরিক কর্তৃপক্ষের যেকোনো ধরনের সমালোচনা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ছাড়া ওই বিধিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী মিছিলে পতাকা বহন এবং স্লোগান দেওয়ার ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে সরকারবিরোধী গণতন্ত্রমনা দলগুলো নির্বাচন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
থাইল্যান্ডে অবস্থানরত বর্মি শিক্ষাবিদ অঙ নাইং ও বলেছেন, জান্তাপ্রধান থান শয়ের একমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হলো বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি অব্যাহত রেখে নিজের গদি নিষ্কণ্টক রাখা। এ ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনামতোই সবকিছু এগোচ্ছে।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে বহু বিশ্লেষক বলেছেন, সেনাবাহিনী থেকে সম্প্রতি অবসর নেওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে জান্তা সরকার দি ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) গঠন করেছে। তাঁরা বলেছেন, সরকার যেসব নির্বাচনী বিধিবিধান জারি করেছে তাতে ইউএসডিপি যদি ভোটে কারচুপি না-ও করে, তবুও সব আসনে তাদের জয় হবে।
ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এনডিএফ) খিন মুয়াঙ স্যুই গতকাল বৃহস্পতিবার আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ইউনিয়ন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ইউডিপি) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ওই দলের প্রধান পিও মিন থেইন বর্তমান সরকারের অধীনে স্বচ্ছ নির্বাচন অসম্ভব দাবি করে ১৫ আগস্ট দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি গত মঙ্গলবার তাঁর সদ্য বিলুপ্ত দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনে দলের জন্য বিপুল অঙ্কের নিবন্ধন ফি রাখা, প্রচারণার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ, সামরিক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন প্রভৃতি কারণ দেখিয়ে তাঁরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ঘোষিত নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা প্রচারণা সভা করতে অথবা পোস্টার ছাপাতে চাইলে আগে থেকে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং প্রচারণায় সামরিক কর্তৃপক্ষের যেকোনো ধরনের সমালোচনা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ছাড়া ওই বিধিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী মিছিলে পতাকা বহন এবং স্লোগান দেওয়ার ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে সরকারবিরোধী গণতন্ত্রমনা দলগুলো নির্বাচন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
থাইল্যান্ডে অবস্থানরত বর্মি শিক্ষাবিদ অঙ নাইং ও বলেছেন, জান্তাপ্রধান থান শয়ের একমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হলো বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি অব্যাহত রেখে নিজের গদি নিষ্কণ্টক রাখা। এ ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনামতোই সবকিছু এগোচ্ছে।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে বহু বিশ্লেষক বলেছেন, সেনাবাহিনী থেকে সম্প্রতি অবসর নেওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে জান্তা সরকার দি ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) গঠন করেছে। তাঁরা বলেছেন, সরকার যেসব নির্বাচনী বিধিবিধান জারি করেছে তাতে ইউএসডিপি যদি ভোটে কারচুপি না-ও করে, তবুও সব আসনে তাদের জয় হবে।
No comments