উ. কোরিয়া পরমাণু সংকট নিয়ে আলোচনায় রাজি
উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা এ সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। তারা বলেছে, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসে দুই দেশের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের উন্নতি চায়। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে, উত্তর কোরিয়া একটি বন্ধ পরমাণু কেন্দ্র নতুন করে চালু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
গত সোমবার পিয়ংইয়ংয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইল প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁরা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনায় বসবেন। তবে তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক করে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্কের উন্নতি চান তাঁরা। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলো গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
বিভিন্ন বার্তা সংস্থা উত্তর কোরীয় নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘দ্বিপক্ষীয় সফল আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা বহুপক্ষীয় আলোচনায় যেতে রাজি। তবে তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ফলাফলের ওপর। এ ছাড়া বহুপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আমরা ছয়-জাতি আলোচনায় ফিরে যেতেও প্রস্তুত।’
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, পরমাণু সংকট নিয়ে বহুপক্ষীয় আলোচনায় বসার ব্যাপারে চীনা প্রধানমন্ত্রী ও উত্তর কোরীয় নেতা একমত হয়েছেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তার পুরোনো একটি পরমাণুকেন্দ্র আবারও চালু করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপকে বলেছে, সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র এর কড়া প্রতিবাদ করায় উত্তর কোরিয়া ইয়ংবিয়নে তার বন্ধ থাকা প্লুটোনিয়াম উত্পাদনকারী কেন্দ্র আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এ কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
২০০৭ সালে উত্তর কোরিয়া প্লুটোনিয়াম উত্পাদনকারী স্থাপনা বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু গত এপ্রিলে পিয়ংইয়ং ছয়-জাতি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে এবং এই কেন্দ্র আবার চালুর উদ্যোগ নেয়। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরীয় পার্লামেন্টে উপস্থাপিত এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, আণবিক বোমা তৈরির উদ্দেশে তারা পরীক্ষামূলকভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া গত বছর উত্তর কোরিয়া বলেছিল, কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় তারা ইয়ংবিয়নের এই কেন্দ্র থেকে ৩০ কেজি প্লুটোনিয়াম উত্পাদন করেছে। উত্পাদিত এই প্লুটোনিয়াম থেকে কোনো অস্ত্র তৈরি হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
গত সোমবার পিয়ংইয়ংয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইল প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁরা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনায় বসবেন। তবে তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক করে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্কের উন্নতি চান তাঁরা। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলো গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
বিভিন্ন বার্তা সংস্থা উত্তর কোরীয় নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘দ্বিপক্ষীয় সফল আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা বহুপক্ষীয় আলোচনায় যেতে রাজি। তবে তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ফলাফলের ওপর। এ ছাড়া বহুপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আমরা ছয়-জাতি আলোচনায় ফিরে যেতেও প্রস্তুত।’
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, পরমাণু সংকট নিয়ে বহুপক্ষীয় আলোচনায় বসার ব্যাপারে চীনা প্রধানমন্ত্রী ও উত্তর কোরীয় নেতা একমত হয়েছেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তার পুরোনো একটি পরমাণুকেন্দ্র আবারও চালু করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপকে বলেছে, সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র এর কড়া প্রতিবাদ করায় উত্তর কোরিয়া ইয়ংবিয়নে তার বন্ধ থাকা প্লুটোনিয়াম উত্পাদনকারী কেন্দ্র আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এ কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
২০০৭ সালে উত্তর কোরিয়া প্লুটোনিয়াম উত্পাদনকারী স্থাপনা বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু গত এপ্রিলে পিয়ংইয়ং ছয়-জাতি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে এবং এই কেন্দ্র আবার চালুর উদ্যোগ নেয়। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরীয় পার্লামেন্টে উপস্থাপিত এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, আণবিক বোমা তৈরির উদ্দেশে তারা পরীক্ষামূলকভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া গত বছর উত্তর কোরিয়া বলেছিল, কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় তারা ইয়ংবিয়নের এই কেন্দ্র থেকে ৩০ কেজি প্লুটোনিয়াম উত্পাদন করেছে। উত্পাদিত এই প্লুটোনিয়াম থেকে কোনো অস্ত্র তৈরি হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
No comments