যেখানে ভারত পারেনি চীন পারবে তো?
তিন বছর আগে নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্র অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ ভারত যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছিল। এর পর দেশটিতে ২০০৭ সালে মাওবাদী গেরিলা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে ২৩৯ বছরের রাজতন্ত্রের পতন ঘটায়। অনেকে মনে করেন, ওই আন্দোলনের পেছনে ভারতের জোরদার সমর্থন ছিল।
নেপালের সংকট এখনো কাটেনি। তিন বছর পর দেশটির রাজনৈতিক মঞ্চের দৃশ্যপটে আবারও একই ধরনের ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন। দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে চীন উদ্যোগী হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই তাকিয়ে আছেন চীন কীভাবে বিষয়টি সামলায় তা দেখার জন্য। কারণ, ভারত যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে চীন কীভাবে বিষয়টি সামাল দেবে, তা এখন দেখার বিষয়।
মাওবাদীদের নেতা পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড গত বছর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। নতুন প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে চীনকেই বেছে নেন। এর আগে দেশের অধিকাংশ নেতাই ভারতকে দিয়ে তাঁদের সফর শুরু করতেন। প্রচণ্ড এখন ক্ষমতায় নেই। এ অবস্থায় আবারও তিনি সাত দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে তাঁর ওই সফর শুরু হবে। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বেইজিং সফরকে কেন্দ্র করে ওই সময় ব্যাপক হইচই হয়েছিল। তখন প্রচণ্ড অলিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকে তখন প্রচণ্ডের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর চীনে হওয়ায় এর সমালোচনা করেছিলেন। ওই সফরের পর অবশ্য এই গ্রীষ্মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার তাঁর চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল রুকমানগাদ কাতাওয়ালকে বরখাস্ত করার পর শরিক দলের সঙ্গে প্রচণ্ডের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। একপর্যায়ে মে মাসে তাঁর আট মাস মেয়াদের সরকারের পতন ঘটে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নির্ধারিত দ্বিতীয়বার চীন সফর আর হয়নি। কিন্তু এরপর আবারও তিনি বিরোধী দলের নেতা হিসেবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সেই আমন্ত্রণেই তিনি ফের চীন যাচ্ছেন।
এদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারেরও রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যাওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা কৈরালা প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের অংশ হিসেবে গত মাসে বেইজিং সফর করেছেন। অনেকের বিশ্বাস, নেপালের রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে চীনের বড় ভূমিকা রাখার সময় এসেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাই এখন তাকিয়ে আছে চীনের দিকেই।
নেপালের সংকট এখনো কাটেনি। তিন বছর পর দেশটির রাজনৈতিক মঞ্চের দৃশ্যপটে আবারও একই ধরনের ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন। দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে চীন উদ্যোগী হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই তাকিয়ে আছেন চীন কীভাবে বিষয়টি সামলায় তা দেখার জন্য। কারণ, ভারত যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে চীন কীভাবে বিষয়টি সামাল দেবে, তা এখন দেখার বিষয়।
মাওবাদীদের নেতা পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড গত বছর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। নতুন প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে চীনকেই বেছে নেন। এর আগে দেশের অধিকাংশ নেতাই ভারতকে দিয়ে তাঁদের সফর শুরু করতেন। প্রচণ্ড এখন ক্ষমতায় নেই। এ অবস্থায় আবারও তিনি সাত দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে তাঁর ওই সফর শুরু হবে। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বেইজিং সফরকে কেন্দ্র করে ওই সময় ব্যাপক হইচই হয়েছিল। তখন প্রচণ্ড অলিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকে তখন প্রচণ্ডের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর চীনে হওয়ায় এর সমালোচনা করেছিলেন। ওই সফরের পর অবশ্য এই গ্রীষ্মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার তাঁর চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল রুকমানগাদ কাতাওয়ালকে বরখাস্ত করার পর শরিক দলের সঙ্গে প্রচণ্ডের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। একপর্যায়ে মে মাসে তাঁর আট মাস মেয়াদের সরকারের পতন ঘটে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নির্ধারিত দ্বিতীয়বার চীন সফর আর হয়নি। কিন্তু এরপর আবারও তিনি বিরোধী দলের নেতা হিসেবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সেই আমন্ত্রণেই তিনি ফের চীন যাচ্ছেন।
এদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারেরও রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যাওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা কৈরালা প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের অংশ হিসেবে গত মাসে বেইজিং সফর করেছেন। অনেকের বিশ্বাস, নেপালের রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে চীনের বড় ভূমিকা রাখার সময় এসেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাই এখন তাকিয়ে আছে চীনের দিকেই।
No comments