বারোমাসি ফলনের আকালে বাজারে লেবু এখন তেতো
ছোট এক হালি এলাচি লেবুর খুচরা দাম কমপক্ষে ১২ টাকা। সিলেটি কাগজি লেবুরও এমনই দাম। সাভার থেকে আসা গোল গোল আর কম দামি কলম্বো জাতের লেবুর হালিও ১২ টাকার কম নয়। ঢাকার যেকোনো বাজারেই লেবুর দামের চিত্রটা মোটামুটি এ রকমই ছিল গতকাল।
বিকেলে কারওয়ান বাজারের এক আড়তের কাছে দুই ঝুড়ি বড় এলাচি লেবু দেখা গেল। পাইকারি দামই প্রতি পোণ (৮০টি) ৬০০ টাকা। হালি পড়ে ৩০ টাকা। বিয়েবাড়ি বা কোনো মেহমানদারির দায় না পড়লে কোনো ক্রেতাই সম্ভবত কিনতে যাবেন না এমন দামের লেবু।
এটি লেবুর ভরা মৌসুম নয়। তবে এমন আকাল পড়ার কথাও নয় এ সময়। তার পরও লেবুর আকাল পড়েছে। কারণ সব জাতের লেবুগাছে যথারীতি বারোমাসি যে ফলনটি হওয়ার কথা শীত আর গ্রীষ্মের শুরুতে তা মার খেয়েছে এবার।
শ্রীমঙ্গলের বড় লেবুচাষি আবদুল মালেক জানান, গতবার এ সময় যত লেবু বিক্রি করেছেন তিনি, এবার তার পাঁচ ভাগের এক ভাগও হবে না। প্রায় ৭০০ বিঘা টিলা ও জমি আছে আবদুল মালেকের। টিলার উঁচুতে কাঁঠাল ও আনারসের বাগান আর ঢালু ও সমতলে লেবুর বাগান।
সেচ দিয়েছেন, তার পরও তেমন লেবু হয়নি এবার। লেবুচাষি আর ব্যাপারীরা জানান, কার্তিক মাস বা তার পর হঠাত্ হওয়া শীতের বৃষ্টি লেবুগাছকে তাজা করে ফুলবতী করে। এবার সে বৃষ্টি হয়নি। ফুল যাও এসেছিল, তার অনেকটাই ঝরে গেছে শীতে ঘন কুয়াশার কারণে।
ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাছ ঝেড়ে নামানো লেবুকে সিলেটের চাষিরা বলেন ঝাড়া লেবু। সেই ঝাড়া জাতের লেবুও এবার নেই বললেই চলে।
আবদুল মালেক আরও জানালেন, লেবুর এতই আকাল যে, প্রতি হাজার বড় কাগজি ও এলাচি জাতের লেবু এবার তিনি পাঁচ হাজার টাকায়ও বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে। গতবার এ দরটি ছিল দুই হাজার টাকার নিচে।
জানা গেছে, সারা দেশে যত লেবু বিক্রি হয় তার অর্ধেকই আসে সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লেবুর জোগান আসে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম, সাভার ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে।
শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজার দেশের সবচেয়ে বড় লেবুর আড়ত হিসেবে পরিচিত। সেখানকার ব্যাপারী মনসুর মিয়া জানালেন, ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক লেবু যায় সারা দেশে। আর গরমের শুরুর দিকে কম করে হলেও প্রতিদিন ১০ ট্রাক লেবু যায় নতুন বাজার থেকে। এবার দুই-তিন ট্রাকের বেশি লেবু পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বৈশাখের মাঝামাঝি পার হলে আর বৃষ্টি শুরু হলে নতুন ফুল আসবে লেবুগাছে। আষাঢ়ের শেষে সে ফলন তোলা শুরু হবে আর তখনই লেবুর ভর মৌসুম। চাষি আর ব্যাপারীরা বলছেন আষাঢ়ের আগ পর্যন্ত লেবুর বাজারটি এমনই চড়া থাকবে এবার।
কারওয়ান বাজারের একজন আড়তদার জানালেন, ভারত থেকে আসা লেবু দিয়ে বাজারের চাহিদার খানিকটা মিটছে এখন। লেবু উত্পাদনের জন্য বিশ্বের এক নম্বর দেশ ভারত। ব্রাজিল, মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও লেবু হয় প্রচুর। তবে সেগুলো বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাওয়ার কথাও নয়।
প্রতিবেশী হওয়ার কল্যাণে অনেক কাঁচা পণ্যের মতো চোরাপথে আসা ভারতীয় লেবুও বাংলাদেশে বাজার খুঁজে নেয়। এটি এক অর্থনৈতিক বা বাজার-বাস্তবতা। ভারত থেকে কাগজি ও গোল এলাচি জাতের লেবু আসে বাংলাদেশের বাজারে। ভারতেও যে লেবু এবার খুব ভালো হয়েছে তাও নয়। তবে ভারতের লেবু উত্পাদন এতই বিশাল যে, সেখানকার গাছঝাড়া লেবুর একটি অংশও বাংলাদেশের বাজারের জন্য অনেক। বাংলাদেশের বাজার থেকে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে এখন তা তো আরও বেশি লোভনীয়।
