হারিসারা কাঁদায় আশা জাগায় ক্লডরা
দুই দিন হয়ে গেছে। নয় বছরের ছোট্ট শিশু হারিসা কিম ক্লার্গের আশা অনেকেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার হঠাত্ প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিসার ঘন ঘন নিঃশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পেল। রব পড়ে গেল চারদিকে—‘হারিসা বেঁচে আছে’। ছুটে এলেন উদ্ধারকর্মীরা। হারিসাকে উদ্ধারে নেমে পড়লেন তাঁরা। বাড়ির ভূগর্ভস্থ অংশে আটকে পড়া হারিসাকে বাঁচাতে প্রতিবেশীরাও যোগ দিল।
ঘণ্টা কয়েকের চেষ্টায় হারিসাকে উদ্ধার করা গেছে। তবে ততক্ষণে সবার চোখের কোণেও পানি জমে গেছে। হারিসার গোঙানি থেমে গেছে, চিরতরে। মৃত্যুর আগে হারিসার মুখে ফোঁটা কয়েক পানি দেওয়া গেলেও বাঁচানো যায়নি।
হারিসার মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি শোকাতুর হয়েছেন কেটলি ক্লার্গ। হারিসার এই ধর্ম-মা আক্ষেপ করে বলেন, হারিসাকে উদ্ধারে কেউই এগিয়ে আসেনি। পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি।
আগের দিন হারিসার মা লরেন জিয়ানকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তবে তাঁর অবস্থা ভালো নয়। তাঁর সারা শরীরে ক্ষতের চিহ্ন। স্বেচ্ছাসেবকেরা ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে। যন্ত্রনায় জিয়ানের চিত্কারে তাঁবুর পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
এলাকার সবার মধ্যমণি মেধাবীস্কুল শিক্ষার্থী হারিসার মৃত্যুতে সবাই যখন মুষড়ে পড়েছে, ঠিক তখন একঝলক আশার আলো নিয়ে এসেছে রেডজেসন হস্টিন ক্লড। দুই বছরের খুদে এই শিশুটিকে বৃহস্পতিবার রাতে স্পেনের উদ্ধারকর্মীরা জীবিত উদ্ধার করেছেন। সন্তানকে ফিরে পেয়ে ক্লডের মায়ের আনন্দ যেন আর ধরে না। ক্লডকে দেখেএখন অন্য মায়েরাও তাঁদের হারানো সন্তানদের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর পোর্ট অব প্রিন্স এখন মৃত্যুপুরি। চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই মরদেহের মিছিল। কর্ণকুহরে শুধুই আহতদের গোঙানি। তার ওপর নেই খাবার, পানি, ওষুধ। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে কারও আকুতি কানে এলেও অসহায়ত্ব ছাড়া উপায় নেই। দু-চারটি হাতুড়ি আর শাবল দিয়ে কিইবা করার আছে। খালি হাতে এগুলো দিয়ে দু-পাঁচটি ইট সরানো যায় বৈকি, কিন্তু মৃত্যুপুরির গহিনে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে হাতগুলো যে বড়ই অবশ হয়ে যায়। চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রিয় মুখের আশায় ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি-দুটি করে ইট আর খোয়া সরাচ্ছে স্বজনেরা। পোর্ট অব প্রিন্সের মেয়র যেমনটা বলছিলেন, ‘হতাহতদের উদ্ধারে আমাদের কিছুই করার নেই। উদ্ধারকাজের কোনো সরঞ্জামই নেই আমাদের। একদম কিছুই না।’
ভয়াল ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া দালানকোঠা বাড়ির নিচে অসংখ্য মানুষ চাপা পড়েছে। তাদের কেউ কেউ এখনো বেঁচে আছে। সাহায্য চেয়ে মৃত্যুপুরির নীরবতা ভেঙে ভেসে আসছে তাদের কোঁকানি, ভাঙা ভাঙা শব্দে পানির আকুতি। কিছু সময় পর সেই আকুতিটুকুও বন্ধ হয়েযায়। প্রিয় মুখ হারিয়ে ধ্বংসস্তূপের পাশে অসহায় দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে নারী-পুরুষেরা। আর অপেক্ষা, কখন আসবে সহায়তা।
খাবার, পানি, ওষুধ যেমন জরুরি, তেমনি এ মুহূর্তে হাইতিতে সবচেয়ে বেশি জরুরি আধুনিক সরঞ্জামসহ দক্ষ উদ্ধারকর্মী। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে পাগল হয়ে ছুটছে স্বজনেরা। ২৭ বছরের মিচেল রিয়্যু বলছিলেন, ‘আমাদের খাবার নেই, নেই পানি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি জরুরি আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করা। তারা যে আমাদের পথ চেয়ে আছে।’ মিচেল বলেন, ভূমিকম্পে তাঁর বাড়িটি একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। খোলা পার্কে স্ত্রী আর নবজাতক শিশুকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বলেন, ‘খোলা মাঠে আশ্রয় নেওয়া লোকজনও পথ চেয়ে আছেন। খাবার, পানি, ওষুধ জরুরি হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।’
