পন্টিংয়ের উদ্যাপন, পাকিস্তানের আত্মহনন
ক্রিকইনফোর দশক-সেরা নির্বাচিত হওয়ার দিনই করেছিলেন ক্যারিয়ারের ৩৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি। কাল সেটাকেই রূপ দিলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরিতে। রিকি পন্টিং কি তাহলে আগামী দশকেরও সেরা খেলোয়াড় হওয়ার ব্রত নিয়ে এগোচ্ছেন? চতুর্থ উইকেটে মাইকেল ক্লার্কের সঙ্গে তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৩৫২ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার চোখে দ্বিতীয় দিনেই এঁকে দিয়েছে জয়ের ছবি।
অধিনায়কের দ্বিশতক, সহ-অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৬৬ আর ব্র্যাড হাডিনের ৪১ রানের ‘ক্যামিও’ নিয়ে ৮ উইকেটে ৫১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪ উইকেটে ৯৪ রানে দিন শেষ করা পাকিস্তান কাঁপছে ফলোঅনের শঙ্কায়।
আগের দিনই সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন পন্টিং আর ক্লার্ক। কাল নিজের মাঠে পন্টিং যেন তাঁর উত্তরসূরি ক্লার্ককে নিয়ে হাতে-কলমে পাঠ দিলেন। ক্লার্ক শিখছেন। তবে পুরোটা এখনো শেখা হয়নি। হলে নখদন্তহীন হয়ে পড়া পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণকে চিবিয়ে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতেন। যা থেকে ৪৪ রান দূরে থাকার সময় দানিশ কানেরিয়ার বলে বোল্ড। আগের ৩২ ওভার উইকেটশূন্য থাকা কানেরিয়া এর পর তুলে নিয়েছিলেন হাডিন ও মিচেল জনসনের উইকেটও। জনসনের বিদায়ের পরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন পন্টিং।
শুরুটা দুই পাকিস্তানি ওপেনার ভালোই করেছিলেন। ইমরান ফারহাত ও সালমান বাট বিনা উইকেটে তুলে ফেলেছিলেন ৬৩ রান। এর পরই ২৩তম ওভারে পিটার সিডলের জোড়া আঘাত। আগের চার টেস্টে ছয়টি উইকেট নেওয়া সিডল ফারহাতকে হাডিনের ক্যাচ বানান।
ফয়সাল ইকবালের বদলে তিন নম্বরে জায়গা পেয়েছিলেন খুররম মনজুর। কিন্তু চার বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই ২৩তম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে যান তিনি স্লিপে।
সিডলের এই জোড়া আঘাতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ভূমিকাই বেশি কি না—ভাষ্যকারদের এমন আলোচনার ফাঁকেই আরও দুটি আত্মহনন। দুবারই রানআউট। এবং দুবারই ভুল বোঝাবুঝি বাটের সঙ্গে। মিডঅফে ঠেলে দিয়ে তিন রান নিতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। কিন্তু বাট নিতে নারাজ। উইকেটের মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ইউসুফ। কিন্তু নিরাপদ সীমানায় ব্যাট ছোঁয়ানোর আগেই ডিপ মিডঅফ থেকে জনসনের থ্রো এবং হাডিনের বেল ফেলে দেওয়া। মাত্র ৭ রান করে বিদায় নিয়েছেন অধিনায়ক। তার আগে উইকেটে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন বাটের ওপর।
তাতেও খুব একটা কাজ যে হয়নি সেটা দেখা গেল চার ওভার পরেই। জনসনকে আগের ওভারে দুটো চার মেরে রানের খাতা খোলা উমর আকমল পরের ওভারে রানআউটের শিকার। এবারও সেই মিডঅফ। এবারও উইকেটে মাঝপথ থেকে ফিরে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা।
দুটি রানআউটে জড়িত ‘অপরাধী’ বাট এখনো উইকেটে। ৩৪ রানে অপরাজিত এই ওপেনারের সঙ্গে ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন শোয়েব মালিক। প্রায়শ্চিত্তের জন্য বাটের সামনে পড়ে আছে হোবার্টের খোলা মঞ্চ।
অধিনায়কের দ্বিশতক, সহ-অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৬৬ আর ব্র্যাড হাডিনের ৪১ রানের ‘ক্যামিও’ নিয়ে ৮ উইকেটে ৫১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪ উইকেটে ৯৪ রানে দিন শেষ করা পাকিস্তান কাঁপছে ফলোঅনের শঙ্কায়।
আগের দিনই সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন পন্টিং আর ক্লার্ক। কাল নিজের মাঠে পন্টিং যেন তাঁর উত্তরসূরি ক্লার্ককে নিয়ে হাতে-কলমে পাঠ দিলেন। ক্লার্ক শিখছেন। তবে পুরোটা এখনো শেখা হয়নি। হলে নখদন্তহীন হয়ে পড়া পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণকে চিবিয়ে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতেন। যা থেকে ৪৪ রান দূরে থাকার সময় দানিশ কানেরিয়ার বলে বোল্ড। আগের ৩২ ওভার উইকেটশূন্য থাকা কানেরিয়া এর পর তুলে নিয়েছিলেন হাডিন ও মিচেল জনসনের উইকেটও। জনসনের বিদায়ের পরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন পন্টিং।
শুরুটা দুই পাকিস্তানি ওপেনার ভালোই করেছিলেন। ইমরান ফারহাত ও সালমান বাট বিনা উইকেটে তুলে ফেলেছিলেন ৬৩ রান। এর পরই ২৩তম ওভারে পিটার সিডলের জোড়া আঘাত। আগের চার টেস্টে ছয়টি উইকেট নেওয়া সিডল ফারহাতকে হাডিনের ক্যাচ বানান।
ফয়সাল ইকবালের বদলে তিন নম্বরে জায়গা পেয়েছিলেন খুররম মনজুর। কিন্তু চার বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই ২৩তম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে যান তিনি স্লিপে।
সিডলের এই জোড়া আঘাতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ভূমিকাই বেশি কি না—ভাষ্যকারদের এমন আলোচনার ফাঁকেই আরও দুটি আত্মহনন। দুবারই রানআউট। এবং দুবারই ভুল বোঝাবুঝি বাটের সঙ্গে। মিডঅফে ঠেলে দিয়ে তিন রান নিতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। কিন্তু বাট নিতে নারাজ। উইকেটের মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ইউসুফ। কিন্তু নিরাপদ সীমানায় ব্যাট ছোঁয়ানোর আগেই ডিপ মিডঅফ থেকে জনসনের থ্রো এবং হাডিনের বেল ফেলে দেওয়া। মাত্র ৭ রান করে বিদায় নিয়েছেন অধিনায়ক। তার আগে উইকেটে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন বাটের ওপর।
তাতেও খুব একটা কাজ যে হয়নি সেটা দেখা গেল চার ওভার পরেই। জনসনকে আগের ওভারে দুটো চার মেরে রানের খাতা খোলা উমর আকমল পরের ওভারে রানআউটের শিকার। এবারও সেই মিডঅফ। এবারও উইকেটে মাঝপথ থেকে ফিরে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা।
দুটি রানআউটে জড়িত ‘অপরাধী’ বাট এখনো উইকেটে। ৩৪ রানে অপরাজিত এই ওপেনারের সঙ্গে ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন শোয়েব মালিক। প্রায়শ্চিত্তের জন্য বাটের সামনে পড়ে আছে হোবার্টের খোলা মঞ্চ।
No comments