বিকেলে কারওয়ান বাজারের এক আড়তের কাছে দুই ঝুড়ি বড় এলাচি লেবু দেখা গেল। পাইকারি দামই প্রতি পোণ (৮০টি) ৬০০ টাকা। হালি পড়ে ৩০ টাকা। বিয়েবাড়ি বা কোনো মেহমানদারির দায় না পড়লে কোনো ক্রেতাই সম্ভবত কিনতে যাবেন না এমন দামের লেবু।
এটি লেবুর ভরা মৌসুম নয়। তবে এমন আকাল পড়ার কথাও নয় এ সময়। তার পরও লেবুর আকাল পড়েছে। কারণ সব জাতের লেবুগাছে যথারীতি বারোমাসি যে ফলনটি হওয়ার কথা শীত আর গ্রীষ্মের শুরুতে তা মার খেয়েছে এবার।
শ্রীমঙ্গলের বড় লেবুচাষি আবদুল মালেক জানান, গতবার এ সময় যত লেবু বিক্রি করেছেন তিনি, এবার তার পাঁচ ভাগের এক ভাগও হবে না। প্রায় ৭০০ বিঘা টিলা ও জমি আছে আবদুল মালেকের। টিলার উঁচুতে কাঁঠাল ও আনারসের বাগান আর ঢালু ও সমতলে লেবুর বাগান।
সেচ দিয়েছেন, তার পরও তেমন লেবু হয়নি এবার। লেবুচাষি আর ব্যাপারীরা জানান, কার্তিক মাস বা তার পর হঠাত্ হওয়া শীতের বৃষ্টি লেবুগাছকে তাজা করে ফুলবতী করে। এবার সে বৃষ্টি হয়নি। ফুল যাও এসেছিল, তার অনেকটাই ঝরে গেছে শীতে ঘন কুয়াশার কারণে।
ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাছ ঝেড়ে নামানো লেবুকে সিলেটের চাষিরা বলেন ঝাড়া লেবু। সেই ঝাড়া জাতের লেবুও এবার নেই বললেই চলে।
আবদুল মালেক আরও জানালেন, লেবুর এতই আকাল যে, প্রতি হাজার বড় কাগজি ও এলাচি জাতের লেবু এবার তিনি পাঁচ হাজার টাকায়ও বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে। গতবার এ দরটি ছিল দুই হাজার টাকার নিচে।
জানা গেছে, সারা দেশে যত লেবু বিক্রি হয় তার অর্ধেকই আসে সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লেবুর জোগান আসে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম, সাভার ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে।
শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজার দেশের সবচেয়ে বড় লেবুর আড়ত হিসেবে পরিচিত। সেখানকার ব্যাপারী মনসুর মিয়া জানালেন, ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক লেবু যায় সারা দেশে। আর গরমের শুরুর দিকে কম করে হলেও প্রতিদিন ১০ ট্রাক লেবু যায় নতুন বাজার থেকে। এবার দুই-তিন ট্রাকের বেশি লেবু পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বৈশাখের মাঝামাঝি পার হলে আর বৃষ্টি শুরু হলে নতুন ফুল আসবে লেবুগাছে। আষাঢ়ের শেষে সে ফলন তোলা শুরু হবে আর তখনই লেবুর ভর মৌসুম। চাষি আর ব্যাপারীরা বলছেন আষাঢ়ের আগ পর্যন্ত লেবুর বাজারটি এমনই চড়া থাকবে এবার।
কারওয়ান বাজারের একজন আড়তদার জানালেন, ভারত থেকে আসা লেবু দিয়ে বাজারের চাহিদার খানিকটা মিটছে এখন। লেবু উত্পাদনের জন্য বিশ্বের এক নম্বর দেশ ভারত। ব্রাজিল, মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও লেবু হয় প্রচুর। তবে সেগুলো বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাওয়ার কথাও নয়।
প্রতিবেশী হওয়ার কল্যাণে অনেক কাঁচা পণ্যের মতো চোরাপথে আসা ভারতীয় লেবুও বাংলাদেশে বাজার খুঁজে নেয়। এটি এক অর্থনৈতিক বা বাজার-বাস্তবতা। ভারত থেকে কাগজি ও গোল এলাচি জাতের লেবু আসে বাংলাদেশের বাজারে। ভারতেও যে লেবু এবার খুব ভালো হয়েছে তাও নয়। তবে ভারতের লেবু উত্পাদন এতই বিশাল যে, সেখানকার গাছঝাড়া লেবুর একটি অংশও বাংলাদেশের বাজারের জন্য অনেক। বাংলাদেশের বাজার থেকে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে এখন তা তো আরও বেশি লোভনীয়।
No comments