ঘণ্টা কয়েকের চেষ্টায় হারিসাকে উদ্ধার করা গেছে। তবে ততক্ষণে সবার চোখের কোণেও পানি জমে গেছে। হারিসার গোঙানি থেমে গেছে, চিরতরে। মৃত্যুর আগে হারিসার মুখে ফোঁটা কয়েক পানি দেওয়া গেলেও বাঁচানো যায়নি।
হারিসার মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি শোকাতুর হয়েছেন কেটলি ক্লার্গ। হারিসার এই ধর্ম-মা আক্ষেপ করে বলেন, হারিসাকে উদ্ধারে কেউই এগিয়ে আসেনি। পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি।
আগের দিন হারিসার মা লরেন জিয়ানকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তবে তাঁর অবস্থা ভালো নয়। তাঁর সারা শরীরে ক্ষতের চিহ্ন। স্বেচ্ছাসেবকেরা ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে। যন্ত্রনায় জিয়ানের চিত্কারে তাঁবুর পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
এলাকার সবার মধ্যমণি মেধাবীস্কুল শিক্ষার্থী হারিসার মৃত্যুতে সবাই যখন মুষড়ে পড়েছে, ঠিক তখন একঝলক আশার আলো নিয়ে এসেছে রেডজেসন হস্টিন ক্লড। দুই বছরের খুদে এই শিশুটিকে বৃহস্পতিবার রাতে স্পেনের উদ্ধারকর্মীরা জীবিত উদ্ধার করেছেন। সন্তানকে ফিরে পেয়ে ক্লডের মায়ের আনন্দ যেন আর ধরে না। ক্লডকে দেখেএখন অন্য মায়েরাও তাঁদের হারানো সন্তানদের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর পোর্ট অব প্রিন্স এখন মৃত্যুপুরি। চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই মরদেহের মিছিল। কর্ণকুহরে শুধুই আহতদের গোঙানি। তার ওপর নেই খাবার, পানি, ওষুধ। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে কারও আকুতি কানে এলেও অসহায়ত্ব ছাড়া উপায় নেই। দু-চারটি হাতুড়ি আর শাবল দিয়ে কিইবা করার আছে। খালি হাতে এগুলো দিয়ে দু-পাঁচটি ইট সরানো যায় বৈকি, কিন্তু মৃত্যুপুরির গহিনে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে হাতগুলো যে বড়ই অবশ হয়ে যায়। চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রিয় মুখের আশায় ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি-দুটি করে ইট আর খোয়া সরাচ্ছে স্বজনেরা। পোর্ট অব প্রিন্সের মেয়র যেমনটা বলছিলেন, ‘হতাহতদের উদ্ধারে আমাদের কিছুই করার নেই। উদ্ধারকাজের কোনো সরঞ্জামই নেই আমাদের। একদম কিছুই না।’
ভয়াল ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া দালানকোঠা বাড়ির নিচে অসংখ্য মানুষ চাপা পড়েছে। তাদের কেউ কেউ এখনো বেঁচে আছে। সাহায্য চেয়ে মৃত্যুপুরির নীরবতা ভেঙে ভেসে আসছে তাদের কোঁকানি, ভাঙা ভাঙা শব্দে পানির আকুতি। কিছু সময় পর সেই আকুতিটুকুও বন্ধ হয়েযায়। প্রিয় মুখ হারিয়ে ধ্বংসস্তূপের পাশে অসহায় দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে নারী-পুরুষেরা। আর অপেক্ষা, কখন আসবে সহায়তা।
খাবার, পানি, ওষুধ যেমন জরুরি, তেমনি এ মুহূর্তে হাইতিতে সবচেয়ে বেশি জরুরি আধুনিক সরঞ্জামসহ দক্ষ উদ্ধারকর্মী। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে পাগল হয়ে ছুটছে স্বজনেরা। ২৭ বছরের মিচেল রিয়্যু বলছিলেন, ‘আমাদের খাবার নেই, নেই পানি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি জরুরি আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করা। তারা যে আমাদের পথ চেয়ে আছে।’ মিচেল বলেন, ভূমিকম্পে তাঁর বাড়িটি একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। খোলা পার্কে স্ত্রী আর নবজাতক শিশুকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বলেন, ‘খোলা মাঠে আশ্রয় নেওয়া লোকজনও পথ চেয়ে আছেন। খাবার, পানি, ওষুধ জরুরি হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।’
No comments