সব সুবিধা থাকার পরও বাংলাবান্ধা ১২ বছরে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে পরিণত হয়নি by শহীদুল ইসলাম,
সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ এক যুগেও বাংলাবান্ধা পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে পরিণত হয়নি। সে জন্য ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু করাসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়ে এটিকে শিগগির পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে পরিণত করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে অব্যবহূত পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বন্দরের অবকাঠামো।
১২ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধায় নেপাল-বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট হিসেবে এই স্থলবন্দর চালু করা হয়। ২০০৪ সালেই এখানে ওয়্যারহাউস, ট্রাক পার্কিং ইয়ার্ড ও এইচবি রোড, চারতলা ফাউন্ডেশনের অফিস ভবন কমপ্লেক্স, পুলিশ ব্যারাক, সোনালী ব্যাংকের বুথ, ইমিগ্রেশন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, বিদ্যুত্সুবিধা, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ইত্যাদি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগের অভাবেই প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ভারত সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অভাবে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাসহ স্থলবন্দরটি কার্যকর করে তোলা যাচ্ছে না।
২০০৪ সালের ২২ মে বাণিজ্য এবং নৌপরিবহনসচিবের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ বন্দরের ‘সফট ওপেনিং’ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যেই এর ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’ তথা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়, যা এখনো কার্যকর করা হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা বাংলাবান্ধাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে পরিণত করার দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি খুবই সুবিধাজনক ও সম্ভাবনাময় অবস্থায় রয়েছে। যেমন বাংলাবান্ধা থেকে মাত্র ৫ ও ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মালামাল প্রবেশের মূল দ্বার শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের অবস্থান। ৫৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভারতের বিখ্যাত পর্যটন শহর দার্জিলিং। ৬১ কিলোমিটার দূরে নেপালের সীমানা কাঁকরভিটা তথা মিচি শহর। আর ভুটান সীমান্তের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার।
ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় চেম্বারের নেতারাও মনে করেন, এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি বাড়ার পাশাপাশি পঞ্চগড়ে যেমন বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে, তেমনি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং প্রতিবছর সরকারও বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে সীমিত আকারে নেপালে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম চলছে। গত অর্থবছরে এ বন্দর থেকে প্রায় চার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। এখানে কাস্টমসের কোনো আবাসিক বা অফিস ভবন না থাকায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড় থেকে গিয়ে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ‘ইবরা’র ব্যবস্থাপক কাজী আল তারিক জানান, ২৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর মাধ্যমে তাঁরা বাণিজ্যিকভাবে কোনো আয় করতে পারেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আমদানিকারক সফিকুর রহমান জানান, ভারত ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের গাড়ি পারাপার চুক্তি না হওয়ায় এক দেশের ট্রাক আরেক দেশের সীমান্তে প্রবেশ করতে পারছে না।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মো. রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে সীমান্তের জিরো লাইনে ট্রাক-টু-ট্রাক পদ্ধতিতে মালামাল ওঠানো-নামানোর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে।
পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি ইকবাল কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাবান্ধাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালু করার জন্য আমরা সরাসরি এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) মাধ্যমে সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছি।’
এদিকে অব্যবহূত পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বন্দরের অবকাঠামো।
১২ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধায় নেপাল-বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট হিসেবে এই স্থলবন্দর চালু করা হয়। ২০০৪ সালেই এখানে ওয়্যারহাউস, ট্রাক পার্কিং ইয়ার্ড ও এইচবি রোড, চারতলা ফাউন্ডেশনের অফিস ভবন কমপ্লেক্স, পুলিশ ব্যারাক, সোনালী ব্যাংকের বুথ, ইমিগ্রেশন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, বিদ্যুত্সুবিধা, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ইত্যাদি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগের অভাবেই প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ভারত সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অভাবে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাসহ স্থলবন্দরটি কার্যকর করে তোলা যাচ্ছে না।
২০০৪ সালের ২২ মে বাণিজ্য এবং নৌপরিবহনসচিবের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ বন্দরের ‘সফট ওপেনিং’ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যেই এর ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’ তথা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়, যা এখনো কার্যকর করা হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা বাংলাবান্ধাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে পরিণত করার দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি খুবই সুবিধাজনক ও সম্ভাবনাময় অবস্থায় রয়েছে। যেমন বাংলাবান্ধা থেকে মাত্র ৫ ও ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মালামাল প্রবেশের মূল দ্বার শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের অবস্থান। ৫৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভারতের বিখ্যাত পর্যটন শহর দার্জিলিং। ৬১ কিলোমিটার দূরে নেপালের সীমানা কাঁকরভিটা তথা মিচি শহর। আর ভুটান সীমান্তের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার।
ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় চেম্বারের নেতারাও মনে করেন, এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি বাড়ার পাশাপাশি পঞ্চগড়ে যেমন বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে, তেমনি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং প্রতিবছর সরকারও বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে সীমিত আকারে নেপালে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম চলছে। গত অর্থবছরে এ বন্দর থেকে প্রায় চার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। এখানে কাস্টমসের কোনো আবাসিক বা অফিস ভবন না থাকায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড় থেকে গিয়ে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ‘ইবরা’র ব্যবস্থাপক কাজী আল তারিক জানান, ২৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর মাধ্যমে তাঁরা বাণিজ্যিকভাবে কোনো আয় করতে পারেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আমদানিকারক সফিকুর রহমান জানান, ভারত ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের গাড়ি পারাপার চুক্তি না হওয়ায় এক দেশের ট্রাক আরেক দেশের সীমান্তে প্রবেশ করতে পারছে না।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মো. রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে সীমান্তের জিরো লাইনে ট্রাক-টু-ট্রাক পদ্ধতিতে মালামাল ওঠানো-নামানোর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে।
পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি ইকবাল কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাবান্ধাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালু করার জন্য আমরা সরাসরি এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) মাধ্যমে সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছি।’
No comments